কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
টেমস আর ভাগীরথী মিলে গেল এবার। না, কোনও ভৌগোলিক গোলযোগ নয়। বরং ইতিহাসে ছাপ রাখতে পারে এমনই দৃষ্টান্ত রাখল লন্ডনে স্থাপিত বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ও কলকাতার বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিল। বাংলার সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করতে মউ স্বাক্ষর করল এই দুই সংস্থা। ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ কাউন্সিল অব কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আয়োজনে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর ডঃ দেবাঞ্জন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ডঃ অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং। বাংলার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণে প্রবাসী বাঙালি ও বাঙালিদের ভূমিকার কথা উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। প্রধান স্বাক্ষরকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ট্রাস্টি সুরঞ্জন সোম এবং বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চন্দ্রশেখর ঘোষ। এই দুই সংস্থার মেলবন্ধনে বাংলার ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির যোগাযোগ আরও সমৃদ্ধ হবে বলেই আশা প্রকাশ করেন অতিথিরা। সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘এই মউ প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃতি, উৎসব, শিক্ষা, খেলাধুলো ও বাণিজ্যক্ষেত্রে নানা আদানপ্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাঙালিদের একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি বাংলার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকেও উজ্জ্বল করে তোলে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা ও জেনারেল সেক্রেটারি শুভাশিস দত্ত, বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ও ট্রাস্টি সৌরভ নিয়োগী, ভাবী প্রেসিডেন্ট ও ট্রাস্টি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়-সহ উভয় সংস্থার প্রতিনিধিরা।
প্রেস্টিজ-এর ৭৫ বছর
৭৫ বছর পূর্ণ করল প্রেস্টিজ। রান্নাবান্নার সরঞ্জাম ও বিভিন্ন কিচেনওয়্যার প্রস্তুতিতে প্রেস্টিজ প্রথম সারির অন্যতম ব্র্যান্ড। প্রেসার কুকার, গ্যাস স্টোভ, ইন্ডাকশন কুকটপ, রাইস কুকার-সহ নানা ব্রেকফাস্ট অ্যাপ্লায়েন্স তৈরিতে এই সংস্থার বেশ নামডাক আছে। ক্যাসারোল, দোসা তাওয়া, রোটি তাওয়া, গ্রিল প্যান, সসপ্যান, কড়াই, ফ্রাই প্যান এবং ইডলি কুকারের মতো পণ্য রয়েছে কুকওয়্যার বিভাগে। মিক্সার গ্রাইন্ডার, কুকার এবং কুকওয়্যারের ট্রাই-প্লাই রেঞ্জেও এদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। প্রেস্টিজ বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা প্রেসার কুকার উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্ল্যান্ট পরিচালনা করে। ১৯৫৯ সালে অ্যালুমিনিয়াম প্রেসার কুকার দিয়ে পথ চলা শুরু করে প্রেস্টিজ। ২০০৭-এ প্রেস্টিজ একটি ‘টোটাল কিচেন সলিউশন ব্র্যান্ড’-এ পরিণত হয়। ২০১৯ সালে প্রেস্টিজ বাজারজাত করে ‘স্বচ্ছ’ রেঞ্জ— যা আধুনিক প্রযুক্তি ও মসৃণ নকশার সঙ্গে উন্নত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধির দিকটিও খেয়াল রাখে। বর্তমানে পাঁচটি অত্যাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট রয়েছে প্রেস্টিজের। ২৮টি রাজ্য জুড়ে ৩০৫টিরও বেশি শহরে ৭০০টিরও বেশি এক্সক্লুসিভ স্টোর রয়েছে। সংস্থার ৭৫ বছরের অনুষ্ঠানে টিটিকে প্রেস্টিজের এমডি এবং সিইও ভেঙ্কটেশ বিজয়রাঘবন বলেন, ‘৭৫ বছর ধরে আমরা অগণিত পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছি। প্রেসার কুকার-সহ রান্নাঘরের নানা সরঞ্জামের উদ্ভাবন এবং তাদের মানোন্নয়নও করেছে এই সংস্থা। নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, সুবিধা এবং নান্দনিকতা এই চার বিষয়কে মাথায় রেখেই আমাদের সংস্থা এগিয়ে চলেছে।’
জব্বলপুরে ওয়েলকাম গ্রুপের হোটেল
মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের নাম শুনলেই নর্মদার উৎসস্থান ধুয়াধারের কথা মনে পড়ে। অথবা নদীর শান্ত স্রোত বেয়ে মার্বেল রকসের মাঝখান দিয়ে নৌকা ভ্রমণ। এছাড়াও চৌষট্টি যোগিনীর মন্দির, রানা দুর্গাবতি মিউজিয়াম-সহ জব্বলপুরে ভ্রমণের জায়গার অভাব নেই। আর যাঁরা ওয়াইল্ড লাইফ ভালোবাসেন তাঁরা এখান থেকেই পাড়ি জমাতে পারেন কানহা, পান্না, পেঞ্চ বা বান্ধবগড়ের মতো জঙ্গলে। এহেন জায়গায় নতুন হোটেল খুলল আইটিসি। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই সংস্থার নানা হোটেল রয়েছে। জব্বলপুরের এই হোটেলটিকে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জন্য আদর্শ বলে দাবি করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। মোটামুটি ১৫০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে এই হোটেলের অবস্থান। মোটা ১২২টি ঘর ও নানা মাপের ব্যাঙ্কোয়েট হল, কনফারেন্স রুম রয়েছে এখানে। আইটিসি হোটেলস-এর চিফ এগজিকিউটিভ অনীল চাড্ডা বলেন ‘আমাদের দেশের রাজ্যগুলোর অনেক ভাগ। কিছু আছে শুধুই ভ্রমণের উপযুক্ত, কিছু বা বাণিজ্যের জন্য ভালো। সেসব মাথায় রেখে হোটেলের ডিজাইন করা হয়।’ ইনডোর এবং আউটডোর সবরকম সুবিধাই পাওয়া যাবে। হোটেলের রেস্তরাঁগুলো মধ্যে ওয়েলকাম কাফে রাভা, ওয়েলকাম স্থালিকা ইত্যাদি। স্থালিকা হোটেলটিতে আঞ্চলিক থালির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও আছে ফিটনেস সেন্টর, সুইমিং পুল ইত্যাদি।
কিফালক্ সেন্টার সেজে উঠেছে রঙের মেলায়
‘কনটেম্পোরারি কালার্স’! নাম শুনেই মালুম রং-তুলির এক মস্ত আয়োজন। সৌজন্যে কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আর্টস, লিটারেচার অ্যান্ড কালচার (কিফালক্)। গতকাল, ৩ জানুয়ারি থেকে রাজা বসন্ত রায় রোডে কিফালক্ সেন্টারে শুরু হয়েছে চিত্রকলা ও ভাস্কর্যের প্রদর্শনী। উদ্বোধন করেন হর্ষ ভি নেওটিয়া। ১৮জন শিল্পীর কাজ নিয়ে সেজে উঠেছে কিফালক্। প্রদর্শনীটির তত্ত্বাবধায়ক মেঘালি গোস্বামী। সমীর আইচ, পরাগ রায়, আনন্দময় বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায়, দিপালি ভট্টাচার্য, ফাহরাদ হুসেন-সহ নানা শিল্পীর কাজে সমৃদ্ধ হয়েছে প্রদর্শনীটি। চলবে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। সময় বিকেল ৩টে থেকে রাত ৮টা।
প্রদর্শনী আয়োজনে
নন্দন শান্তিনিকেতন
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রাক্তনীরা প্রতি বছরের মতো এবছরও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। প্রতি বছর শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই এর অপেক্ষায় থাকেন। বিভিন্ন বিশিষ্ট শিল্পী ও ভাস্কর নিজেদের কাজ প্রদর্শন করছেন এখানে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর দাশগুপ্ত, শান্তনু ভট্টাচার্য, জনক ঝঙ্কার নার্জারি, প্রবীর বিশ্বাস,অরুন্ধতী বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতী চৌধুরী, চন্দ্রা দাশগুপ্ত, চঞ্চল কৃষ্ণ দে, কৃষ্ণকলি ডেভিড প্রমুখ। ২০০২ সালে এই প্রদর্শনীটি প্রথম শুরু হয়েছিল। তখন মোটামুটি জনা ৪০ প্রাক্তনীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল এই প্রদর্শনী। ক্রমশ সংখ্যায় বাড়তে বাড়তে এবছর ৫৪ জন শিল্পীর কাজ ঠাঁই পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। উদ্যোক্তাদের অন্যতম চঞ্চল কৃষ্ণ দে আশাবাদী, ক্রমশ আরও বড় করে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী। আইসিসিআর গ্যালারিতে প্রতিদিন বিকেল ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে।