Bartaman Patrika
 

রংমহল ছাড়েননি 

মঞ্চে যাঁর আবির্ভাব মুহূর্তে দর্শকদের অনাবিল হাস্যরসে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, সেই বিরল ক্ষমতার অধিকারী শিল্পী জহর রায়। জন্ম শতবর্ষে সেই মহান শিল্পীকে স্মরণ করেছেন
ড. শঙ্কর ঘোষ।

সামনেই দুর্গাপুজো। ফি বছর মা আসেন পতিগৃহ থেকে পিতৃগৃহে। তেমনই একবার দুর্গা মর্তে আসার প্রাক্কালে পতিদেব মহাদেবের কাছে আর্জি জানালেন যে তিনি মর্তবাসীর দুঃখ-দুর্দশা সইতে পারছেন না। মহাদেব এমন কিছু করুন যাতে মর্তের লোকেদের দুর্গতি দূর হয়। দুর্গার মন রাখতে মহাদেব মর্তবাসীর জন্য একটি গোলক প্রেরণ করলেন, যেটি সোনা দিয়ে গড়া। তবে এতে মুশকিলও আছে। যে এই গোলকটি পাবে, সে যখন অন্য কাউকে সেই গোলকটি দেবে, তৎক্ষণাৎ এই দু’জনের চিত্ত পরিবর্তিত হবে। দুর্গা শুনে বললেন এ তো ভয়ঙ্কর ব্যাপার। মহাদেব আশ্বস্ত করে বললেন এই চিত্ত পরিবর্তন সাময়িক। ঘটনাচক্রে জমিদার নীলরতনবাবুর জামাই তস্য চাকরকে নিয়ে পুজোর ছুটিতে জমিদারবাড়িতে আসার পথে, সেই গোলকটি ভৃত্যের নজরে আসে। গোলকটি তুলে জমিদার জামাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া মাত্র ওই দুটি মানুষের চিত্ত পরিবর্তিত হয়। ভৃত্যটি তখন নিজেকে ভাবে জামাই আর জামাই ভাবে সে যেন ভৃত্য। এই অবস্থায় এরা জমিদার বাড়িতে এলে সকলেই ধন্ধে পড়ে যায়। কে জামাই কে ভৃত্য। ইতিমধ্যে কোন ফাঁকে সেই গোলকটি জমিদারবাবুর বাড়ির মেঝেতে গড়িয়ে পড়ে। সেটি নজরে আসে জমিদার বাড়ির ঝি তরলার। তরলা তা তুলে দেয় জমিদার নীলরতন বাবুর হাতে। ব্যস। জমিদার তখন নিজেকে ভেবে নেন তিনি এ বাড়ির ঝি। আর ঝি তরলা মনে করতে থাকে সে হল জমিদার। জমিদার ও ঝিয়ের চিত্ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নাটকটির ইন্টারভ্যাল। যে নাটকের কথা বলছিলাম, তার নাম ‘সুবর্ণ গোলক’। কাহিনীকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। নাট্যরূপ দেন সন্তোষ সেন। রঙমহল থিয়েটারে (৬৫/১ বিধান সরণী) এই নাটকের যাত্রা শুরু ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। দমফাটা হাসির নাটকের মূল স্থপতি জহর রায়। তিনি এ নাটকে জমিদার নীলরতনবাবু। ইন্টারভ্যালের দৃশ্যটিতে তিনি যেভাবে ধুতির কোঁচা খুলে ঘোমটা
দিয়ে বাড়ির পরিচারিকা হয়ে যান, সে অভিনয় যিনি একবার দেখেছেন তাঁর পক্ষে বিস্মৃত হওয়া দুঃসাধ্য। ইন্টারভ্যালের পর সমস্ত স্টেজ জুড়ে জহর রায় যে ধুন্ধুমার কাণ্ড করলেন, দর্শকদের পক্ষে সিটে বসে থাকাই দুরূহ হয়ে ওঠে। পুরো প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে, শুধু হাসির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই কাহিনী নিয়েই মানু সেনের পরিচালনায় ‘সুবর্ণ গোলক’ সিনেমা তৈরি হয়েছিল। সেখানে নীলরতনবাবু হয়েছিলেন সবার প্রিয় উৎপল দত্ত। কিন্তু সবিনয়ে জানাই যাঁরা জহর রায়ের নীলরতন দেখেছেন তাঁরা এ তুলনার মধ্যে যাবেনই না। রঙমহলের টিকিট কাউন্টারের মাথায় পোস্টার লাগিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল, এ নাটক দেখতে বসে যিনি না হেসে থাকতে পারবেন, তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে। বলাবাহুল্য সে পুরস্কার কারও ভাগ্যেই জোটেনি।
জহর রায়ের নাটকের প্রতি ভালোবাসা একেবাবে ছোটবেলা থেকে। প্রবাসী পিতার চাকরির সূত্রে পুত্র জহর যখন পাটনায় রয়েছেন, সেই সময়ে পাটনার প্রবীণ হাস্যকৌতুক শিল্পী অজিত চট্টোপাধ্যায় আমন্ত্রিত শিল্পী হিসাবে গেলে, তাঁর সঙ্গে জহর রায় পরিচিত হন। অজিতবাবুই তখন জহর রায়কে কলকাতায় নিয়ে আসেন এবং রঙমহল থিয়েটারে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেন। সালটি ছিল ১৯৫৪। সেই থেকে ১৯৭৭ সালের ১ আগস্ট জহর রায় মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই রঙমহল থিয়েটারের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। মঞ্চ বদল করেননি। শেষ অভিনীত নাটক ‘অপরিচিত’। তিনি নাটকটির পরিচালক এবং ভুজঙ্গ রায় চরিত্রের অভিনেতাও বটে। রঙমহলের ওপর বয়ে যাওয়া ঝড় ঝাপটা তিনি সামলেছেন বারে বারে। রঙমহলে তাঁর প্রথম মঞ্চাভিনয় ‘দূরভাষিণী’ নাটকে নকুলের চরিত্রে। তিনি যখন যোগ দিলেন তখন সবেমাত্র রঙমহলের মালিকানা পরিবর্তিত হয়েছে। ‘প্রাচী’ সিনেমার মালিক জীতেন বোস এবং ‘জ্যোতি’ সিনেমার মালিক ভিটল ভাই মানসাটা রঙমহলের দায়িত্ব নিলেন। পরপর কয়েকটি নাটকে জহর রায় অভিনয় করলেন এই মঞ্চে। যার মধ্যে রয়েছে শেষ লগ্ন (গোবিন্দ), কবি (বিপ্রপদ), মায়ামৃগ (শ্যামাপদ), এক মুঠো আকাশ (রঘু), সাহেব বিবি গোলাম (বিধু সরকার) প্রভৃতি।
১৯৬২ সালে রঙমহলে আবার সংকট ঘনিয়ে আসে। থিয়েটার হলের দুই মালিক জীতেন বোস আর ভিটল ভাই মানসাটা ঠিক করলেন রঙমহল থিয়েটার বন্ধ করে সেখানে সিনেমা হল চালু করবেন। একথা জানতে পেরে রঙমহলের শিল্পী ও কর্মীবৃন্দ ধর্মঘট শুরু করেন এবং মালিকপক্ষের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে মুখর হন। থিয়েটারের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন অজিত চট্টোপাধ্যায়, জহর রায় এবং সরযূবালা দেবী। শেষ পর্যন্ত ড. প্রতাপচন্দ্র চন্দ্রের মধ্যস্থতায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। ডাঃ রায়ের উদ্যোগেই রঙমহল থিয়েটারটিকে শিল্পী কলাকুশলী ও কর্মীদের হাতেই পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সমবায় ভিত্তিতে এরপর রঙমহল থিয়েটার পরিচালিত হতে থাকে। জহর রায় সমবায় ভিত্তিক (Co-operative) থিয়েটারের তরফে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সঙ্গে অভিনেত্রী সরযূবালা দেবী। বাংলা থিয়েটারের ইতিহাসে এ এক অত্যন্ত স্মরণীয় ঘটনা। ড. দর্শন চৌধুরী জানাচ্ছেন, ‘মালিকানা ভিত্তিক সাধারণ রঙ্গালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম একটি রঙ্গালয় সমবায় প্রথায় পরিচালিত হতে থাকে, শিল্পী-কলাকুশলী-কর্মীরা যার সদস্য।’
সমবায় প্রথায় প্রথম যে নাটকটি অভিনীত হল তাঁর নাম ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। জহর রায় অভিনয় করলেন মতি চাকরের। সমবায় প্রথায় পরিচালিত রঙমহল থিয়েটারে পরপর সফলভাবে নাটক অভিনীত হতে থাকল। প্রায় প্রতিটি নাটক দর্শক আনুকূল্য লাভে ধন্য হল। জহর রায় গুরুত্ব দিলেন হাস্যরস প্রধান নাটকে। যার মূল কাণ্ডারী তিনি নিজেই। সব রেকর্ড ভাঙল ‘আমি মন্ত্রী হব’ নাটকটি। এর যাত্রা শুরু ১৯৬৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। নাট্যকার সুনীল চক্রবর্তী। পরিচালক জহর রায়। তখন সারা ভারত জুড়েই চলেছে আয়ারাম গয়ারামদের রাজ, যাঁরা মন্ত্রী হওয়ার লোভে দল বদল করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না। তেমনই এক চরিত্র যদু দত্ত, যিনি ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন স্রেফ মন্ত্রী হবেন বলে এবং দু’হাতে টাকা লুটবেন বলে। সেই চরিত্রের শিল্পী
জহর রায়। সহজেই অনুমেয় যে মঞ্চ জুড়ে যদু দত্ত কী কী কাণ্ডই না ঘটাবেন। তার দু-একটি নমুনা তুলে ধরি। বক্তৃতা তৈরি করতে বসে বলেন, ‘আমি কোনও রাম-শ্যাম-যদু-মধু নই যে আজ এ দলে, কাল ও দলে নাম লেখাব।’ তারপর নিজেই ঢোক গিলে বললেন ‘আ! আমার নামের মধ্যেই তো যদু ঢুকে বসে আছে।’ যদু দত্তের পোলিং এজেন্ট পতিতপাবন হয়েছেন হরিধন মুখোপাধ্যায়। তিনি এসে যদুকে বললেন, ‘স্যার ওই নতুন বাড়ির টয়লেট আপনাকে উদ্বোধন করতে যেতে হবে।’ শুনেই যদু বলেন, ‘আমি যাব টয়লেট উদ্বোধন করতে বল কি পতিতপাবন?’
পতিতপাবন আশ্বস্ত করে বললেন, ‘ওই বাড়িতে চল্লিশজন ভোটার আছে।’ এবারে সম্মতি মিলল যদু দত্তের ‘অতগুলি ভোটার, তবে তো আমি যাবই টয়লেট উদ্বোধন করতে।’ যাওয়ার প্রস্তুতির সময় ড্রাইভারকে ডেকে ডেকে হন্যে হয়ে যাওয়ার পর ড্রাইভার আসামাত্র খেঁকিয়ে বলে ওঠেন, ‘তোকে জুতো মেরে মেরে লম্বা করে দেব’। ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে দেখেন ড্রাইভার এমনিতেই ছ-ফুটের ওপর লম্বা। অগত্যা নিজের কথা নিজেই ফিরিয়ে নেন, ‘তেকে আর জুতিয়ে কাজ নেই’। বক্তৃতা মঞ্চে নির্দ্বিধায় যদু দত্ত বলতে পারেন, ‘রবীন্দ্রনাথ সাধে কি আমাদের বলেছিলেন হে ভারত তুলিও না দরিদ্র ভারতবাসী আমার ভাই, মূর্খ ভারতবাসী আমার ভাই’, দশর্কদের মধ্যে থেকে গুঞ্জন উঠলে, পতিতপাবন যদু দত্তকে সাংশোধন করাতে উঠলে যদু দত্ত বলেন, ‘আমার কাছে রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দ সবাই এক।’ এমন ভোট প্রার্থীর কী দশা হবে তা দর্শকেরা উপভোগ করেছেন চূড়ান্তভাবে। নাটকের মধ্যে সংলাপ বদল হামেশাই তিনি করতেন। শুনলেন কোনও নেতা হয়তো এ নাটক দেখতে এসেছেন; তখন যদু দত্তের বক্তৃতার মধ্যে এই সংলাপ ঢুকিয়ে দিতেন; ‘একটু বৃষ্টিতে প্রচণ্ড জল দাঁড়িয়ে গেলে আপনারা ভাববেন না, আমি রাস্তায় রাস্তায় নৌকোর ব্যবস্থা করে দেব’। দর্শকদের সঙ্গে নেতাও যে এটি উপভোগ করেছেন তাতে সন্দেহ নেই।
এল নতুন নাটক ‘বাবা বদল’। মনোজ মিত্রের ‘কেনারাম বেচারাম’ নাটকের ছায়া অবলম্বনে। বাড়ির কর্তা বেচারাম (হরিধন মুখোপাধ্যায়) নিখোঁজ। খোঁজ খোঁজ রব পড়ে গেল। দু’নম্বরি বাবাকে (মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়) হাজির করলেন দালাল নগেন পাঁজা (জহর রায়)। সেই শুরু হল হুলস্থুল কাণ্ড। এক একটা ঘটনায় দর্শকদের হাসি আর থামতে চায় না। বাড়ির নাতনি দাদুকে অর্থাৎ ওই দু’নম্বরি বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে, ‘বলো দাদু সামনের ওই গাছটা কী গাছ?’ দু’নম্বরি মানুষটি কীভাবে এর সদুত্তর দেবে! মুশকিল আসান নগেন পাঁজা হাজির। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জানলার ধারে যেতেই দু’নম্বরি মানুষটি উত্তর দেওয়ার রসদ খুঁজে পেলেন, ‘ওই গাছটা, ওই গাছটা, ওটা হল ল্যাংড়া আমের গাছ।’ এরকম অজস্র ঘটনায় ভরপুর ‘বাবা বদল’ নাটক। সম্পত্তি হাতানোর নানান ফিকিরে নগেন পাঁজারূপী জহর রায় মাত করে দিলেন।
অন্যান্য শিল্পীদের প্রতি জহর রায়ের দরদ ভোলবার নয়। তিনি নিজে ‘শিল্পী সংসদ’-এর সভ্য, অনুপকুমার ‘অভিনেত্রী সঙ্ঘের’ সভ্য। তবু অনুপকুমারের নাটক ‘সম্রাজ্ঞী নুরজাহান’ যখন অভিনয় চলাকালীন ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট হলে আগুন লাগায় বন্ধ হয়ে যায়, তখন জহর রায় অনুপকুমারদের নিজে নিয়ে এলেন রঙমহলে ওই নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য। রঙমহলে ‘সম্রাজ্ঞী নুরজাহান’ নাটকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৬ সালের ১৪ এপ্রিল। এর আগে পরে জহর রায় যেসব নাটকগুলিতে অভিনয় করলেন রঙমহলে, সে তালিকায় আছে কথা কও, স্বীকৃতি, নাম বিভ্রাট, টাকার রং কালো, প্রতিমা, অতএব, নন্দা, আলিবাবা, অনন্যা, সেমসাইড প্রভৃতি। রঙমহলে তাঁর শেষ অভিনীত নাটক ‘অপরিচিত’। কাহিনীকার সমরেশ বসু। জহর রায়ই পরিচালক। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে রঙমহলের শিল্পী-কলাকুশলী-কর্মীদের সমবায় প্রথার অস্তিত্বও শেষ হয়ে যায়।
জহর রায় যে সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়ে অজিত চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় রঙমহল চালাচ্ছিলেন, শেষের দিকে তা বিভিন্ন কারণে বিঘ্নিত হতে থাকে। হতোদ্যম জহর রায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, দায়িত্ব পালনেও আর মন দিতে পারছিলেন না, নানানরকম রোগে ভুগছিলেন। অবশেষে জীবন মঞ্চ থেকে বিদায়। কৌতুক রসাত্মক প্রচুর নাটকের অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা থিয়েটারের হাস্যরসের মরাগাঙে জোয়ার এনে দিয়েছিলেন জহর রায়। সেই অমর শিল্পীর জন্মের শতবর্ষে (জন্ম: ১০/৯/১৯১৯) তাঁকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
তথ্যঋণ: ‘বাংলা থিয়েটারের ইতিহাস’ ড. দর্শন চৌধুরী  
12th  October, 2019
শুকনো কাঠে যষ্ঠিমধুর স্বাদ 

সম্প্রতি বাঁশদ্রোণী শিল্পন শিশিরমঞ্চে মঞ্চস্থ করল তাঁদের সাম্প্রতিক নাটক ‘জৈষ্ঠীমধু’। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব নাটক অবলম্বনে নির্মিত সম্পূর্ণ হাস্যরসাত্মক এই নাটকের সম্পাদনা ও নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন সীমিকা রায়। 
বিশদ

দর্শককে আয়নার সামনে দাঁড়ানোর চৈতন্য দেয় এ নাটক 

মানুষই মানুষকে খোঁজে। মানুষই মানুষের কাছে আশ্রয় চায়, মানুষই মানুষকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। কিন্তু যখন সময় বয়ে যায় হাতের আঙুলের ফাঁক দিয়ে, মানুষকে হতে হয় পরিস্থিতির শিকার। টানাপোড়েনের সুতো, মরে যাওয়া সম্পর্ককে বয়ে নিয়ে বেড়ানোর যন্ত্রণায় অনবরত হতে হয় ক্ষতবিক্ষত। তখনও কিন্তু মহাকাল নির্মেদ মোহহীনভাবেই বাজিয়ে চলে ঘটনার ঘণ্টা।
বিশদ

গেমপ্ল্যানের প্রত্যাশা 

সালটা ১৯৮৯। চন্দ্রা দস্তিদার একটি নাটক লিখেছিলেন – প্রত্যাশা। পরিচালনা করেছিলেন জোছন দস্তিদার। ১৯৯১ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল সে নাটক। দীর্ঘ তিন দশক বাদে আবার ‘প্রত্যাশা’কে ফিরিয়ে আনলেন জোছন-চন্দ্রার সুযোগ্য কন্যা খেয়ালি দস্তিদার। নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হতে চলেছে ২৩ নভেম্বর, সন্ধে ৭টায়, জিডি বিড়লা সভাঘরে। 
বিশদ

খুব আফশোস হয় উত্তমকুমারের মঞ্চাভিনয়
দেখতে পারলাম না: কুলভূষণ খারবান্দা

কুলভূষণ খারবান্দা নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মুণ্ডিত মস্তক ভয়ংকর এক ভিলেন শাকালের ছবি। রমেশ সিপ্পির ‘শান’ ছবিতে এই ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেই তিনি রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান সর্বভারতীয় দর্শকের কাছে। কিন্তু ক’জন জানেন যে তাঁর অভিনয়ের হাতেখড়ি নাটকের মঞ্চেই! নাটকই তাঁর প্রথম প্রেম! এই কলকাতাতেই কেটেছে তাঁর জীবনের কয়েকটি বছর। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। ফিল্মের ব্যস্ততা স্বত্বেও যখনই সুযোগ পেয়েছেন, স্টেজে ফিরে ফিরে এসেছেন। এসেছেন নাটকের টানে। যেমন সম্প্রতি ‘পদাতিক’এর ‘আত্মকথা’র হাত ধরে মঞ্চে এবং এই কলকাতায়। রিহার্সালের টাইট সিডিউলের ফাঁকে কিছুটা সময় বের করে আলাপচারিতায় মাতলেন অজয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। 
বিশদ

অর্ঘ্যের দশম লোকরঙ্গ নাট্যোৎসব 

কসবা অর্ঘ্য নাট্যদলের দশম বার্ষিক নাট্যোৎসব ‘লোকরঙ্গ ২০১৯’ শুরু হতে চলেছে আগামী ৮ নভেম্বর থেকে। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। অ্যাকাডেমি মঞ্চে নীলাঞ্জন মিশ্রের গান দিয়ে শুরু হবে উৎসব।  বিশদ

02nd  November, 2019
থিয়েলাইটের জন্মোৎসব 

উনিশ পেরিয়ে কুড়ি বছরে পা দিল নাট্যসংস্থা থিয়েলাইট। এই উপলক্ষে তারা গত ২০ জুন অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের লেডি রানু মুখোপাধ্যায় মঞ্চে আয়োজন করেছিল এক অনুষ্ঠানের।   বিশদ

02nd  November, 2019
একলা একটা অর্জুন গাছ আর ব্যাঙথুপী 

আধুনিক বিশ্ব ধীরে ধীরে উষ্ণায়ণের করাল গ্রাসে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল সবুজায়ন। ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’, ‘গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান’, ‘সবুজ বাঁচান’ — সরকারি বিজ্ঞাপন হোর্ডিংয়েই সীমাবদ্ধ।  বিশদ

02nd  November, 2019
যাত্রাশিল্প ও টেলিপাড়ার
অ ন্দ র কা হি নী 

নান্দীপটের নাটক ‘আবৃত্ত’কে জড়িয়ে রেখেছে যাত্রা। এক সৃষ্টিশীলতার মধ্যে দিয়ে আর এক শিল্পকে স্মরণ করা। প্রায় ভগ্নপ্রায় এক বাড়ি। যে বাড়ির বাসিন্দা মাত্র চারটি প্রাণী। এক বৃদ্ধ, এক বৃদ্ধা এবং তাঁদের সন্তানসম দুই তরুণ-তরুণী। চারজনকে একত্রিত করে একসঙ্গে বেঁধে রেখেছে যাত্রা।   বিশদ

02nd  November, 2019
থিয়েটার পাড়ার গপ্পো
‘দুর্গাদাস বাঁড়ুজ্জে দুটো হবে না’ 

পেশাদারি বিভিন্ন মঞ্চে প্রায় চুয়াল্লিশটি নাটকে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন শিল্পী দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি থিয়েটারের টানেই বর্ধিষ্ণু পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও, নাট্যমঞ্চকেই আপন করে নিয়েছিলেন। উইংস-এর আড়াল থেকে সেই সুদর্শন নটকে প্রত্যক্ষ করলেন ড. শঙ্কর ঘোষ।  বিশদ

02nd  November, 2019
পশুতে মানুষে... 

আমরা প্রায়শই কারও দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে বলে থাকি — তুই তো জন্তুর মতো ব্যবহার করছিস! প্রশ্ন হল, সত্যি কি এখন এই উপমাটি ব্যবহার করা চলে? কেন না, বর্তমানে এই সমাজবদ্ধ জীবটি, অর্থাৎ মানুষ, সবচেয়ে বেশি হিংস্র, ভয়ঙ্কর, স্বার্থপর এক প্রাণী। যার সঙ্গে কোনও জন্তুরই তুলনা চলে না। 
বিশদ

12th  October, 2019
ধর্মের নামে ব্যবসার এক জ্বলন্ত ঘটনা তুলে ধরে এ নাটক 

ধর্ম ও মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে সারা পৃথিবীজুড়ে এক ব্যবসা চলছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে, নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করতে কাজে লাগাচ্ছে সাধারণ মানুষের এই আবেগকে। 
বিশদ

12th  October, 2019
রঙরূপের ৫০ পূর্ণ 

পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করে একান্নে পা রাখল নাট্যদল রঙরূপ। শারদোৎসবের প্রাক্কালে এই উপলক্ষে তারা আয়জোন করেছিল দুই দিনব্যাপী এক উৎসবের। পয়লা ও দোসরা অক্টোবর, এই দুই দিন বাাংলা অ্যকাডেমি ও অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও নাটক।  
বিশদ

05th  October, 2019
সমীর সেন-উৎপল রায় যুগলবন্দি সাথীহারা ভালোবাসা 

ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপ-ইনস্টাগ্রামের হড়পা বান যতই আছড়ে পড়ুক না কেন, বঙ্গ জীবনের অঙ্গে পরম্পরা ঐতিহ্যকে মান্যতা দিতে এখনও অভাব হয়নি আন্তরিকতার। তার নমুনা মিলবে বিশ্বভারতী অপেরার ১৪২৬ সনের নয়া পালাগান ‘সাথী হারা ভালোবাসা’য়। নিবেদনে শুভজিৎ সেন। 
বিশদ

05th  October, 2019
বীরত্ব ও আত্মবলিদানের গল্প 

সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটি নাট্যাঙ্গিকে মঞ্চস্থ করল হাওড়া শিল্পী সংঘ। নাটকে অবশ্য শিশুর বীরত্বর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজরের এক মর্মস্পর্শী কাহিনী মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। বিষয়টি অন্যরকম এবং হৃদয়বিদারক সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 
বিশদ

05th  October, 2019

Pages: 12345

একনজরে
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: ৬৫তম স্কুল গেমসে যোগাসনে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সোনা পেল কোতুলপুরের সাত্ত্বিক ভট্টাচার্য ও বিপ্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাত্ত্বিক অনূর্ধ্ব ১৭ এবং বিপ্রতীপ অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।  ...

বিএনএ, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে বিজেপির মণ্ডল কমিটি গঠন নিয়ে নব্য ও আদিদের মধ্যে কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। দ্বন্দ্বের কারণে তারা বহরমপুর উত্তর এবং দক্ষিণ মণ্ডল কমিটির সভাপতির নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি।  ...

 নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর (পিটিআই): আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে আগেই অশনি সঙ্কেট শুনিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাঙ্ক। এবার আর্থিক মন্দা থাবা বসাল ভারতের আন্তর্জাতিক রেটিংয়ে। রেটিং প্রদানকারী সংস্থা মুডিজ দেশের রেটিং স্থিতিশীল (স্টেবল) থেকে কমিয়ে নেতিবাচক (নেগেটিভ) করে দিল। ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বোল্লাকালী তাঁকে মূর্তি গড়তে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়েই ২০১১ সাল থেকে বোল্লাকালীর সুউচ্চ প্রতিমা তৈরি করছেন বালুরঘাটের মাঝিগ্রামের মৃৎশিল্পী হিমাংশু মহন্ত। ২০১১ সালের আগে তাঁর বাবা ভবেন মহন্ত বোল্লাকালীর মূর্তি গড়তেন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৯ টাকা ৭২.০৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৬৮ টাকা ৯২.৯২ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২২/৬ দিবা ২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ ২২/৪৬ দিবা ২/৫৬। সূ উ ৫/৪৯/২, অ ৪/৫১/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২২ মধ্যে, বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি।
২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২১/১২/৩৯ দিবা ২/১৯/৫। উত্তরভাদ্রপদ ২৪/২৩/৮ দিবা ৩/৩৫/১৬, সূ উ ৫/৫০/১, অ ৪/৫২/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ৭/২৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৩ গতে ২/২৯ মধ্যে, বারবেলা ১২/৪৪/১৩ গতে ২/৭/৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/১২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৯/৫৩ গতে ৪/৫২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/৫৩ মধ্যে ও ৪/১২/৫১ গতে ৫/৫০/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। বৃষ: কর্মে পদোন্নতির সম্ভাবনা। মিথুন: অর্থপ্রাপ্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

আজ বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাস পরিষেবা

 বুলবুলের জেরে বন্ধ কলকাতা বিমানবন্দর। তাই বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীদের ফেরাতে ...বিশদ

07:36:49 PM

সাগরে আছড়ে পড়ল বুলবুল 
সাগরদ্বীপে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর ...বিশদ

06:45:00 PM

আদালতের রায় খোলা মনে স্বীকার করেছে দেশ: মোদি 

06:12:01 PM

ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে: মোদি 

06:12:00 PM

আসুন সবাই মিলে নতুন ভারত নির্মাণ করি: মোদি 

06:12:00 PM