Bartaman Patrika
 

আধুনিক যাত্রার রূপকথার এক নায়ক 

শক্তিশালী অভিনেতা শেখর গঙ্গোপাধ্যায়। খ্যাতি আর পতনের আলোছায়ায় বর্ণময় এক জীবন। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস

যাত্রার দুরন্ত অভিনেতা শেখর গঙ্গোপাধ্যায় আপন প্রতিভায় একটি নিজস্ব ধারা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু দেখা যায় যে উচ্চতায় তিনি আরোহণ করতে পারতেন, সেই শিখরে তিনি পৌঁছতে পারেননি। তিনি যেন শেক্সপিয়ারিয়ান ট্রাজেডির একটি চরিত্র। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে তাঁর পরিণতি হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি নিজেই ছিলেন বিয়োগান্তক জীবননাট্যের এক হতভাগ্য চরিত্র। অথচ অভিনয়ের যে সমৃদ্ধ ইতিহাস তিনি নিজে তৈরি করে গিয়েছেন, তা অনেকদিন অমর হয়ে থাকবে। শেখর গঙ্গোপাধ্যায় মানে আধুনিক যাত্রার রূপকথার এক নায়ক।
বহরমপুরের একটি সিনেমা হলের কর্মী ছিলেন তিনি। স্ত্রী-কন্যা নিয়ে ছিল তাঁর ভরা সংসার। মনের ভিতর তখন অভিনয়ের অদম্য বাসনা। তাই মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বীরভূম, বর্ধমানের বিভিন্ন অঞ্চলে অ্যামেচার দলে অভিনয় করতেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন শোয়ে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতেন বীরভূমের খয়রাশোলের শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী। আসল নাম তাঁর নমিতা চক্রবর্তী।
বহরমপুরে যাত্রার শো করতে গিয়েছিলেন পঞ্চু সেন। সেখানে তাঁর নজরে পড়ে যান শেখরবাবু। তাঁর ডাকেই কলকাতার চিৎপুরে পেশাদার দলে যোগদান। তবে থাকতে পারেননি। কয়েক মাস অভিনয় করে দল ছেড়ে চলে যান। পরে আবার ফিরে এলেন। যাত্রা গবেষক দিবাকর ভৌমিক তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘শেখর গঙ্গোপাধ্যায় স্থায়ীভাবে চিৎপুরে এসেছিলেন ১৯৬৪ সালে। ধৃতিশ্রী নাট্য শিল্পমে। সেবার ওই দলের পালা ছিল ব্রজেন্দ্র কুমার দে’র ‘চাঁদের মেয়ে’, ‘নিষিদ্ধ ফল’, ‘শেষ নমাজ’ এবং বিজয় কুমার ঘোষের ‘মধুমতী’। এর কিছু ছিল পুরনো পালা, কিছু ছিল নতুন পালা। সব পালায় তিনি নায়ক হিসাবেই অভিনয় করেছিলেন। সেই দলে ছিলেন পঞ্চু সেন, দেবেন বন্দ্যোপাধ্যায়, গায়ক তিনকড়ি ভট্টাচার্য। নায়িকা ছিলেন শতদল রানি, ক্ষিতীশ রানি। তার পরের বছর তিনি নট্ট কোম্পানিতে যান। সেখানে দু’ বছর ছিলেন। নট্টয় তিনি ‘বিল্বমঙ্গল’ করলেন। সেই পালায় তাঁর চরিত্র ছিল স্বামী সনাতন ঠাকুর।’
পরে আবার তিনি ফিরে এসেছিলেন নট্টতে। ১৯৭৯ সাল। সেবার অরুণ দাশগুপ্ত, বীণা দাশগুপ্তর সঙ্গে কিছুটা মতানৈক্য হল মাখনলাল নট্টের। বীণার থেকে বেলা সরকারের চরিত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই অরুণ-বীণা বেরিয়ে আসার পর শেখরবাবু গেলেন নট্ট কোম্পানিতে। সেবার সাড়া ফেলে দিল ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের পালা ‘ময়লা কাগজ’। নট্টয় পরপর কয়েক বছর হল ‘কাগজের ফুল’, ‘গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম’, ‘কুবেরের পাশা’, ‘রাত্রির তপস্যা’ ইত্যাদি। তবে কয়েক বছর পর মাখনবাবুর সঙ্গে আইনি জটিলতায় জড়িয়ে গেলেন শেখরবাবু। এ ব্যাপারে নট্ট কোম্পানির তরফে উত্তম নট্ট বলেছেন, ‘শেখরবাবু নট্ট কোম্পানি ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সেই সিজনের কন্ট্রাক্ট ছিল। তাছাড়া এমন সময় তিনি দল ছাড়তে চাইলেন যখন চিৎপুরে দল গড়া হয়ে গিয়েছে। বায়নাও অনেক হয়ে গিয়েছে। তাই আদালতেই বিষয়টির মীমাংসা হল। তখন ‘দেবী সুলতানা’ পালার রিহার্সাল শেষের পথে। নির্দেশনায় ছিলেন মহেন্দ্র গুপ্ত। ততদিনে প্রধান চরিত্র মুর্শিদকুলি খাঁর ভূমিকায় তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন তরুণকুমার। তাই শেখরবাবুকে তুলনায় কিছুটা কম প্রভাবের একটা চরিত্র আলিবর্দি খাঁ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই তিনি নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন। সেই পালায় তাঁর মুখে একটি সংলাপ ছিল। সেটা হল— মসনদ তুমি কার? তখন সেটা মানুষের মুখে মুখে ফিরত।’
পঞ্চু সেনের সঙ্গে অনেকদিন অভিনয় করেছেন। শিখেছেনও অনেক কিছু। আবার একদিন পঞ্চুবাবুর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যও হয়। পঞ্চুবাবু ‘শেষ নমাজ’ পালায় একটি শোয়ে সময়মতো অভিনয়ের আসরে পৌঁছতে পারেননি। তার আগের দিনের শোয়ে সেই আসরে বড় ফণী না আসায় প্যান্ডেলে ভাঙচুর হয়েছিল। তাই দল মালিকের সিদ্ধান্তে পঞ্চুবাবুর অনুপস্থিতিতে সেদিন দায়ুদ খাঁর চরিত্রটি করেছিলেন শেখরবাবু। তখন তিনি করতেন মোবারক চরিত্র। সেকথা শুনে পঞ্চুবাবু আর সেই দলে অভিনয় করেননি।
কিন্তু যেদিন থেকে উৎপল দত্তের নজরে পড়ে গেলেন, সেদিন থেকে শেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয়ে ধারা অনেটাই বাঁধুনি পেল। যেমন দম, তেমন গলা, তেমনই মডিউলেশন। অসাধারণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলতেন চরিত্রকে। সেটিকে সুন্দরভাবে ব্যবহার করলেন উৎপল দত্ত। তাঁর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ লোকনাট্যে। ১৯৭০ সালে পালা ছিল ‘দিল্লি চলো’ এবং ‘সমুদ্রশাসন’। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের একটি অধ্যায় নিয়ে ‘দিল্লি চলো’ পালাটি রচিত। এই পালায় গেরিলা প্রদ্যোৎ মজুমদারের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করলেন শেখর গঙ্গোপাধ্যায়। ‘সমুদ্রশাসন’ও উৎপল দত্তের। সেই নাটকে শেখরবাবুর চরিত্র ছিল সমুদ্রগুপ্ত। ‘দিল্লি চলো’ পালায় একটি শিশু চরিত্র মাতুংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রুনু অধিকারী। আজ তিনি প্রবীণ। তাঁর মুখেই শুনেছিলাম সেই সব অভিনয়ের কথা, তাঁর জীবনের কথা।
যাত্রা বিশেষজ্ঞ প্রভাত কুমার দাস বলেছিলেন, ‘লোকনাট্যে উৎপল দত্তের সংস্পর্শে আসার পর থেকেই তাঁর ক্ষমতার পূর্ণ প্রকাশ। ‘সন্ন্যাসীর তরবারি’ পালায় তিনি রামানন্দের ভূমিকায় স্মরণীয় অভিনয় করেছিলেন। তাতে একটা হাসি ব্যবহার করেছিলেন, সেটা খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। তারপর থেকে বহু পালায় তিনি সেই হাসি ব্যবহার করতেন। সেটা হয়ে উঠেছিল তাঁর সিগনেচার। পরে পরিচালনায় এলে তিনি উৎপল দত্তের ঘরানাকেই অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু তা সেভাবে পূর্ণতা পায়নি। অভিনেতা শেখরবাবুকেই মানুষ মনে রাখবে।
মানুষও মনে রেখেছে তাঁর অভিনীত ‘ঝড়’, ‘জানোয়ার’, ‘সরমা’, ‘গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম’, ‘পাণ্ডবজননী কুন্তী’র মতো অমর পালাগুলির কথা।
শেখরবাবু এবং শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী কিছুদিন জুটি বেঁধেছিলেন। শর্মিষ্ঠাকে যাত্রায় আনেন শেখরবাবুই। সত্যম্বর অপেরায় দুজনে অভিনয় করলেন ভৈরববাবুর ‘কান্না-ঘাম-রক্ত’ পালায়। তারপরে দুজনে গেলেন নব রঞ্জন অপেরায় সেখানে করলেন উৎপল দত্তের ‘ফেরারী ফৌজ’ এবং তারপরে অগ্রগামীতে করলেন ‘কালো তলোয়ার’।
শেখরবাবু নাট্যতীর্থ নামে একটি দলও তৈরি করেছিলেন। ওই দলের পালা ছিল কানাই নাথের ‘শের-ই বাহাদুর শাহ’। সেই সময় ওঁর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ওঁর অভিনয়ের এমন তেজ ছিল যে আমরা তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে অভিনয় করতে পারতাম না। অবাক হয়ে ভাবতাম, একজন মানুষ কী করে এমন দাপটের সঙ্গে অভিনয় করতে পারেন।
বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি শেখরবাবু সম্পর্কে আলাদা একটা শ্রদ্ধা। বলেছিলেন, ‘উনি যত বড় অভিনেতা, তত বড় মানুষ। তবে পরিণতিটা খুবই দুঃখজনক। মঞ্চে যাঁর অমন দাপট, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে একটু শান্তি খুঁজতেন।’ এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি তিনি। কিন্তু যাঁরা যাত্রা জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা জানেন শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হয়েছিল তাঁর। ধাক্কা খেতে খেতে আত্মবিশ্বাসটা মরে গিয়েছেল। একটা ভীতু মানুষের মতো। নিজের দলের উপরও কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সব ডুবে গেল। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন দলের গদিঘরে গিয়ে বলতেন, ‘আমাকে একটা কাজ দেবে?’ সেই ক্ষয়ে যাওয়া মানুষটাকে সেদিন কেউ নিতে চাইত না। বিভিন্ন অ্যামেচার দলে ঘুরে ঘুরে কয়েকটা টাকার বিনিময়ে অভিনয় করতেন।
প্রেম বহুমুখী। তা কখনও সুখ আনে, কখনও দুঃখ। বহুদিনের অভিনয়ের সঙ্গী শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই প্রণয় থেকেই শর্মিষ্ঠার মধ্যে শেখর-শাসনের অধিকার জন্মায়। কিন্তু তার ফল ভালো হয়নি। তার থেকেই সম্পর্কে এল অবিশ্বাস, সৃষ্টি হল দূরত্ব। এক সময় তা হয়ে দাঁড়াল ভাঙাহাটের সম্পর্ক।
রুনু অধিকারীর মুখেই শুনেছি, ‘মানুষ হিসাবে তিনি ছিলেন বড় মনের। পরে একদিন বাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কামারপুকুরের একটি যাত্রা দলে তখন শেখরকাকু অ্যামেচার শো করেন। আমাকে চিনতে পেরেছিলেন। কথায় কথায় আমাকে অনেক কষ্টের কথা বলেছিলেন। আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম, এমন মানুষের এ কী পরিণতি! তখন আর তিনি কলকাতার বাড়ি ফিরতেন না। মনের কষ্ট নিয়ে পড়ে থাকতেন কামারপুকুরেই। একেই কলকাতায় তখন কাজ জোটে না। এছাড়া কলকাতা থেকে দূরে থাকতে গ্রামবাংলার অ্যামেচার দলে তিনি কাজ খুঁজতেন।’
সেই দাপুটে অভিনেতাকে অনেকেই চিৎপুরের পাড়ায় পাড়ায় নোংরা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। মঞ্চকাঁপানো এক অভিনেতার এই পরিণতি অনেকের চোখেই জল এনেছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন ‘গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম’। মনে পড়ে যায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের সেই বিখ্যাত পংক্তি, ‘যৌবনে অন্যায় ব্যয়ে বয়সে কাঙালী।’ 
15th  June, 2019
জাহান্নামের সমাচার 

আপন সৃষ্টিশীলতায় ওরা ছোটছোট বৃত্ত রচনা করে ঘুরে চলেছে। ‘ওরা’ হল – ইফটা, থিয়েলাইট, যাদবপুর মন্থন, দমদম গোত্রহীন, অশোকনগর নাট্যমুখ এবং দমদম শব্দমুগ্ধ। ছোট ছোট স্বাবলম্বী নাটকের দল। স্বাধীন চিন্তাভাবনা, কল্পনা, সৃষ্টিশীলতাকে নিংড়ে, মেজেঘষে, বিগত দেড় দশক ধরে বাংলার নাট্যমঞ্চকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
বিশদ

22nd  June, 2019
 গঙ্গার ধারে মুক্ত অঙ্গনে নাটক

প্রসেনিয়ামের সাথে কোনও বিরোধিতা নেই, শুধু থিয়েটারের নতুন দিক খোঁজার তাগিদেই এক অভূতপূর্ব সন্ধ্যায় ১৫ই জুন সোদপুর গঙ্গাতীরবর্তী সুখচর পাইন ঠাকুরবাড়ির বিস্তৃত অঙ্গন, অন্দর-বাহির মিলে এক মুক্ত হাওয়ায় যেন এক নতুন ইতিহাস রচিত হল, রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে।
বিশদ

22nd  June, 2019
 নাটকের বই

চন্দন দাশকে নাট্যমোদী মানুষ যতটা চেনেন অভিনেতা এবং নির্দেশক হিসেবে, নাট্যকার হিসেবে ততটা বোধহয় তাঁর পরিচিতি নেই। কিন্তু ঘটনা হল তিনি নাটক লেখেন এবং শুধু নাটকই নয়, কবিতাও তাঁর লেখনী থেকে জন্ম নেয়। ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তাঁর প্রথম নাটক ‘ভুল ঠিকানায়’। ২০১২ সালে সেটি প্রকাশিত হয়।
বিশদ

22nd  June, 2019
 অস্থির সময়ের প্রেক্ষিতে কিছু কথা

  ভোট পরবর্তী হিংসা, হানাহানি, ধর্মীয় সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, এই মুহূর্তে এতটাই বেড়ে গেছে, যা সমাজকে এক ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। চিন্তিত সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে উদ্বিগ্ন, ভীত, চিন্তিত বিদ্ধজনেরা। এই দুশ্চিন্তা, ভয়কে সাধারণের সামনে প্রকাশ করার জন্য এক নাগরিক সভার আয়োজন করেছিলেন বিদদ্বজনেরা। যার শিরোনাম ছিল – এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না।
বিশদ

22nd  June, 2019
কাগজের বিয়ে ও কর্ণ-কুন্তী কিস্‌সা 

আগামী ১৮ জুন গিরিশ মঞ্চে দেখা যাবে দু’ দুটি মজার নাটক। প্রথমটি বেলঘরিয়া থিয়েটার অ্যাকাডেমি প্রযোজিত ‘কাগজের বিয়ে’। কাগজের বিয়ে অর্থাৎ রেজিস্ট্রি ম্যারেজ। লোহালক্কড়ের ব্যবসায়ী রাধাকান্তবাবু কোষ্ঠী বিচার না করে কিছুতেই বিয়ের পক্ষপাতী নন। তাহলে পর্ণার বিয়েটা কি ভেস্তেই যাবে?  
বিশদ

15th  June, 2019
মঞ্চে শঙ্করাচার্যের দর্শন 

সম্প্রতি ‘নীলদর্পণ’ নাট্যসংস্থা শিশির মঞ্চে ‘মোহমুদ্গর’ নাটকটি মঞ্চস্থ করল। এটি একটি একক অভিনয়। নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা একজনই— রণেন্দ্রনাথ ধাড়া। ‘মোহমুদ্গর’ শঙ্করাচার্যের দার্শনিক গ্রন্থ।  
বিশদ

15th  June, 2019
সমসাময়িক সমস্যা তুলে ধরে এ নাটক 

ডাক্তারি এমন এক পেশা, যা অন্যান্য পেশার থেকে অনেকটাই আলাদা। কেননা এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সহমর্মিতা, দায়িত্বশীলতা, বিচক্ষণতা, সততা, সেবার মানসিকতা প্রভৃতি মানবিক গুণগুলি। মানুষের মরাবাঁচা নির্ভর করে চিকিৎসকের হাতে। তাই ডাক্তারকে ভগবানের সমতুল্য মনে করা হয়।  
বিশদ

15th  June, 2019
ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে এ নাটক 

ধর্ম নয়, ধর্মান্ধতা ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতেই কলম ধরেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানবতার অপমান, সংকীর্ণতা, অপব্যাখা ও অপক্ষয়ের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যেই তাঁর লেখা ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ’ বইটি একসময়ে সাড়া ফেলে জনমানসে।  
বিশদ

15th  June, 2019
রাজ্যে অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন বিশিষ্টরা, ডাক সভার 

ভোট পরবর্তী হিংসা ও সামাজিক অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলা নাট্যজগত সহ অন্য ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষেরা। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের নানা অংশে তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা। বাড়ছে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। সামাজিক অনুষ্ঠান ও আচরণবিধিতে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা চলছে।  
বিশদ

15th  June, 2019
প্রকৃত জ্ঞানীর মতোই নিরহঙ্কার এবং আড়ম্বরহীন মানুষ ছিলেন সলিলদা

প্রয়াত হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সলিল বন্দ্যোপাধ্যায়। উঁচুপদে চাকরির লোভ সম্বরণ করে আজীবন থিয়েটারের সেবা করে এসেছেন। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের দল ‘থিয়েট্রন’। প্রথম নাটক ‘প্রথম পার্থ’। তাঁর নির্দেশিত ‘বিসর্জন’, ‘অসংগত’, ‘খেলাঘর’ প্রভৃতি নাটকগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। স্মৃতিচারণ করলেন সংগ্রামজিৎ সেনগুপ্ত।
বিশদ

08th  June, 2019
ভালো প্রযোজনার ইচ্ছেই সম্বল

 প্রত্যন্ত একটি গ্রামে বাবা মায়ের সঙ্গে বাস অভির। একটি অখ্যাত অনামী স্কুলে অভির পড়াশোনা। কিন্তু স্কুল যাই হোক না কেন পড়াশোনায় অভি অত্যন্ত ভালো আর কৃতী ছাত্র হওয়ার সুবাদে গ্রামের মানুষ তাকে একটু অন্যরকমভাবে দেখে। অর্থাৎ ভালোছেলের মর্যাদায় ভূষিত অভি। অভির গৃহশিক্ষক (নাটকে ব্যবহৃত নাম মাস্টারমশাই) অভির আদর্শ।
বিশদ

08th  June, 2019
অন্যায় ও মনস্তত্ত্ব

  মনস্তত্ত্ব আর আবেগ দুটি অত্যন্ত জটিল বিষয়। যার ব্যাখ্যা করা সহজ নয়। কারণ এই দুটি বিষয়ের ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই যখন মানুষ ভুল করে, তখন তার কাজের একটা ব্যাখ্যা থাকে নিজের কাছে। যেটা সে অন্যদের বোঝাবার চেষ্টা করে। কিন্তু সে বুঝতে পারে না যে তার ছোট্ট একটা ভুল অন্য একজনের কত বড় ক্ষতি করে দিতে পারে।
বিশদ

08th  June, 2019
বাংলা থিয়েটারকে জাতে তুলেছিলেন রামকৃষ্ণ

তখন বাংলা থিয়েটারের অভিনেত্রীরা আসতেন পতিতালয় থেকে। ফলে সাধারণ মানুষ থিয়েটারে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বাংলা থিয়েটার সমাজে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে থিয়েটারকে জাতে তোলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস। কীভাবে, তা লিখেছেন ডা. শঙ্কর ঘোষ।
বিশদ

08th  June, 2019
পড়াশুনো না জেনেও ইংরেজিতে সংলাপ বলতেন

 যাত্রাভিনেত্রী বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  June, 2019

Pages: 12345

একনজরে
করাচি, ১৭ আগস্ট (পিটিআই): পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল পাঁচজনের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ তালিবান নেতা মুল্লা হাইবাতুল্লার ভাই হাফিজ আহমাদুল্লা। কোয়েত্তা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে কুচলক এলাকায় রয়েছে শেখ হাইবাতুল্লা মাদ্রাসা। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর উপায় নেই। সুপ্রিম কোর্ট এবার রাজ্য সরকারের ‘রিভিউ পিটিশন’ খারিজ করে দেওয়ায় ২০০৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১২০০ প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর শহরে দলমাদল রোডে ভরসন্ধ্যায় যুবক খুনের ঘটনায় শুক্রবার রাতে পুলিস এক ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মধুসূদন মাঝি। তার বাড়ি বিষ্ণুপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ,ওইদিন সন্ধ্যায় ফুচকা বিক্রেতার সঙ্গে যুবকের বচসা বাধে। তা ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গোটা বিশ্বেই মধ্যবিত্ত শ্রেণী বাড়ছে দ্রুত। নতুন প্রজন্ম অর্থ উপার্জন করছে বলেই এই শ্রেণীর বাড়বাড়ন্ত। সরকারেরও উচিত তাদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। সেই কারণেই সরকার যতটা পেনশন খাতে খরচ করে, তার চেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত শিক্ষা খাতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম
১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম
১৯৫৮: ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করলেন প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস
১৯৮০: সঙ্গীতশিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৯ টাকা ৭২.২৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৮১ টাকা ৮৭.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৩ টাকা ৮০.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  August, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,২৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ভাদ্র ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৯/৪৯ রাত্রি ১/১৪। পূর্বভাদ্রপদ ২৯/২ অপঃ ৪/৫৫। সূ উ ৫/১৮/২, অ ৬/৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৯ গতে ৯/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/২ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৩২ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৩/৯/৬ রাত্রি ১০/৩২/৩৬। পূর্বভাদ্রপদনক্ষত্র ২৬/১/৪১ দিবা ৩/৪১/৩৮, সূ উ ৫/১৬/৫৮, অ ৬/৫/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/১২ গতে ৯/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫/১৬ গতে ১১/৪১/২২ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪১/২২ গতে ১/১৭/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫/১৬ গতে ২/২৯/১০ মধ্যে।
 ১৬ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রাকবিবাহ কথাবার্তাও হতে পারে। বৃষ: সৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম১৯৫৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

নেতাজিনগরে ২টি অটোর সংঘর্ষ, জখম মহিলা 

08:31:00 PM

বেনিয়াপুকুরে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার 

06:21:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:49:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:46:00 PM