Bartaman Patrika
 

বাংলা থিয়েটারকে জাতে তুলেছিলেন রামকৃষ্ণ

তখন বাংলা থিয়েটারের অভিনেত্রীরা আসতেন পতিতালয় থেকে। ফলে সাধারণ মানুষ থিয়েটারে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বাংলা থিয়েটার সমাজে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে থিয়েটারকে জাতে তোলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস। কীভাবে, তা লিখেছেন ডা. শঙ্কর ঘোষ।

দিনটি ছিল ১৮৮৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার। স্টার থিয়েটারে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব সপার্ষদ গিরিশচন্দ্রের ‘চৈতন্যলীলা’ নাটক দেখতে এসেছেন। হাতিবাগানের মুখে যে স্টার থিয়েটার আমরা দেখি, এই স্টার থিয়েটার সেটি নয়। এর ঠিকানা ছিল ৬৮ নম্বর বিডন স্ট্রিট। বর্তমান সেন্ট্রাল এভিনিউ ও বিডন স্ট্রিটের উত্তরদিকের সংযোগস্থলে এই মঞ্চটি ছিল। এখন সেখান দিয়ে সেন্ট্রাল এভিনিউ’র রাস্তা চলে গেছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে এসে উঠেছিলেন মহেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখান থেকে স্টার থিয়েটারে। এই প্রসঙ্গে গিরিশচন্দ্রের আত্মজীবনীতে যে তথ্য পাই, ‘চৈতন্যলীলা হইতেছে, আমি থিয়েটারের বাহিরের Compund-এ বেড়াইতেছি, এমন সময়ে মহেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক একজন ভক্ত আমায় বলিলেন, ‘পরমহংস থিয়েটার দেখিতে আসিয়াছেন, তাঁহাকে বসিতে দাও ভাল, নচেৎ টিকিট কিনিতেছি।’ আমি বলিলাম, ‘তাঁহার টিকিট লাগিবে না, কিন্তু অপরের টিকিট লাগিবে’। এই বলিয়া তাঁহাকে অভ্যর্থনা করিতে অগ্রসর হইতেছি, দেখিলাম, তিনি গাড়ী হইতে নামিয়া থিয়েটারের Compound মধ্যে প্রবেশ করিয়াছেন; আমি না নমস্কার করিতে করিতে তিনি অগ্রে নমস্কার করিলেন, আমি নমস্কার করিলাম, পুনর্বার তিনিও নমস্কার করিলেন, আমি আবার নমস্কার করিলাম, পুনর্বার তিনিও নমস্কার করিলেন। আমি ভাবিলাম, এই রূপই তো দেখিতেছি চলিবে। আমি মনে মনে নমস্কার করিয়া তাঁহাকে উপরে লইয়া আসিয়া একটি Box-এ বসাইলাম ও একজন পাখাওয়ালা নিযুক্ত করিয়া দিয়া শরীরের অসুস্থতা বশতঃ বাড়ি চলিয়া আসিলাম।’
থিয়েটার শুরু হল। ঠাকুর নাটক দেখতে দেখতে প্রায়ই ভাবসমাধিস্থ হয়ে পড়ছেন। থিয়েটার শেষের পর ভক্তেরা ঠাকুরকে নিয়ে গেলেন মঞ্চের পাশে অফিসঘরে। জনৈক ভক্ত জিজ্ঞাসা করলেন,‘কেমন লাগল নাটক?’ ঠাকুর জবাব দিলেন, ‘আসল নকল সব এক হয়ে গেছে।’ একে একে সবাই ঠাকুরকে প্রণাম করতে এলেন। চৈতন্যলীলার চৈতন্যরূপিণী নটী বিনোদিনী যখন এসে দাঁড়ালেন, ঠাকুর তাঁর পায়ের ওপর পড়তে যাচ্ছিলেন, ভক্তেরা অবশ্য ঠাকুরকে ধরে ফেলেছিলেন। বিনোদিনী তাঁকে প্রণাম করতেই ঠাকুর আশীর্বাদ করে বললেন, ‘মা তোর চৈতন্য হোক।’ মাথায় হাত দিয়ে বললেন, ‘বল মা, হরি গুরু, গুরু হরি।’
এমন অভিনব ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে। কারণ সেই সময়ে কোনও ভদ্রঘরের মেয়েরা থিয়েটার পাড়ায় এসে অভিনয় করেননি। সকল অভিনেত্রীরাই এসেছেন নিষিদ্ধপল্লি থেকে। সাধারণ রঙ্গমঞ্চের প্রথম দিকে পুরুষেরাই নারী চরিত্রগুলিতে অভিনয় করতেন। মধুসূদন দত্তের পরামর্শে বেঙ্গল থিয়েটারেই প্রথম নারী চরিত্রে অভিনেত্রীদের প্রবেশ ঘটে। যখন ভদ্রঘরের মেয়ে পাওয়াই যাবে না তখন পতিতালয় থেকেই অভিনেত্রীদের আনা হতো। ফলে সেদিন থেকে ভদ্র শিক্ষিত সমাজ থিয়েটারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়ে দিলেন। এমনকী থিয়েটারের নটেরা পর্যন্ত সমাজে অপাংক্তেয় হয়ে পড়লেন। এখানেই শেষ নয় কেশবচন্দ্র সেনের ‘সুলভ সমাচার’ পত্রিকার ১২৮১ বঙ্গাব্দের ১ পৌষ সংখ্যায় লেখা হল; ‘যাত্রার পরিবর্তে নাটক অভিনীত হইতে দেখিয়া আমরা মনে করিয়াছিলাম যে এতদিনের পর বিশুদ্ধ আমোদ আস্বাদ করিবার উপায় হইল। কিন্তু সে আশায় ছাই পড়িল। বেশ্যাদ্বারা অভিনয় করাইলে, নাট্যমন্দির আর বিশুদ্ধ আমোদের স্থল রহিল না।’ শুধু কি তাই ঠাকুরের খুব কাছের মানুষ রামচন্দ্র দত্ত ঠাকুরের সর্বক্ষণের সঙ্গী থাকলেও, থিয়েটারের যাননি, অশুচিতার ভয়ে। রাস্তার যে ফুটপাতে থিয়েটার আছে, সে ফুটপাত দিয়ে হাঁটতেন না স্বয়ং নরেন্দ্রনাথ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, যিনি নারীর কল্যাণ কর্মে সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তিনিও থিয়েটারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করলেন এই অপরাধের জন্য।
সেই ভয়ঙ্কর পরিবেশে ঠাকুর এলেন, দেখলেন, আশীর্বাদ করলেন বিষবৃক্ষের বীজ যে অভিনেত্রী সম্প্রদায় তাঁদের একজনের মাথায় হাত রেখে। মহাপ্রভুর ভূমিকায় নটী বিনোদিনীর অন্তর আলোড়নকারী অভূতপূর্ব ভাবদ্যোতক সাত্ত্বিক অভিনয় ঠাকুরকে এতখানি অভিভূত ও আত্মহারা করে তুলেছিল যে, তাৎক্ষণিক মুহূর্তে ঠাকুরের দৃষ্টিতে আসল-নকল সব এক হয়ে গিয়েছে। শুধু গিরিশচন্দ্র ঘোষ কেন, বঙ্গ রঙ্গমঞ্চেরই পরমপ্রাপ্তি ঘটেছে এই ‘চৈতন্যলীলা’ নাটক থেকে। ঠাকুর সেদিন বিনোদিনীকে যে আশীর্বাদ করেছিলেন তা বিশেষ এক শিল্পীর প্রতি নয়, নবজাত রঙ্গমঞ্চেরই প্রতি গুরুর অসীম আশীর্বাদ। ভদ্র সমাজের, বিশেষ করে ব্রাহ্ম সমাজের ঘৃণায় জর্জরিত শিল্পীকুল সেই আশীর্বাণী থেকে আপন কর্তব্য ও অধিকারের নির্দেশ খুঁজে পেয়েছেন। এই শিল্পীরা যে সমাজেরই অবিভাজ্য অংশ এবং সমাজের কল্যাণ সাধনে লোকশিক্ষা দানের মাধ্যম রূপে নাটকের ভূমিকা সম্পর্কে তাঁদের দায়িত্ব সম্বন্ধে সচেতন হয়ে উঠেছেন। তাই তো শিল্পীকুল অপরিসীম শ্রদ্ধায় ঠাকুরকে গ্রহণ করেছেন মঞ্চের গুরুরূপে, দেবতারূপে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গিরিশচন্দ্রের ‘চৈতন্যলীলা’ নাটকের অভিনয় সেইসব নীতিবাগিশ সমাজপতিদের যোগ্য প্রত্যুত্তরই দিয়েছে। শিল্পী তিনি যে সমাজভুক্তই হোন না কেন, অভিনয়ের ক্ষেত্রে তাঁর নৈপুণ্যই মোদ্দা কথা। তাই নিঃসন্দেহে বলা চলে বঙ্গ রঙ্গমঞ্চেরই ইতিহাসে ‘চৈতন্যলীলা’ এক নব অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।
ঠাকুর দেহ রাখার পর রামচন্দ্র দত্ত স্থাপিত যোগোদ্যান তাঁর অস্থি প্রতিষ্ঠার দিন শোভাযাত্রার পুরোভাগে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী সমাজ। তাঁরা উদার কণ্ঠে গেয়েছিলেন ‘চৈতন্যলালী’ নাটকের গান; ‘হরি মন মজায়ে লুকালে কোথায়’। ব্রাহ্মসমাজ প্রভাবিত গোঁড়ামি থেকে মুক্ত হয়ে নরেন্দ্রনাথ দেখতে গিয়েছিলেন ‘চৈতন্যলীলা’। তাঁর কণ্ঠে তখন ‘চৈতন্যলীলা’ নাটকেরই গান; ‘রাধা বই আর নেইকো আমার রাধা বলে বাজাই বাঁশী।
মানের দায়ে সেজে যোগী
মেখেছি গায় ভস্মরাশি।’
রঙ্গমঞ্চের বদ্ধ পরিবেশ থেকে ‘চৈতন্যলীলা’র গান ছড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের পথে প্রান্তরে। ভাবতে অবাক লাগে সামান্য একটি নাটকের ভাব প্রেরণা কতভাবে কত মানুষের অন্তরে বৈরাগ্যের দীপ জ্বালাতে সক্ষম হয়েছিল।
শ্রীরামকৃষ্ণ ৬৮ নম্বর বিডন স্ট্রিটের স্টার থিয়েটারে যে নাটকগুলি দেখেছেন সেগুলি হল চৈতন্যলীলা, প্রহ্লাদচরিত, নিমাই সন্ন্যাস, দক্ষযজ্ঞ, বৃষকেতু ও বিবাহ বিভ্রাট। প্রথম পাঁচটি গিরিশচন্দ্রের লেখা, শেষেরটি রসরাজ অমৃতলাল বসু’র লেখা। যে বিনোদিনীকে তিনি প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করেছেন, উপরিউক্ত নাটকগুলির সবক’টিতে তিনি অভিনয় করেছেন; ‘চৈতন্যলীলা’য় নিমাই, ‘প্রহ্লাদচরিতে’ প্রহ্লাদ, ‘নিমাই সন্ন্যাসে’ চৈতন্য, ‘দক্ষযজ্ঞে’ সতী, ‘বৃষকেতু’তে পদ্মাবতী, ‘বিবাহ বিভ্রাটে’ (বিলাসিনী কারফরমা)। ‘প্রহ্লাদচরিত’ দেখতে এসে ঠাকুর গিরিশকে বলছেন; ‘বা! তুমি বেশ লিখেছে না!’ গিরিশ প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘মহাশয়, ধারণা কই? শুধু লিখে গেছি।’ ঠাকুর বললেন, ‘না, তোমার ধারণা আছে। সেই দিন তো তোমায় বললাম ভিতরে ভক্তি না থাকলে চালচিত্র আঁকা যায় না।’ অভিনয় যে লোকশিক্ষার প্রধান বাহন, একথা ঠাকুর মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, মানতেন। অভিনয়ে একসঙ্গে অনেক মানুষকে উদ্দীপিত করে তোলা যায়। গিরিশচন্দ্র রঙ্গমঞ্চের সঙ্গে সারাজীবন যুক্ত থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে লোকশিক্ষা বিতরণ করুক, ঠাকুর সর্বদা সে সম্বন্ধে গিরিশচন্দ্রকে উৎসাহ দিয়েছেন। গিরিশ একবার বললে; ‘মনে হয়, থিয়েটারগুলো আর করা কেন।’ বাধা দিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘না না, ও থাক, ওতে লোকশিক্ষা হবে।’ গিরিশচন্দ্রের কাছে ঠাকুর হয়ে উঠেছিলেন অবতার পুরুষ। একদিন ঠাকুরই গিরিশকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি আমার মধ্যে কি দেখেছ?’ গিরিশচন্দ্র নতমস্তষ্ককে করজোড়ে বলেছিলেন, ‘ব্যাস বাল্মীকি যাঁর ইয়ত্তা করতে পারেননি, আমি তাঁর কী বলতে পারি?’ এই অচল অটল বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন মহাকবি গিরিশচন্দ্র। গিরিশচন্দ্র আরও অভিভূত এই কারণে যে, যে অভিনেত্রী সমাজ হীন, ঘৃণিত ছিলেন, পতিতপাবন তাঁদেরই একজনকে শ্রীচরণে স্থান দিয়েছেন। গিরিশচন্দ্রের স্বীকারোক্তির উল্লেখ করি,’ অনেকে আজীবন তপস্যা করিয়া যে মহাফললাভে অসমর্থ হয়, সেই চতুর্বর্গ ফলস্বরূপ শ্রীশ্রীপরমহংসদেবের পাদপদ্ম বিনোদিনী লাভ করিয়াছে।’
08th  June, 2019
জাহান্নামের সমাচার 

আপন সৃষ্টিশীলতায় ওরা ছোটছোট বৃত্ত রচনা করে ঘুরে চলেছে। ‘ওরা’ হল – ইফটা, থিয়েলাইট, যাদবপুর মন্থন, দমদম গোত্রহীন, অশোকনগর নাট্যমুখ এবং দমদম শব্দমুগ্ধ। ছোট ছোট স্বাবলম্বী নাটকের দল। স্বাধীন চিন্তাভাবনা, কল্পনা, সৃষ্টিশীলতাকে নিংড়ে, মেজেঘষে, বিগত দেড় দশক ধরে বাংলার নাট্যমঞ্চকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
বিশদ

22nd  June, 2019
 গঙ্গার ধারে মুক্ত অঙ্গনে নাটক

প্রসেনিয়ামের সাথে কোনও বিরোধিতা নেই, শুধু থিয়েটারের নতুন দিক খোঁজার তাগিদেই এক অভূতপূর্ব সন্ধ্যায় ১৫ই জুন সোদপুর গঙ্গাতীরবর্তী সুখচর পাইন ঠাকুরবাড়ির বিস্তৃত অঙ্গন, অন্দর-বাহির মিলে এক মুক্ত হাওয়ায় যেন এক নতুন ইতিহাস রচিত হল, রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে।
বিশদ

22nd  June, 2019
 নাটকের বই

চন্দন দাশকে নাট্যমোদী মানুষ যতটা চেনেন অভিনেতা এবং নির্দেশক হিসেবে, নাট্যকার হিসেবে ততটা বোধহয় তাঁর পরিচিতি নেই। কিন্তু ঘটনা হল তিনি নাটক লেখেন এবং শুধু নাটকই নয়, কবিতাও তাঁর লেখনী থেকে জন্ম নেয়। ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তাঁর প্রথম নাটক ‘ভুল ঠিকানায়’। ২০১২ সালে সেটি প্রকাশিত হয়।
বিশদ

22nd  June, 2019
 অস্থির সময়ের প্রেক্ষিতে কিছু কথা

  ভোট পরবর্তী হিংসা, হানাহানি, ধর্মীয় সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, এই মুহূর্তে এতটাই বেড়ে গেছে, যা সমাজকে এক ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। চিন্তিত সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে উদ্বিগ্ন, ভীত, চিন্তিত বিদ্ধজনেরা। এই দুশ্চিন্তা, ভয়কে সাধারণের সামনে প্রকাশ করার জন্য এক নাগরিক সভার আয়োজন করেছিলেন বিদদ্বজনেরা। যার শিরোনাম ছিল – এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না।
বিশদ

22nd  June, 2019
কাগজের বিয়ে ও কর্ণ-কুন্তী কিস্‌সা 

আগামী ১৮ জুন গিরিশ মঞ্চে দেখা যাবে দু’ দুটি মজার নাটক। প্রথমটি বেলঘরিয়া থিয়েটার অ্যাকাডেমি প্রযোজিত ‘কাগজের বিয়ে’। কাগজের বিয়ে অর্থাৎ রেজিস্ট্রি ম্যারেজ। লোহালক্কড়ের ব্যবসায়ী রাধাকান্তবাবু কোষ্ঠী বিচার না করে কিছুতেই বিয়ের পক্ষপাতী নন। তাহলে পর্ণার বিয়েটা কি ভেস্তেই যাবে?  
বিশদ

15th  June, 2019
মঞ্চে শঙ্করাচার্যের দর্শন 

সম্প্রতি ‘নীলদর্পণ’ নাট্যসংস্থা শিশির মঞ্চে ‘মোহমুদ্গর’ নাটকটি মঞ্চস্থ করল। এটি একটি একক অভিনয়। নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা একজনই— রণেন্দ্রনাথ ধাড়া। ‘মোহমুদ্গর’ শঙ্করাচার্যের দার্শনিক গ্রন্থ।  
বিশদ

15th  June, 2019
সমসাময়িক সমস্যা তুলে ধরে এ নাটক 

ডাক্তারি এমন এক পেশা, যা অন্যান্য পেশার থেকে অনেকটাই আলাদা। কেননা এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সহমর্মিতা, দায়িত্বশীলতা, বিচক্ষণতা, সততা, সেবার মানসিকতা প্রভৃতি মানবিক গুণগুলি। মানুষের মরাবাঁচা নির্ভর করে চিকিৎসকের হাতে। তাই ডাক্তারকে ভগবানের সমতুল্য মনে করা হয়।  
বিশদ

15th  June, 2019
ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে এ নাটক 

ধর্ম নয়, ধর্মান্ধতা ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতেই কলম ধরেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানবতার অপমান, সংকীর্ণতা, অপব্যাখা ও অপক্ষয়ের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যেই তাঁর লেখা ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ’ বইটি একসময়ে সাড়া ফেলে জনমানসে।  
বিশদ

15th  June, 2019
রাজ্যে অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন বিশিষ্টরা, ডাক সভার 

ভোট পরবর্তী হিংসা ও সামাজিক অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলা নাট্যজগত সহ অন্য ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষেরা। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের নানা অংশে তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা। বাড়ছে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। সামাজিক অনুষ্ঠান ও আচরণবিধিতে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা চলছে।  
বিশদ

15th  June, 2019
আধুনিক যাত্রার রূপকথার এক নায়ক 

শক্তিশালী অভিনেতা শেখর গঙ্গোপাধ্যায়। খ্যাতি আর পতনের আলোছায়ায় বর্ণময় এক জীবন। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস 

যাত্রার দুরন্ত অভিনেতা শেখর গঙ্গোপাধ্যায় আপন প্রতিভায় একটি নিজস্ব ধারা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু দেখা যায় যে উচ্চতায় তিনি আরোহণ করতে পারতেন, সেই শিখরে তিনি পৌঁছতে পারেননি। তিনি যেন শেক্সপিয়ারিয়ান ট্রাজেডির একটি চরিত্র।
বিশদ

15th  June, 2019
প্রকৃত জ্ঞানীর মতোই নিরহঙ্কার এবং আড়ম্বরহীন মানুষ ছিলেন সলিলদা

প্রয়াত হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সলিল বন্দ্যোপাধ্যায়। উঁচুপদে চাকরির লোভ সম্বরণ করে আজীবন থিয়েটারের সেবা করে এসেছেন। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের দল ‘থিয়েট্রন’। প্রথম নাটক ‘প্রথম পার্থ’। তাঁর নির্দেশিত ‘বিসর্জন’, ‘অসংগত’, ‘খেলাঘর’ প্রভৃতি নাটকগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। স্মৃতিচারণ করলেন সংগ্রামজিৎ সেনগুপ্ত।
বিশদ

08th  June, 2019
ভালো প্রযোজনার ইচ্ছেই সম্বল

 প্রত্যন্ত একটি গ্রামে বাবা মায়ের সঙ্গে বাস অভির। একটি অখ্যাত অনামী স্কুলে অভির পড়াশোনা। কিন্তু স্কুল যাই হোক না কেন পড়াশোনায় অভি অত্যন্ত ভালো আর কৃতী ছাত্র হওয়ার সুবাদে গ্রামের মানুষ তাকে একটু অন্যরকমভাবে দেখে। অর্থাৎ ভালোছেলের মর্যাদায় ভূষিত অভি। অভির গৃহশিক্ষক (নাটকে ব্যবহৃত নাম মাস্টারমশাই) অভির আদর্শ।
বিশদ

08th  June, 2019
অন্যায় ও মনস্তত্ত্ব

  মনস্তত্ত্ব আর আবেগ দুটি অত্যন্ত জটিল বিষয়। যার ব্যাখ্যা করা সহজ নয়। কারণ এই দুটি বিষয়ের ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই যখন মানুষ ভুল করে, তখন তার কাজের একটা ব্যাখ্যা থাকে নিজের কাছে। যেটা সে অন্যদের বোঝাবার চেষ্টা করে। কিন্তু সে বুঝতে পারে না যে তার ছোট্ট একটা ভুল অন্য একজনের কত বড় ক্ষতি করে দিতে পারে।
বিশদ

08th  June, 2019
পড়াশুনো না জেনেও ইংরেজিতে সংলাপ বলতেন

 যাত্রাভিনেত্রী বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  June, 2019

Pages: 12345

একনজরে
সংবাদদাতা, বসিরহাট: ভ্যাপসা গুমোট গরমের শেষে একটানা বৃষ্টির স্বস্তি এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বসিরহাট পুরসভা এলাকায়। বেশিরভাগ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি জলের তলায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর শহরে দলমাদল রোডে ভরসন্ধ্যায় যুবক খুনের ঘটনায় শুক্রবার রাতে পুলিস এক ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মধুসূদন মাঝি। তার বাড়ি বিষ্ণুপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ,ওইদিন সন্ধ্যায় ফুচকা বিক্রেতার সঙ্গে যুবকের বচসা বাধে। তা ...

 সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি সদর এলাকায় টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে ময়নাগুড়ি পুলিস প্রশাসন বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ব্যস্ত রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে টোটো পার্কিং করা হলে তা ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গঙ্গাবক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন। ভাগীরথী নদীর উপর এই সাঁতার প্রতিযোগিতা হবে ৮১ ও ১৯ কিলোমিটার দূরত্বে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম
১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম
১৯৫৮: ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করলেন প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস
১৯৮০: সঙ্গীতশিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৯ টাকা ৭২.২৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৮১ টাকা ৮৭.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৩ টাকা ৮০.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  August, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,২৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ভাদ্র ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৯/৪৯ রাত্রি ১/১৪। পূর্বভাদ্রপদ ২৯/২ অপঃ ৪/৫৫। সূ উ ৫/১৮/২, অ ৬/৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৯ গতে ৯/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/২ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৩২ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৩/৯/৬ রাত্রি ১০/৩২/৩৬। পূর্বভাদ্রপদনক্ষত্র ২৬/১/৪১ দিবা ৩/৪১/৩৮, সূ উ ৫/১৬/৫৮, অ ৬/৫/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/১২ গতে ৯/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫/১৬ গতে ১১/৪১/২২ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪১/২২ গতে ১/১৭/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫/১৬ গতে ২/২৯/১০ মধ্যে।
 ১৬ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রাকবিবাহ কথাবার্তাও হতে পারে। বৃষ: সৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম১৯৫৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

নেতাজিনগরে ২টি অটোর সংঘর্ষ, জখম মহিলা 

08:31:00 PM

বেনিয়াপুকুরে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার 

06:21:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:49:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:46:00 PM