দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
২০২২ সালের মার্চ মাসে এই সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন পলা। ওই বছরই ২২ অক্টোবর পলা জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী। এরপর থেকে মর্নিং সিকনেস-সহ কিছু শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন তিনি। চিকিৎসক তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শও দেন। তাই সমস্ত নথিপত্র-সহ বাড়ি থেকে কাজ করার আবেদন করেন পলা। কিন্তু তাঁর সংস্থা তাঁকে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এমনকী, অসুস্থ শরীরে কাজে যোগ দেওয়ার পরেও ফের একই আবেদন করেন পলা। তাতেও আবেদন মঞ্জুর করেনি সংস্থাটি। এর মধ্যেই বাড়াবাড়ি রকমের অসুস্থতার জন্য ছুটি নিতে বাধ্য হন পলা। ছুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে তাঁর ম্যানেজারকে ফের জানান, তিনি কতটা অসুস্থ। এর উত্তরে তাঁর ম্যানেজার আম্মার কবির তাঁকে একটি ব্যঙ্গাত্মক উত্তর দেন ও শেষে জুড়ে দেন একটি ‘জ্যাজ হ্যান্ড’-এর ইমোজি। এরপর
১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অসুস্থ পলার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি তাঁর সংস্থা। এমনকী ডিসেম্বর থেকে তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পলা বেতন বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে আবেদন করলে তাঁকে কবির একটি এক লাইনের মেসেজে জানান, অফিসে থেকে কাজ করতে পারবে এমন একজন কর্মীকেই সংস্থার প্রয়োজন। পলাকে যে সংস্থা বরখাস্ত করেছে, তা ওই বার্তায় স্পষ্ট করে বলা ছিল না। এরপরই আইনি সাহায্য নেন তিনি। সম্প্রতি আদালতে এই মামলাটির নিষ্পত্তি হয়েছে। বিচারক গ্যারি স্মার্ট অমানবিকতার জন্য ভর্ৎসনা করেন পলার সংস্থাকে। ট্রাইবুনালের মতে, পলার সঙ্গে যা হয়েছে তা ‘অন্যায়’, তাঁকে অন্যায্যভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই মতের সঙ্গেই সংস্থাকে ৯৩,৬১৬ পাউন্ড (যার ভারতীয় মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা) জরিমানার রায় দেন বিচারক।