পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
কমলালেবুর খোসা মিশিয়ে এমন অসংখ্য ফেস প্যাক তৈরি করা যায় যা ত্বকে অ্যান্টি-এজিং ও অ্যান্টি-ট্যান এফেক্ট তৈরি করতে পারে। তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক ত্বক সবেতেই এর উপযোগিতা রয়েছে। কমলালেবুর খোসা থেকে আপনি কী কী পাবেন, এবার জেনে নিন।
ভিটামিন সি তো বটেই, তার সঙ্গে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফলিক অ্যাসিড এবং এসেনশিয়াল অয়েল-এর গুণও থাকে খোসায়। ভিটামিন সি ত্বকের দাগছোপ দূর করে, ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। দই বা মধুর সঙ্গে কমলালেবু খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে লাগালে ত্বক নতুন করে তরতাজা হয়ে উঠবে। তবে এটা ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট অবশ্যই করে নেবেন। আপনার কোনও অ্যালার্জি থাকলে হিতে বিপরীত যেন না হয়।
তৈলাক্ত ত্বকে কীভাবে ব্যবহার করবেন কমলালেবুর খোসা থেকে পাওয়া পাউডার? দু’চামচ চালের গুঁড়ো, এক চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো আর পরিমাণমতো গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন এই প্যাক মুখে লাগান। তৈলাক্ত ভাব অনেকটা কমবে। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে এক চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সঙ্গে মেশান এক চামচ মধু, আর এক চামচ ময়দা, সঙ্গে পরিমাণমতো জল। এই পেস্ট মুখে লাগাতে পারেন সপ্তাহে এক-দু’বার। এই মিশ্রণ ত্বক থেকে ট্যান কমাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করে। মধু ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে।
আর মোটামুটি যাদের ত্বক স্বাভাবিক, আলাদা করে কোনও সমস্যা নেই, তাদের জন্য এক চামচ কমলালেবুর খোসার পাউডারের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, এক চামচ মুলতানি মাটি, পরিমাণমতো দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এটা মুখে লাগান সপ্তাহে একবার। ব্রণ এবং ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস এই প্যাকের সাহায্যে কমাতে পারেন।
ত্বকে লালচে পোড়া ভাব থাকলে বাড়িতে বানানো কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সঙ্গে মেশান দু’চামচ অ্যালোভেরা। এই মিশ্রণে দু-তিন ফোঁটা লেবুর রস যোগ করুন। পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে মুখে অ্যাপ্লাই করে মিনিট পনেরো রেখে দিন। ঠান্ডা জলে তারপর মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন নিয়মিত ব্যবহারে লালচে ভাব অনেকটা দূর হবে।
এক চামচ দই, এক চামচ মধুর সঙ্গে মেশান দু’চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো। ঘন মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রেখে দিন ১০-১২ মিনিট। ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বক ঝকঝক করবে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এক্সফোলিয়েশন হবে।
স্ক্রাব হিসেবেও কাজে লাগাতে পারেন কমলালেবুর খোসা থেকে তৈরি পাউডারকে। দরকার শুধু একটু চিনি। এক চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সঙ্গে দিন হাফ চাচম চিনি। সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর গোলাপ জল। মিশ্রণটা স্ক্রাব হিসেবে মুখে লাগিয়ে হাল্কা মাসাজ করুন ৫-৭ মিনিট। চিনির দানা মিলিয়ে যাবে। মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার ত্বকে মেখে নিন ময়েশ্চারাইজার। ত্বক ভীষণ উজ্জ্বল হবে।
এ তো গেল সৌন্দর্য-চর্চার ক্ষেত্রে কমলালেবুর খোসার গুণকীর্তন। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, কমলালেবুর খোসা খেতে পারলেও উপকার আছে। তবে ঘনঘন খাওয়া যাবে না। এছাড়া এই জিনিসটি শরীরে মানিয়ে নিয়ে খাবেন এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাওয়ার কথা ভাববেন। খোসায় রয়েছে পলিফেনল যা হার্ট ভালো রাখে এবং হজমশক্তিতে সহায়ক। ওবেসিটি এবং অ্যালঝাইমার্স জাতীয় রোগেও এই খোসার উপকার রয়েছে। ভিটামিন বি সিক্স, ক্যালসিয়াম, প্রোভিটামিন এ ইত্যাদিও পাবেন এতে।
খোসা থেকে খুব সামান্য অংশ নিয়ে সেটাই খেতে পারেন। এছাড়া কেউ যদি চান, ছোট ছোট টুকরো স্যালাড বা স্মুদিতে যোগ করে খেতে পারেন। কমলালেবুর খোসা যেভাবেই ব্যবহার করুন, তার আগে ভালো করে এটা ধুয়ে নিতে হবে। খোসার স্বাদ কিন্তু মোটেই ভালো নয়, এটা জেনে তবেই এগবেন।