পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ত্বকের চিকিৎসার মতো ত্বকচর্চাতেও এসেছে অভিনবত্ব। যে খাবার শুধুই খেতে ভালো বা খেতে উপকারী বলে আমরা জানতাম, ইদানীং সেগুলো দিয়েও ত্বকচর্চার নানা দিগন্ত খুলে দিচ্ছেন বিশ্বের তাবড় রূপবিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি যেমন আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ‘ডেট প্যাক’। না, এর সঙ্গে এক্সপায়ারি ডেট-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এই ‘ডেট’ মানে ‘খেজুর’।
পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে আছে প্রচুর আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম। তাছাড়া ভিটামিনেরও বড় সম্ভার এই খেজুর। ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬-এর খুব ভালো উৎস খেজুর। খেজুরে ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্টও রয়েছে। ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতেও এই ভিটামিনগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চুল ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্যে তাই খেজুর বিশেষ উপযোগী। সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ডেট প্যাকে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়, চুলের ঔজ্জ্বল্য ফেরে, ত্বক টানটান ও সুন্দর হয়ে ওঠে বলেই দাবি রূপবিশেষজ্ঞদের।
ত্বকের জন্য ‘ডেট প্যাক’
কয়েকটি খেজুর, কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে উঠে দেখবেন এর খোসা নরম হয়ে গিয়েছে। এবার সেই খেজুরের বীজ ছাড়িয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডারে দিয়ে বেটে নিন। এর সঙ্গে যোগ করুন কয়েক ফোঁটা মধু ও এক চামচ কাঁচা দুধ। ভালো করে মুখ ধুয়ে নরম কাপড়ে শুকনো করে মুখ মুছে নিন। এবার এই মিশ্রণ মুখে মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। মধুর কারণে ত্বক খানিক সময় পর থেকে টানতে শুরু করবে। তখন ভালো করে মুখ ধুয়ে এই প্যাক তুলে দিন। সপ্তাহে তিনদিন এই প্যাক ব্যবহার করলেই ত্বকের জেল্লা বাড়বে। দাগছোপ ও বলিরেখা ধীরে ধীরে হাল্কা হয়ে মিলিয়ে যেতে শুরু করবে।
চুলের জন্য ডেট প্যাক
শুধু ত্বক নয়, চুলের ক্ষেত্রেও খেজুর দিয়ে সারতে পারেন ঘরোয়া যত্ন। সেক্ষেত্রে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন ১০টি খেজুর। সকালে তার বীজ ছাড়িয়ে ১ চামচ টক দই ও ১ চামচ মেথির সঙ্গে বেটে নিন। এবার এই প্যাক পরিষ্কার চুলে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ধুয়ে ফেলুন চুল। এছাড়া প্রতিদিন খেজুর ভেজানো জলে স্নানও করতে পারেন। চুল ধোয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এই জল। দু’-তিন গ্লাস জলে কয়েকটা খেজুর ও মেথি ফেলে দিন। জল ফুটে গেলে সেই জল ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এবার মেথি ও খেজুরে ফোটানো জল ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই জল রোজ ব্যবহার করলে চুলের ডগা সহজে ফেটে যায় না। তা নরম ও উজ্জ্বল হবে।