Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। সার্ভে চলছে সরেজমিনে। তাই তদন্তকারী টিমকে ধোঁকা দিতে দালানবাড়ির আরাম ছেড়ে কেউ শয্যা পেতেছেন গোয়ালঘরে, কেউ ঝুপড়িতে। বলাই বাহুল্য এই ‘কৃচ্ছ্রসাধন’ গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে আবাসের এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা পকেটস্থ করার অভিপ্রায়ে। এরপর তো প্রশ্ন উঠবেই, ‘আর কবে? আর কবে সিক্ত হবে হৃদয়? আর কবে সমব্যথী হবে?’
বাংলায় একুশের নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়। সেই বছর থেকে বন্ধ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। পরের বছর আবাস যোজনার টাকাও। প্রাপকের তালিকায় ছিল প্রায় ৩৯ লক্ষ পরিবার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, তালিকা সংক্ষিপ্ত করে দাঁড় করাতে হবে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজারে। হাতে সময় মাত্র তিন মাস। সব কাজ ফেলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি করা হল তালিকা। কিন্তু কেন্দ্র টাকা দিল না। কারণ দিল্লির সরকারের উদ্দেশ্য ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রাম বাংলায় বিশৃঙ্খলার সলতেটা পাকানো, গরিব মানুষকে পাকাবাড়ি দেওয়া নয়। 
বিজেপি নেতৃত্ব জানত, সার্ভে শুরু হলেই শাসক দলের উপর ক্ষোভ আছড়ে পড়বে। কারণ ৬৫ শতাংশের নাম বাদ দিলে বঞ্চিত হবে হাজার হাজার গরিব। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দুঃস্থ সেজে থাকা বিত্তবানদের নামও সামনে আসবে। সেইসব বাড়ির ছবি দেখিয়ে বঞ্চিত মানুষের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালা যাবে। তাতে পঞ্চায়েত ভোটে বিপাকে পড়বে রাজ্যের শাসক দল। বিজেপির পরিকল্পনা ছিল নিখুঁত। সার্ভে শুরু হতেই হইচই পড়ে গিয়েছিল। কারণ সামনে এসেছিল তালিকায় থাকা তৃণমূল নেতার চারতলা বাড়ির ছবি। তাতে বিজেপির ঘোঁট পাকানোর উদ্দেশ্য সফল হলেও গরিবের কোনও উপকার হয়নি। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় এখনও হাজার হাজার গৃহহীনের দিন কাটছে ঝুপড়িতে, খোলা আকাশের নীচে।
কেন্দ্র বাংলার গরিবদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেননি। বাংলা আবাস প্রকল্পে গরিবদের পাকা বাড়ি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তারই তালিকা তৈরি হচ্ছে। এখনও বহু সম্ভ্রান্ত পরিবারের নাম রয়েছে। যদিও সার্ভের সময় দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ তালিকা তৈরির দায় রাজ্যের শাসক দল অস্বীকার করতে পারে না। পঞ্চায়েতের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদেরই স্বচ্ছ তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, নেননি। তাদের উদাসীনতা, অপদার্থতার দায় বইতে হচ্ছে সরকারকে।
সরকারি প্রকল্প থেকে যাতে কেউ বাদ না পড়েন তারজন্য বারবার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চালু করেছেন ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এড়াতে সেই কাজে যুক্ত করেছেন সরকারি কর্মীদের। বাংলা আবাসেরও স্বচ্ছ তালিকা চাইছেন। তাই তালিকা যাচাইয়ের দায়িত্ব সরকারি কর্মীদের। পঞ্চায়েত স্তরের সাধারণ কর্মী থেকে জেলাশাসক পর্যন্ত তালিকা তদারকি করছেন। প্রতিটি জেলায় বাদ যাচ্ছে হাজার হাজার নাম। তারপর সেই তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে পঞ্চায়েত থেকে জেলা, সর্বত্র। থাকবে অনলাইনেও। এরপরেও কোথাও কোনও অসঙ্গতি থাকলে রয়েছে সংশোধনের সুযোগ।
এত কিছুর পরেও চূড়ান্ত তালিকা সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হবে, এমন গ্যারান্টি নেই। তাকে নির্ভুল করার দায়িত্ব বিরোধীদেরও। স্বচ্ছ তালিকার দাবিতে মিছিল মিটিং হোক। কিন্তু সেটা করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। গরিব মানুষগুলোকে সরকারি পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার উদ্যোগও নিতে হবে। বাদ পড়া দুঃস্থদের নামের তালিকা প্রশাসনকে দিতে হবে। সেটা না করলে গরিব মানুষ আক্ষরিক অর্থেই ‘রাজনীতির পণ্যে’ পরিণত হবে। 
বিধানসভা নির্বাচন আর বছর দেড়েকও নেই। আর জি কর কাণ্ডের প্রকৃত সত্য সামনে এসেছে। তাই বিরোধীদের হাতে কোনও ইস্যু নেই। বিরোধীরা আশা করেছিল, বাংলা আবাস নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চরমে উঠবে। সেই আশায় মাঠেও নেমেছিল। সার্ভেতে যাওয়া অফিসারদের আটকে, পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার আবাসের তালিকা যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্ত করাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে। সরকারি কর্মী তালিকা পরীক্ষার পর পুলিস এবং পদস্থ অফিসাররা ‘সুপার চেকিং’ করছেন। বিভিন্ন পর্যায়ে স্ক্রুটিনি চলছে। এরকম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বেনিফিসিয়ারির তালিকা তৈরি বাংলায় এর আগে কোনওদিন হয়নি। সম্ভবত এমন নজির দেশেও নেই।
দুর্নীতি, অপরাধ সামাজিক ব্যাধি। সমাজ সৃষ্টির আদিতে ছিল, এখন আছে, আগামী দিনেও থাকবে। তাকে সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায় না। তবে চেষ্টা করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সম্প্রতি রেশন বিলি সংক্রান্ত আইসিআরআইআর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মিলেছে তারই প্রমাণ।
২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে দেশজুড়ে চালানো সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রেশনের খাদ্যদ্রব্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছনোর আগেই ২৮ শতাংশ উধাও হয়ে যায়। এর পরিমাণ প্রায় ২কোটি টন। যার আনুমানিক মূল্য ৭০ হাজার কোটি টাকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্সে’র হুঙ্কার ছাড়া নরেন্দ্র মোদির আমলে এত দুর্নীতি হচ্ছে কী করে? দুর্নীতি ঠেকানোর কোনও রক্ষাকবচই কি তাহলে সরকারের নেই? সবটাই ফাঁকা আওয়াজ? সেই জন্যই কি নজর ঘোরাতে সমস্ত বিরোধী দলের দুর্নীতিকে জনসমক্ষে আনছে?
তবে সমীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি হল, দেশে রেশনের যত খাদ্যপণ্য পাচার হয়, তার প্রায় ৬৫ ভাগই হয়েছে পাঁচটি রাজ্যে। কোন কোন রাজ্যে? উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার ও গুজরাত। প্রতিটি রাজ্যই বিজেপি শাসিত। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, সেখানে চলছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির যখন এই হাল তখন বাংলায় তার পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে এটাই ছিল প্রায় ৬৯ শতাংশ।
দেশের মধ্যে একমাত্র এ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জেলে রয়েছেন। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি দোষী নাকি নির্দোষ সেটা প্রমাণ হবে আদালতে। বাস্তব হল, তিনি জেল খাটছেন। কিন্তু যেসব রাজ্যে বাংলার থেকে অনেক বেশি রেশন দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না? বিজেপির সরকার আছে বলে? এসব দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার মানে কি তাহলে দুর্নীতির ডাবল সুরক্ষা?
সাধারণত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে রেশনকার্ডের সংখ্যাও। অথচ বাংলায় ঘটেছে উল্টো। ১৩ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। কিন্তু বাম আমলের চেয়ে রেশন কার্ড কমেছে প্রায় এক কোটি। এখন রাজ্যে মোট রেশনকার্ডের সংখ্যা প্রায় ৮কোটি ৮৪ লক্ষ। তারমধ্যে ৮কোটি ৬৩ লক্ষ কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা আছে। আঙুলের ছাপ ছাড়া রেশন সামগ্রী পাওয়া যায় না। তাতে ভুয়ো কার্ড বানিয়ে রেশন তোলার রাস্তা বন্ধ। রেশনের ডিলারশিপে এখন ‘মধু’র ছিটেফোঁটাও নেই। তাই অনেকে ডিলারশিপ ছেড়ে দিতে চাইছেন। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করেই জানেন, পান থেকে চুন খসলে রক্ষে নেই। যে কোনও ছুতোয় কেন্দ্র টাকা আটকে দেবে। তাই ফাঁক-ফোকর দেখলেই বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছেন। তবে, সেই নির্দেশ পালনে দলীয় নেতৃত্ব বা অফিসাররা কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে সাধারণ মানুষের সংশয় নেই। তাই তাঁকে কালিমালিপ্ত ও ক্ষমতাচ্যুত করার সর্বগ্রাসী চেষ্টায় বারবার জল ঢেলে দিয়েছে বাংলা। 
দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে বিজেপি বাংলার গরিব মানুষের পেটে লাথি মারছে, মাথার ছাদ কেড়ে নিচ্ছে। কিন্তু  দুর্নীতি রোধে বিজেপি শাসিত রাজ্যে তারা কী করছে? এর উত্তর নরেন্দ্র মোদি না দিলেও আম জনতা জানে, বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুললে গলা টিপে ধরা হয় অভিযোগকারীরই। উদাহরণ? মহুয়া মৈত্র। বিজেপির প্রিয় ‘কর্পোরেট বন্ধু’র বিরুদ্ধে আঙুল তোলায় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁর সাংসদ পদ। কিন্তু এবার? অভিযোগটা এসেছে খোদ মার্কিন মুলুক থেকে। তাতে চৌকিদারের রক্তচাপ কিছুটা হলেও বাড়বে বইকি!
23rd  November, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
একনজরে
রাজ্যের পর্যটনকে বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। আন্তর্জাতিক পর্যটনে বাংলাকে ‘ডেস্টিনেশন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানিয়েছেন। ‘হোম ট্যুরিজিমে’ ...

চলতি মরশুমের শুরুর দিকে রক্ষণের সমস্যায় বারবার ভুগতে হয়েছে মোহন বাগানকে। ডুরান্ড কাপে ব্যর্থতার পর আইএসএলের প্রারম্ভিক পর্বেও অগোছাল ছিল হোসে মোলিনার রক্ষণ। তবে সম্প্রতি ...

স্কুলে ভর্তির নিয়মাবলি প্রকাশ করেও ফর্ম বিলির দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেনি শিক্ষাদপ্তর। সূত্রের খবর, ওবিসি সংরক্ষণে আইনি জটিলতার কারণেই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে সরকার। ...

চা, কমলার পর সব্জি। একের পর এক গ্রিন হাউস ও পলিহাউসে ফলছে লেটুস, মাশরুম, পাক চোই, জুকিনি, ব্রোকলি ও বাঁধাকপি প্রভৃতি সব্জি। উদ্যানপালন দপ্তরের সহযোগিতায় তা চাষ করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দার্জিলিং পাহাড়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস
১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম
১৮৮৪: বিশিষ্ট দার্শনিক, রাজনীতিবিদ তথা ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদের জন্ম
১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম
১৯৫৬: সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ডা. ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড প্রথমবারের মত মানবদেহে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন
১৯৭৯: হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের মৃত্যু
১৯৮২: কবি বিষ্ণু দে’র মৃত্যু
১৯৮৩: বাংলা ভাষায় প্রথম ‘ছোটদের অভিধান’ প্রকাশ করে বাংলা অ্যাকাডেমি
১৯৮৪: ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনায়  কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারান
২০১১: অভিনেতা দেব আনন্দের মৃত্যু
২০২০: সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন স্মরণে কলকাতার মাঝেরহাটে জয় হিন্দ সেতু নামে নতুন ব্রিজের উদ্বোধন হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৭৩ টাকা ৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮৫ টাকা ১০৯.৬১ টাকা
ইউরো ৮৭.৮২ টাকা ৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৭/৪৩ দিবা ১/১০। পূর্বাষাঢ়া ২৭/৫৩ সন্ধ্যা ৫/১৫। সূর্যোদয় ৬/৫/২১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৩৫। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/০। সূর্যোদয় ৬/৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
৩০ জমাদিয়স আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পারিবারিক বিরোধের জের, রাজস্থানে সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা-মা

10:26:00 PM

তেলেঙ্গানায় মহিলা পুলিস কর্মীকে খুনের অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে

10:00:00 PM

ঝাড়খণ্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিসের সঙ্গে বৈঠক করলেন হেমন্ত সোরেন

09:44:00 PM

কৃষকরা এমএসপির আইনি স্বীকৃতি চান, তাই প্রতিবাদ করছেন: তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়

09:23:00 PM

মুম্বইতে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে দেখা করলেন শচীন তেন্ডুলকর

09:10:00 PM

অভিনয় ছাড়ছেন না, আজ স্পষ্ট করে দিলেন অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি
অভিনয় ছাড়ছেন না। আজ, মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিলেন বলিউড অভিনেতা ...বিশদ

09:03:39 PM