Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন। সদস্য হওয়া যেখানে এতটাই সহজ সেখানে বাঁধন দুর্বল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। দলের সঙ্গে সদস্যদের আন্তরিক সম্পর্কও তেমন তৈরি হবে না। সেই কারণে অনেকে ভোট পেলেও বুথে বসার এজেন্ট জোগাড় করতে বিজেপির কালঘাম ছুটে যায়। কথায় আছে, ভাড়াটে সেনা দিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না। সেখানে মিসড কল দিয়ে ‘যোদ্ধা’ জোগাড় করলে ছাব্বিশেও বাংলাকে মিস করবে বিজেপি। কারণ কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না।
বছর খানেক পরই এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৫ সালে কয়েকটি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। সেই পুরভোটের ফল যাই হোক না কেন, বিরোধীরা তাকে জনমতের প্রতিফলন বলে মানতে চাইবে না। কারণ পুরসভার নির্বাচন রাজ্যের পুলিস এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করে। পুরভোটের ফল নিয়ে বিরোধীরা কী প্রতিক্রিয়া দেবে, তা এখনই বলে দেওয়া যায়। 
জগৎ পরিবর্তনশীল হলেও এ রাজ্যের বিরোধীদের নির্বাচনী প্রতিক্রিয়ার কোনও পরিবর্তন হয় না। ভোটের আগে বিরোধীরা বলে, ‘মানুষ জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। ভোট দিতে পারলে আমাদের জয় নিশ্চিত।’ আর ভোট মিটলেই বলে, ‘নির্বাচনের নামে যা হয়েছে তা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।’ কেউ কেউ একপা বাড়িয়ে বলেন, ‘জরুরি অবস্থা জারি না করলে এ রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট অসম্ভব।’ কারণ বিজেপি বুঝে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর ক্ষমতা তাদের নেই। তাই উপ নির্বাচনে ‘প্রহসন’ হয়েছে একথা বলে ২৩ নভেম্বরের ফলাফল নিয়ে আগাম সাফাই দিয়ে রাখছে বিরোধীরা। 
তবে, এই উপ নির্বাচনে বিরোধীদের ফের একবার শক্তির পরীক্ষা হবে। উপ নির্বাচন হয়েছে নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হত্তাকর্তা অমিত শাহ। বাংলার ক্ষমতা দখল তাঁর পাখির চোখ। তাই নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের উপর ছিল কড়া নজর। পাঠানো হয়েছিল পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁর উদ্দেশ্য সফল। কারণ ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ।
বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখাটা বিজেপির বিশেষ পরিকল্পনার অঙ্গ। বঙ্গে তারা প্রধান বিরোধী দল। তবে সেটা সংগঠনের জোরে হয়নি, হয়েছে বামেদের কৃপায়। ২০১৯ সাল থেকে তারা এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি। কিন্তু এখনও রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় সংগঠন তৈরি করতে পারেনি। তৃণমূলের নেগেটিভ ভোট এবং হতাশাগ্রস্ত বামেরাই বিজেপির শক্তি। তাই বিজেপি বাংলার মানুষের ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশের জায়গাটাকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছে। সেই উদ্দেশ্যেই প্রতিটি বুথের দরজায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা। তাতে বাইরে অশান্তি হলেও চটের ঘেরাটোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে।
এবারের উপ নির্বাচনে যে দু’একটি জায়গায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল তা বুথের বাইরে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠলেও বুথ আগলেছে দক্ষতার সঙ্গে। ফলে কোথাও বুথ দখল বা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠেনি। কোনও দল কমিশনের কাছে পুনর্নির্বাচনের আবেদন জানায়নি। এমনকী, মেদিনীপুর আসনের বিজেপি প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া, ‘দিনের শেষে আমি খুশি।...জনগণ ইস্যুর উপর ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের কাছে গিয়েছি। এরপর যে রায় হবে তা মাথা পেতে মেনে নিতে হবে।’
জনাদেশ মেনে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করলে ভবিষ্যতের চলার পথ মসৃণ হয়। কিন্তু সেই রাস্তায় হাঁটতে চায় না বিজেপি। কারণ তারা একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এঁটে ওঠা সম্ভব নয়, এটা বুঝে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে মাঠে নামিয়েছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের জেলে ভরেছে। তাতেও লাভ হয়নি। একুশের ভোটে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে টার্গেটের অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার আগেই। ভোটে হারার জ্বালা মেটাতে বাংলার গরিব মানুষকে ভাতে মারছে। তিন বছর ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। আটকে দিয়েছে আবাস যোজনার টাকা। তাতে কেন্দ্রের তহবিল হয়তো ফুলেফেঁপে উঠছে, কিন্তু বাংলার মানুষ দিনদিন ক্ষিপ্ত হচ্ছে। তারই প্রতিফলন ঘটছে ইভিএমে।
চমকে ধমকে, নির্বাচনের আগে দলিতের বাড়িতে ভাত খেয়ে অন্য রাজ্যের ভোটে সাফল্য পাওয়া যায়, কিন্তু বাংলায় সেটা অসম্ভব। কেউ ভুল করলে বাংলা যেমন প্রতিবাদে গর্জে ওঠে, তেমনই আপদে বিপদে পাশে থাকলে তাকে ‘বন্ধু’ ভাবে। হাজার প্ররোচনাতেও সেই সম্পর্ক নষ্ট করা যায় না। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় কোনও খামতি ছিল না। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রভাব কতটা পড়েছে, সেটা ভোটের ফলে প্রমাণ হবে। তবে, বিরোধীরা আর জি করের জের ছাব্বিশের নির্বাচন পর্যন্ত টানতে চাইছে। তারজন্যই উপ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলছে। ভোটের ফলকে ‘মানুষের রায়’ হিসেবে মানলে ছাব্বিশের নির্বাচনে কর্মীদের মাঠে নামাতে পারবে না।
আসন সংখ্যার নিরিখে রাজ্যে বামেরা শূন্য। তা সত্ত্বেও উপ নির্বাচনে তাদের উপস্থিতি এবং নড়াচড়া ভালোই লক্ষ করা গিয়েছে। ছ’টি আসনের মধ্যে একমাত্র তালডাংরায় সিপিএমের প্রার্থী ছিল। এই কেন্দ্রে এজেন্ট বসানোর ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়েছে বামেরা। ২৬৪টি বুথের মধ্যে মাত্র ২২টিতে এজেন্ট দিতে পারেনি তারা। বিজেপি দিতে পারেনি পাঁচটি বুথে। অর্থাৎ অধিকাংশ বুথেই বিরোধীদের এজেন্ট ছিল। বুথের পাহারায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথাও বুথ দখলের অভিযোগ ওঠেনি। তারপরেও ভোট কেন ‘প্রহসন’ হবে?
এবারের উপ নির্বাচনে মাদারিহাট বাদ দিলে আর কোথাও বিজেপির উজ্জ্বল উপস্থিতি নজরে আসেনি। ভোটের দিন মনোজ টিগ্গা সেভাবে ঘুরতে না পারায় কার্যত প্রাণহীন ছিল বিজেপির বুথ। মাদারিহাট বাদে প্রায় সর্বত্র বামেদের অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে। তবে, তারা নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির কাজে খেটেছে, নাকি বিজেপির সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে, সেটা বোঝা যাবে ইভিএম খোলার পর। যদিও এখানে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হল, শূন্যে পৌঁছে যাওয়া বামেরা যেখানে অনায়াসেই অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারল, সেখানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের কালঘাম ছুটল কেন?
বিজেপি এবং সিপিএম দু’টিই রেজিমেন্টেড পার্টি। তবে সদস্যপদ দেওয়ার পদ্ধতিতে ফারাক বিস্তর। মোবাইলের মিসড কল দিলেই বিজেপির সদস্য হওয়া যায়। কিন্তু সিপিএমের সদস্য হতে গেলে রীতিমতো পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এগতে হয়। প্রথমে শাখা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে অর্জন করতে হয় এজি মেম্বার। তারপর সিএম। সবশেষে হওয়া যায় পার্টির সদস্য(পিএম)। সব মিলিয়ে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত বছর। পার্টির প্রতিটি কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করলে জোটে সদস্যপদ। এর ফলে পার্টির সঙ্গে সদস্যর একটা আন্তরিক যোগ তৈরি হয়। সেইজন্যই বামেদের মিটিং, মিছিলে ভিড় হয় অনেক বেশি। 
দক্ষিণপন্থী দলগুলি এসবের ধার ধারে না। বিশেষ করে বিজেপি একেবারেই একটি ভোটকেন্দ্রিক দলে পরিণত হয়েছে। তাদের যাবতীয় কর্মসূচি হয় ভোটের মুখে। সংগঠক তৈরি করতে পারে না। তাই বিরোধীদের দখলে থাকা প্রায় সব রাজ্যেই শাসক দলের নেতাকে ভাঙিয়ে কুর্সি দখলের চেষ্টা করে। মহারাষ্ট্র, বিহার প্রভৃতি রাজ্যে তাদের সেই গেমপ্ল্যান সফল হয়েছে। কিন্তু বাংলায় তা হয়নি। কারণ বাংলায় লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই শক্ত করতে হয় রাজনৈতিক মাটি। কিন্তু বিজেপি সে রাস্তায় হাঁটতে চাইছে না।
বিজেপি মাছ ধরতে চাইছে। কিন্তু জাল টানার পরিশ্রমটুকুও করতে নারাজ। তাই তারা ঘুনিজাল পেতে রাখছে। সেই খাবারের লোভে বা তাড়া খেয়ে জালে যারা ঢুকছে, সেটাই বিজেপির প্রাপ্তি। তাই পুকুরে মাছ থাকলেও ঘুনিজালে কতটা পড়েছে, সেটা বুঝতে পারছে না। কিন্তু সামনে আছে অতীতের ট্র্যাক রেকর্ড। সেই স্ক্রিনে চোখ রেখে বিজেপি বুঝতে পারছে, কী পরিণতি অপেক্ষা করছে। তাই কি ‘প্রহসনে’র গাওনা!
16th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
একনজরে
ধোঁকা দিল গুগল ম্যাপ! মৃত্যুর পথে ঠেলে দিল একটি গাড়ির তিন আরোহীকে! শনিবার রাতের এমন ঘটনা ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে। নির্মীয়মাণ সেতু থেকে রামগঙ্গা নদীতে পড়ে গেল গাড়ি। ফলে মৃত্যু হয়েছে গাড়ির তিন যাত্রীরই। ...

ঋষভ পন্থ বা শ্রেয়স আয়ার নন। লোকেশ রাহুল, জস বাটলার বা মহম্মদ সামিও নন। বরং বেঙ্কটেশ আয়ারের জন্য নিলামে ঝাঁপিয়ে পড়ল কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ২৩.৭৫ কোটি টাকায় ঘরের ছেলেকে ফেরানো হল ঘরে! অনেকেই চমকে উঠতে পারেন। ...

বাংলাদেশে নির্বাচন কি আসন্ন? কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্বাচনের দাবি তুলে আসছে বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। এরইমধ্যে  রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিলেন বাংলাদেশের নব গঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের উপস্থিতিতে এদিন শপথবাক্য পাঠ করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ...

প্রায় দেড় মাস আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন ৭৯ মৎস্যজীবী। তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৩: জেনারেল হেস্টিংসের উপস্থিতিতে কলকাতার বিখ্যাত চৌরঙ্গী থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৮০: ফরাসী বিজ্ঞানী লাভরান কর্তৃক ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার
১৮৯৮: পরিচালক দেবকী কুমার বসুর জন্ম
১৯২৫: বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী যদুনাথ পালের মৃত্যু
১৯২৫: বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী নারায়ণ দেবনাথের জন্ম
১৯৩৩: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৪: বিশিষ্ট যাত্রা পালাকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫২: পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খানের জন্ম
১৯৬৬: অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ রূপা গাঙ্গুলির জন্ম
১৯৭৮: অভিনেত্রী রাখী সাওয়ান্তের জন্ম
১৯৮১: সুরকার রাইচাঁদ বড়ালের মৃত্যু
১৯৮৩: মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর জন্ম
২০০৪: রাতে তাজমহল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়
২০১৬: কিউবান রাজনৈতিক নেতা ও সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী  ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যু
২০২০: ফুটবলের রাজপুত্র ডিয়েগো মারাদোনার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
24th  November, 2024

দিন পঞ্জিকা

৯ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪। দশমী ৪৭/৩৫ রাত্রি ১/২। উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩০ রাত্রি ১/২৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯/৫৫, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ ম঩ধ্যে পুনঃ ৮/৫৩ গতে ১১/৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ১০/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৭/২১ গতে ৮/৪২ মধ্যে পুনঃ ২/৫ গতে ৩/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৫ গতে ১১/২৪ মধ্যে। 
৯ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪। দশমী রাত্রি ১/৫০। উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে ও ৯/৬ গতে ১১/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ২/৪২ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৩ গতে ৮/৪৩ মধ্যে ও ২/৬ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে। 
২২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল ২০২৫: শেষ হল মেগা নিলাম, বিক্রি হলেন ১৮২ জন ক্রিকেটার, মোট খরচ হল ৬৩৯ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা

01:10:54 AM

নদীয়ার কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে পথদুর্ঘটনায় এক নাবালিকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি, পুলিসের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধ

10:53:00 PM

আইপিএল ২০২৫-র মেগা নিলাম পর্ব শেষ হল

10:40:00 PM

মোহিত রাথিকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল আরসিবি

10:39:00 PM

ভিগনেশ পুথুরকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল মুম্বই

10:38:00 PM

অশোক শর্মাকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল রাজস্থান

10:38:00 PM