Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান।
২০১৬ সালে যখন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল শুভেচ্ছা জানাতে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিল, তখন নাকি ইউনুসের নাম না নিয়েই ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদাও দিয়েছিলেন।’ সেবার ট্রাম্প হারিয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটনকে। যে ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে ইউনুসের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে মার্কিন সফরে গিয়েও বিল ক্লিনটনের ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ইউনুস। শুধু ক্লিনটন পরিবারই নয়, ইউনুসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সম্পর্ক বরাবরই বেশ ভালো। প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০০৯ সালে তাঁকে আমেরিকার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিয়েছিলেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর উচ্ছ্বসিত ছবিতেও সেই প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যাই দাবি করুন না কেন, অতীত বলছে, এই মহম্মদ ইউনুসই ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছিলেন, তাঁদের দু’জনের রাজনৈতিক মতাদর্শ একেবারে আলাদা। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হয়েই, আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত উঁচু পাঁচিলে ঘিরতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই বিষয়ে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে ইউনুস বলেছিলেন, ‘দেওয়াল’ তৈরি না করে ট্রাম্পের উচিত উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ‘সেতু’ নির্মাণ করা। এহেন ট্রাম্পের জয়ে ইউনুসের মাথাব্যথার যথেষ্ট কারণও রয়েছে।
সম্প্রতি দেওয়ালি উপলক্ষে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে কমলা-বাইডেনকে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে লুঠপাট চলছে। আমি এর তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ক্ষমতায় থাকলে, এমন কখনও হতো না। কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন আমেরিকায় এবং বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গুরুত্ব দেননি। ...আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ব। আমার প্রশাসনের অধীনে ভারত ও আমার ভালো বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সুসম্পর্ক আরও মজবুত করব।’ এর অর্থ নিশ্চিত বুঝতে অসুবিধে হয়নি বাংলাদেশের কেয়ারটেকার সরকারের। গত আগস্ট মাসে, হাসিনার বিদায়ের পরই, জো বাইডেনকে ফোন করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই উদ্বেগকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি বাইডেন প্রশাসন। সেদিন ট্রাম্পের মতো কোনও জোরালো বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি বাইডেনকে। ট্রাম্পের টুইট থেকে স্পষ্ট, তাঁর প্রশাসন অন্তত বাইডেনের সময়ের মতো চোখ বন্ধ করে থাকবে না। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তিও ইতিমধ্যে বাংলাদেশি হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য মার্কিন প্রশাসনের কাজে আর্জি জানিয়েছেন। ট্রাম্প যাতে এ বিষয়ে কড়া হস্তক্ষেপ করেন সে জন্যও প্রতিনিয়ত উদ্যোগ নিচ্ছেন।
শুধু তাই-ই নয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন স্বয়ং শেখ হাসিনা। প্রথমে চিঠি পাঠিয়ে সদ্যনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারপর সরাসরি ফোনে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা! আর দু’ক্ষেত্রেই নিজেকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ বলেছেন হাসিনা। ট্রাম্পের সঙ্গে হাসিনার কথোপকথনের কথা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় মধ্যরাতেই তড়িঘড়ি করে ইউনুসের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এরপরই দেশে আওয়ামি লিগের সভা-সমাবেশ নিয়ে এই কড়া পদক্ষেপের কথা জানান ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ততক্ষণে বাংলাদেশের প্রতিটি অলি-গলি এবং আম জনতার মধ্যেও জল্পনা, ট্রাম্পের হাত ধরেই হয়তো ফের মসনদে ফিরতে পারেন শেখ হাসিনা। অন্তত সেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে আওয়ামি লিগও। আর সেই স্বপ্ন ভাঙতেই তৎপর ইউনুস প্রশাসন। গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড কর্নার নোটিস জারি করার পরিকল্পনা করেছে ইউনুস প্রশাসন। শুধু তাই নয়, আওয়ামি লিগের সমস্ত পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধেই এই নোটিস জারি করা হবে। একথা জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অথচ, অক্টোবরের শেষের দিকে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফিনানশিয়াল টাইমস্‌’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও ইউনুস তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান জানিয়ে বলেছিলেন, এখনই হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর কোনও ভাবনা নেই তাঁদের। তাহলে হঠাৎ সেই অবস্থানের পরিবর্তন কেন? এর পিছনে কী এক এবং একমাত্র কারণ ট্রাম্পের জয়? যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের কপালে।
তাহলে কি বড় কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে মহম্মদ ইউনুস প্রশাসন এবং বাংলাদেশ? বাংলাদেশের কিছু বিশ্লেষক বলার চেষ্টা করছেন, ট্রাম্প নির্বাচনের ঠিক ছ’দিন আগে যে কথাগুলি বলেছিলেন, সেটা আমেরিকার প্রায় ২৬ লক্ষ হিন্দু ভোটারকে আকৃষ্ট করার কৌশল মাত্র। আবার অনেকে বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্যটি আমেরিকার হিন্দু ফেডারেশনের তৈরি খসড়া। তারাই এই বিষয়ে ট্রাম্পকে দিয়ে বলিয়েছে। আগামী নির্বাচনে তাঁকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে। এই প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডোমোক্র্যাট দল পাল্টে ট্রাম্পকে সমর্থন জানানো প্রাক্তন কংগ্রেসওম্যান তুলসি গ্যাবার্ডের নামও বাতাসে ভাসিয়ে দিয়েছেন। যিনি ডানপন্থী কট্টর হিন্দুবাদী হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ নিয়ে এখন এহসান জুয়েলদের মতো যে প্রবাসী সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামি লিগের ঘনিষ্ঠতা ঐতিহাসিক। তাই মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের বিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে উল্লাস দেখা গিয়েছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির বোধ হয় খুব একটা জমবে না। কিন্তু আওয়ামি লিগের ব্যাপারে ভারতের বিদেশনীতি একচুলও নড়েনি। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে কংগ্রেসের চেয়ে মোদি সরকার শেখ হাসিনার জন্য আরও বেশি ভূমিকা রেখেছেন এবং রাজনীতিতে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। ভারতকে চটিয়ে বাংলাদেশে অনেক কিছু করতে চাইলেও করতে পারে না আমেরিকা। আবার বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত কঠোর অবস্থান নিতে চাইলেও সেটা আটকে আছে আমেরিকার মনোভাবের কারণে। সেখানে পরিবর্তন আসতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায়।
দেশ পুনর্গঠনের জন্য, আমেরিকার কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। পালা বদলের পর ঢাকায় এসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও উন্নয়নে সহায়তার পাশাপাশি, অতিরিক্ত ২০ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাইডেনের প্রশাসনের প্রতিনিধিদল। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় তিনি দু’দেশের সম্পর্কের বর্তমান কাঠামোকে সমর্থন করবেন বলে মনে করেন না আমেরিকার ইউলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, মাইকেল কুগেলম্যান। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প মনে করেন আমেরিকার এই মানবিক সহযোগিতা আসলে অর্থ অপচয়। গোটা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও তাঁর প্রশাসন সম্ভবত খুব একটা আগ্রহী হবে না। রোহিঙ্গাদের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের যে সাহায্য পায় বাংলাদেশ, তারও সিংহভাগ দেয় আমেরিকাই। ট্রাম্প সেই অর্থেও কাট-ছাঁট করতে পারেন। ফলে ট্রাম্পের বাংলাদেশ নীতি নিয়েও আশঙ্কা ও উদ্বেগের আবহ ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে। ঢাকার আশঙ্কা একটাই, নরেন্দ্র মোদি ৩.০ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ২.০ যখন সমান্তরালে চলবে, তখন আমেরিকা-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারত 
ঢুকে পড়তেই পারে। সেই ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ইউনুস সরকারের সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে, বিপদে পড়বে বাংলাদেশই। এক কথায় বাংলাদেশের পক্ষে আর ভারতকে অবজ্ঞা করা সম্ভব নয়। উল্টে বাংলাদেশের ভারত নির্ভরতা আরও বাড়বে। ফলে ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে ঢাকা!
দিল্লির পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি বা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি (পাকিস্তান ছাড়া) নিয়ে ট্রাম্প আগেও বিশেষ মাথা ঘামাননি, এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। ট্রাম্পের অতীত ট্র্যাক রেকর্ড অন্তত তাই-ই বলছে! ভারতের কূটনীতিবিদদের মতে, ‘যতই বলা হোক আমেরিকায় ক্ষমতার পালাবদল হলেও সে দেশের বিদেশনীতির ক্ষেত্রে একটা ধারাবাহিকতা ও ‘বাইপার্টিজান’ ঐকমত্য থাকে, আমরা সবাই জানি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে সে কথাটা সত্যি নয়।’ 
ফলে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশ নিয়ে যে 
পরিমাণ ‘আগ্রহ’ ও ‘গরজ’ দেখিয়েছে, ট্রাম্প জমানায় তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাবে না। এর কারণটাও সহজ— ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে এরকম ‘হস্তক্ষেপে’র পিছনে অর্থ ঢালাকে অপচয় বলেই ধরা হয়!
সাংবাদিক ভিকি নানজাপ্পা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনই (৫ নভেম্বর) আরএসএসের মুখপাত্র ‘দ্য অর্গানাইজারে’ একটি নিবন্ধ লেখেন। যাতে স্পষ্ট পূর্বাভাস ছিল, হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরে আসা মানে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের জন্য সব দিক থেকেই অত্যন্ত দুরূহ পরিস্থিতির জন্ম দেবে। তাঁর ভাষায়, সেটা হবে ‘আ ডেভিল অ্যান্ড দ্য ডিপ সি!’ ভিকি লিখেছেন, বাংলাদেশকে হয়তো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলেও পড়তে হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, ট্রাম্প জমানায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহাল তবিয়তে নিজের দেশে ফিরেও যেতে পারেন। এর কোনও কিছুই বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজানা নয়।
তবে, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরে আওয়ামি লিগের হাল ধরতে হলে, খুব জটিল ‘জিগস পাজলে’র অনেক টুকরোকে খাপে খাপে মিলতে হবে। 
ট্রাম্পের জয় হয়তো এই পাজলের বড়জোর একটা কোনাকে মেলাতে পারে। কিন্তু পুরো হেঁয়ালির সমাধান এখনও দূর-অস্ত।
আসলে সবটাই নির্ভর করছে ট্রাম্প-মোদির সম্পর্কের রসায়নে!
14th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
একনজরে
গত তিন বছরে এরাজ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ শতাংশ বেড়েছে। বুধবার বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন রাজ্যে অচিরাচরিত ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। ...

প্রায় দেড় মাস আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন ৭৯ মৎস্যজীবী। তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। ...

ঋষভ পন্থ বা শ্রেয়স আয়ার নন। লোকেশ রাহুল, জস বাটলার বা মহম্মদ সামিও নন। বরং বেঙ্কটেশ আয়ারের জন্য নিলামে ঝাঁপিয়ে পড়ল কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ২৩.৭৫ কোটি টাকায় ঘরের ছেলেকে ফেরানো হল ঘরে! অনেকেই চমকে উঠতে পারেন। ...

বাংলাদেশে নির্বাচন কি আসন্ন? কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্বাচনের দাবি তুলে আসছে বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। এরইমধ্যে  রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিলেন বাংলাদেশের নব গঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের উপস্থিতিতে এদিন শপথবাক্য পাঠ করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৩: জেনারেল হেস্টিংসের উপস্থিতিতে কলকাতার বিখ্যাত চৌরঙ্গী থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৮০: ফরাসী বিজ্ঞানী লাভরান কর্তৃক ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার
১৮৯৮: পরিচালক দেবকী কুমার বসুর জন্ম
১৯২৫: বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী যদুনাথ পালের মৃত্যু
১৯২৫: বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী নারায়ণ দেবনাথের জন্ম
১৯৩৩: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৪: বিশিষ্ট যাত্রা পালাকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫২: পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খানের জন্ম
১৯৬৬: অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ রূপা গাঙ্গুলির জন্ম
১৯৭৮: অভিনেত্রী রাখী সাওয়ান্তের জন্ম
১৯৮১: সুরকার রাইচাঁদ বড়ালের মৃত্যু
১৯৮৩: মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর জন্ম
২০০৪: রাতে তাজমহল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়
২০১৬: কিউবান রাজনৈতিক নেতা ও সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী  ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যু
২০২০: ফুটবলের রাজপুত্র ডিয়েগো মারাদোনার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
24th  November, 2024

দিন পঞ্জিকা

৯ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪। দশমী ৪৭/৩৫ রাত্রি ১/২। উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্র ৪৮/৩০ রাত্রি ১/২৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯/৫৫, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ ম঩ধ্যে পুনঃ ৮/৫৩ গতে ১১/৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ১০/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৭/২১ গতে ৮/৪২ মধ্যে পুনঃ ২/৫ গতে ৩/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৫ গতে ১১/২৪ মধ্যে। 
৯ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪। দশমী রাত্রি ১/৫০। উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে ও ৯/৬ গতে ১১/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ২/৪২ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৩ গতে ৮/৪৩ মধ্যে ও ২/৬ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে। 
২২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল ২০২৫: শেষ হল মেগা নিলাম, বিক্রি হলেন ১৮২ জন ক্রিকেটার, মোট খরচ হল ৬৩৯ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা

01:10:54 AM

নদীয়ার কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে পথদুর্ঘটনায় এক নাবালিকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি, পুলিসের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধ

10:53:00 PM

আইপিএল ২০২৫-র মেগা নিলাম পর্ব শেষ হল

10:40:00 PM

মোহিত রাথিকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল আরসিবি

10:39:00 PM

ভিগনেশ পুথুরকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল মুম্বই

10:38:00 PM

অশোক শর্মাকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল রাজস্থান

10:38:00 PM