Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন। সদস্য হওয়া যেখানে এতটাই সহজ সেখানে বাঁধন দুর্বল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। দলের সঙ্গে সদস্যদের আন্তরিক সম্পর্কও তেমন তৈরি হবে না। সেই কারণে অনেকে ভোট পেলেও বুথে বসার এজেন্ট জোগাড় করতে বিজেপির কালঘাম ছুটে যায়। কথায় আছে, ভাড়াটে সেনা দিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না। সেখানে মিসড কল দিয়ে ‘যোদ্ধা’ জোগাড় করলে ছাব্বিশেও বাংলাকে মিস করবে বিজেপি। কারণ কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না।
বছর খানেক পরই এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৫ সালে কয়েকটি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। সেই পুরভোটের ফল যাই হোক না কেন, বিরোধীরা তাকে জনমতের প্রতিফলন বলে মানতে চাইবে না। কারণ পুরসভার নির্বাচন রাজ্যের পুলিস এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করে। পুরভোটের ফল নিয়ে বিরোধীরা কী প্রতিক্রিয়া দেবে, তা এখনই বলে দেওয়া যায়। 
জগৎ পরিবর্তনশীল হলেও এ রাজ্যের বিরোধীদের নির্বাচনী প্রতিক্রিয়ার কোনও পরিবর্তন হয় না। ভোটের আগে বিরোধীরা বলে, ‘মানুষ জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। ভোট দিতে পারলে আমাদের জয় নিশ্চিত।’ আর ভোট মিটলেই বলে, ‘নির্বাচনের নামে যা হয়েছে তা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।’ কেউ কেউ একপা বাড়িয়ে বলেন, ‘জরুরি অবস্থা জারি না করলে এ রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট অসম্ভব।’ কারণ বিজেপি বুঝে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর ক্ষমতা তাদের নেই। তাই উপ নির্বাচনে ‘প্রহসন’ হয়েছে একথা বলে ২৩ নভেম্বরের ফলাফল নিয়ে আগাম সাফাই দিয়ে রাখছে বিরোধীরা। 
তবে, এই উপ নির্বাচনে বিরোধীদের ফের একবার শক্তির পরীক্ষা হবে। উপ নির্বাচন হয়েছে নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হত্তাকর্তা অমিত শাহ। বাংলার ক্ষমতা দখল তাঁর পাখির চোখ। তাই নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের উপর ছিল কড়া নজর। পাঠানো হয়েছিল পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁর উদ্দেশ্য সফল। কারণ ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ।
বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখাটা বিজেপির বিশেষ পরিকল্পনার অঙ্গ। বঙ্গে তারা প্রধান বিরোধী দল। তবে সেটা সংগঠনের জোরে হয়নি, হয়েছে বামেদের কৃপায়। ২০১৯ সাল থেকে তারা এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি। কিন্তু এখনও রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় সংগঠন তৈরি করতে পারেনি। তৃণমূলের নেগেটিভ ভোট এবং হতাশাগ্রস্ত বামেরাই বিজেপির শক্তি। তাই বিজেপি বাংলার মানুষের ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশের জায়গাটাকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছে। সেই উদ্দেশ্যেই প্রতিটি বুথের দরজায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা। তাতে বাইরে অশান্তি হলেও চটের ঘেরাটোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে।
এবারের উপ নির্বাচনে যে দু’একটি জায়গায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল তা বুথের বাইরে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠলেও বুথ আগলেছে দক্ষতার সঙ্গে। ফলে কোথাও বুথ দখল বা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠেনি। কোনও দল কমিশনের কাছে পুনর্নির্বাচনের আবেদন জানায়নি। এমনকী, মেদিনীপুর আসনের বিজেপি প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া, ‘দিনের শেষে আমি খুশি।...জনগণ ইস্যুর উপর ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের কাছে গিয়েছি। এরপর যে রায় হবে তা মাথা পেতে মেনে নিতে হবে।’
জনাদেশ মেনে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করলে ভবিষ্যতের চলার পথ মসৃণ হয়। কিন্তু সেই রাস্তায় হাঁটতে চায় না বিজেপি। কারণ তারা একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এঁটে ওঠা সম্ভব নয়, এটা বুঝে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে মাঠে নামিয়েছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের জেলে ভরেছে। তাতেও লাভ হয়নি। একুশের ভোটে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে টার্গেটের অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার আগেই। ভোটে হারার জ্বালা মেটাতে বাংলার গরিব মানুষকে ভাতে মারছে। তিন বছর ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। আটকে দিয়েছে আবাস যোজনার টাকা। তাতে কেন্দ্রের তহবিল হয়তো ফুলেফেঁপে উঠছে, কিন্তু বাংলার মানুষ দিনদিন ক্ষিপ্ত হচ্ছে। তারই প্রতিফলন ঘটছে ইভিএমে।
চমকে ধমকে, নির্বাচনের আগে দলিতের বাড়িতে ভাত খেয়ে অন্য রাজ্যের ভোটে সাফল্য পাওয়া যায়, কিন্তু বাংলায় সেটা অসম্ভব। কেউ ভুল করলে বাংলা যেমন প্রতিবাদে গর্জে ওঠে, তেমনই আপদে বিপদে পাশে থাকলে তাকে ‘বন্ধু’ ভাবে। হাজার প্ররোচনাতেও সেই সম্পর্ক নষ্ট করা যায় না। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় কোনও খামতি ছিল না। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রভাব কতটা পড়েছে, সেটা ভোটের ফলে প্রমাণ হবে। তবে, বিরোধীরা আর জি করের জের ছাব্বিশের নির্বাচন পর্যন্ত টানতে চাইছে। তারজন্যই উপ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলছে। ভোটের ফলকে ‘মানুষের রায়’ হিসেবে মানলে ছাব্বিশের নির্বাচনে কর্মীদের মাঠে নামাতে পারবে না।
আসন সংখ্যার নিরিখে রাজ্যে বামেরা শূন্য। তা সত্ত্বেও উপ নির্বাচনে তাদের উপস্থিতি এবং নড়াচড়া ভালোই লক্ষ করা গিয়েছে। ছ’টি আসনের মধ্যে একমাত্র তালডাংরায় সিপিএমের প্রার্থী ছিল। এই কেন্দ্রে এজেন্ট বসানোর ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়েছে বামেরা। ২৬৪টি বুথের মধ্যে মাত্র ২২টিতে এজেন্ট দিতে পারেনি তারা। বিজেপি দিতে পারেনি পাঁচটি বুথে। অর্থাৎ অধিকাংশ বুথেই বিরোধীদের এজেন্ট ছিল। বুথের পাহারায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথাও বুথ দখলের অভিযোগ ওঠেনি। তারপরেও ভোট কেন ‘প্রহসন’ হবে?
এবারের উপ নির্বাচনে মাদারিহাট বাদ দিলে আর কোথাও বিজেপির উজ্জ্বল উপস্থিতি নজরে আসেনি। ভোটের দিন মনোজ টিগ্গা সেভাবে ঘুরতে না পারায় কার্যত প্রাণহীন ছিল বিজেপির বুথ। মাদারিহাট বাদে প্রায় সর্বত্র বামেদের অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে। তবে, তারা নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির কাজে খেটেছে, নাকি বিজেপির সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে, সেটা বোঝা যাবে ইভিএম খোলার পর। যদিও এখানে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হল, শূন্যে পৌঁছে যাওয়া বামেরা যেখানে অনায়াসেই অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারল, সেখানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের কালঘাম ছুটল কেন?
বিজেপি এবং সিপিএম দু’টিই রেজিমেন্টেড পার্টি। তবে সদস্যপদ দেওয়ার পদ্ধতিতে ফারাক বিস্তর। মোবাইলের মিসড কল দিলেই বিজেপির সদস্য হওয়া যায়। কিন্তু সিপিএমের সদস্য হতে গেলে রীতিমতো পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এগতে হয়। প্রথমে শাখা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে অর্জন করতে হয় এজি মেম্বার। তারপর সিএম। সবশেষে হওয়া যায় পার্টির সদস্য(পিএম)। সব মিলিয়ে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত বছর। পার্টির প্রতিটি কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করলে জোটে সদস্যপদ। এর ফলে পার্টির সঙ্গে সদস্যর একটা আন্তরিক যোগ তৈরি হয়। সেইজন্যই বামেদের মিটিং, মিছিলে ভিড় হয় অনেক বেশি। 
দক্ষিণপন্থী দলগুলি এসবের ধার ধারে না। বিশেষ করে বিজেপি একেবারেই একটি ভোটকেন্দ্রিক দলে পরিণত হয়েছে। তাদের যাবতীয় কর্মসূচি হয় ভোটের মুখে। সংগঠক তৈরি করতে পারে না। তাই বিরোধীদের দখলে থাকা প্রায় সব রাজ্যেই শাসক দলের নেতাকে ভাঙিয়ে কুর্সি দখলের চেষ্টা করে। মহারাষ্ট্র, বিহার প্রভৃতি রাজ্যে তাদের সেই গেমপ্ল্যান সফল হয়েছে। কিন্তু বাংলায় তা হয়নি। কারণ বাংলায় লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই শক্ত করতে হয় রাজনৈতিক মাটি। কিন্তু বিজেপি সে রাস্তায় হাঁটতে চাইছে না।
বিজেপি মাছ ধরতে চাইছে। কিন্তু জাল টানার পরিশ্রমটুকুও করতে নারাজ। তাই তারা ঘুনিজাল পেতে রাখছে। সেই খাবারের লোভে বা তাড়া খেয়ে জালে যারা ঢুকছে, সেটাই বিজেপির প্রাপ্তি। তাই পুকুরে মাছ থাকলেও ঘুনিজালে কতটা পড়েছে, সেটা বুঝতে পারছে না। কিন্তু সামনে আছে অতীতের ট্র্যাক রেকর্ড। সেই স্ক্রিনে চোখ রেখে বিজেপি বুঝতে পারছে, কী পরিণতি অপেক্ষা করছে। তাই কি ‘প্রহসনে’র গাওনা!
16th  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
একনজরে
পাটগাছের নির্যাস থেকে পানীয় ও পাটের সুতো থেকে বস্ত্র, ব্যাগ এবং পরিবেশবান্ধব নানা জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হল প্রান্তিক কৃষকদের। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীন সংস্থা এনআইএনএফইটি’র উদ্যোগে গয়েশপুরের নদীয়া কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে বুধবার পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ ও ...

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বুনোর আক্রমণে মৃত্যু হল দু’জনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বুধবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বাইসনের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। ...

শীতকালে শুকিয়ে গিয়েছে নদী। অজয়, দামোদর নদীজুড়ে শুধুই বালির চড়া। সেই বালি লুট করতে নেমে পড়েছে মাফিয়ারা। নদীগর্ভ থেকে কোনওভাবেই মেশিন দিয়ে বালি তোলা যায় ...

২০১১ সালে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ভারতে। ২০২১ সালে জনগণনার কথা থাকলেও তাতে জল ঢেলে দেয় করোনা পরিস্থিতি। তার পরে আরও বছর তিনেক পেরিয়ে গেলেও জনগণনা শুরু করতে কার্যত ব্যর্থ মোদী সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৭৮৩:  মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে ওড়ে
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯০৪:  শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটকের জন্ম
১৯০৮: বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়
১৯২১: বিশিষ্ট বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী ড.হীরালাল চৌধুরীর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা প্রেমনাথের জন্ম
১৯৩৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী রুমা গুহঠাকুরতার জন্ম
১৯৩৮: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হেলেনের জন্ম
১৯৪৭ স্বাধীন ভারতে আজকের দিনে জাতীয় পতাকা সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪: শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৫: সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৭/৪৮, সন্ধ্যা ৫/৪। পুষ্যা নক্ষত্র ২৪/৮ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৪৫। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/০ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১/২ মধ্যে।  
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গণতন্ত্র এবং মানবিকতাই হল প্রধান, গায়ানার সংসদে বিশেষ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:53:00 PM

এ আর রহমানের ডিভোর্স আপাতত হচ্ছে না
আপাতত হচ্ছে না এ আর রহমান-সায়রা বানুর ডিভোর্স। জানালেন তাঁদের ...বিশদ

10:16:00 PM

সকলকে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমাটি দেখার অনুরোধ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার

10:06:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মনুমেন্ট পরিদর্শনে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:57:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:30:00 PM

আগরতলায় হেরিটেজ ফেস্টের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

09:10:00 PM