Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের কেউ কেউ সপ্তর্ষি মণ্ডলের নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল। তাঁরা সেভাবেই আমাদের পথনির্দেশ করে চলেছেন। ভগবান বিরসা মুন্ডা এই উজ্জ্বল নক্ষত্রমণ্ডলেরই অন্যতম, যিনি জাতির পথকে আলোকিত করে রেখেছেন।
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের এই আদর্শ ব্যক্তিত্বের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী জাতি সারাবছর ধরে উদযাপন করতে চলেছে। এই শুভক্ষণে তাঁর পবিত্র স্মৃতির উদ্দেশে আমার সকৃতজ্ঞ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। শৈশবে ভগবান বিরসা মুন্ডার অনেক কিংবদন্তি কাহিনি শুনেছি। আমাদের এই উত্তরাধিকারের জন্য আমি এবং আমার বন্ধুরা খুবই গর্বিত বোধ করতাম। এখানে আমি সেই কথা স্মরণ করি।
আজকের ঝাড়খণ্ডে উলিহাতু নামে যে জায়গাটি, ভগবান বিরসা সেখানকার ছেলে। মাত্র ২৫ বছরের ছোট্ট জীবনে ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ইংরেজ শাসক এবং স্থানীয় ভূস্বামীরা জনজাতিগুলিকে শোষণ করছিল। দখল করে নিচ্ছিল তাদের জমিজমা। এছাড়াও অত্যাচার চলত নানাভাবে। ভগবান বিরসা এই সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষের অধিকার ফেরানোর জন্য সংগঠিত লড়াই-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিলেন তিনি। ১৮৯০-এর দশকের শেষের দিক তখন। ‘ধরতি আবা’ বা ‘পৃথিবীর পিতা’ নামে পরিচিত ভগবান বিরসা ব্রিটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ‘উলগুলান’ বা মুন্ডা বিদ্রোহ সংগঠিত করেন।
উলগুলানের গুরুত্ব একটি সাধারণ বিদ্রোহের চেয়ে অবশ্যই অনেক বেশি। সেটি ছিল ন্যায়বিচার এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়—এই দুটিরই জন্য লড়াই। ভগবান বিরসা মুন্ডার বিচক্ষণ চিন্তা—একদিকে, অন্যের হস্তক্ষেপ ছাড়াই আদিবাসীদের জমির মালিকানা ও চাষের অধিকার এবং অন্যদিকে, উপজাতীয় রীতিনীতি ও সামাজিক মূল্যবোধের গুরুত্বকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছিল। মহাত্মা গান্ধীর মতোই, তাঁর সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছিল ন্যায় ও সত্যের সন্ধানে।
তিনি আবেগতাড়িত হয়েই অসুস্থ মানুষের সেবা শুশ্রূষা করতেন। তিনি একজন নিরাময়কারী হিসেবে প্রশিক্ষিত ছিলেন। একের পর এক ঘটনা থেকে মানুষের মনেও এই বিশ্বাস গড়ে উঠেছিল যে, শুধুমাত্র ছুঁয়েই নিরাময় করার ক্ষমতা ভগবান তাঁকে দিয়েছেন। অসুস্থ যে কাউকেই তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলতেন। তিনি আরও বলতেন, ‘আমার কাছে আনা যদি নিতান্তই অসম্ভব হয়, তবে সেই অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাব আমি নিজেই।’ তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে অসুস্থ মানুষজনকে কাছে ডেকে নিতেন। তাঁর দক্ষতা ও নিরাময় স্পর্শ দিয়ে, এইভাবে অসংখ্য মানুষকে তিনি সুস্থ করে তুলেছেন।
ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহান বিপ্লবীদের ইতিহাসে তাঁর আত্মত্যাগের কাহিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁদের সংগ্রাম এই ভূখণ্ডের অনন্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরে, যেখানে কোনও সম্প্রদায়ই মূলধারা থেকে আলাদা নয়। যে বনবাসীরা আজ তফসিলি জনজাতিভুক্ত, তাঁরা সবসময় সমগ্র জাতির অংশ।
একটা সময় পর্যন্ত ভগবান বিরসা মুন্ডা এবং অন্যরা ছিলেন ইতিহাসের ‘অখ্যাত নায়কদের’ অন্যতম। তবে সাম্প্রতিককালে তাঁদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সত্য প্রশংসিত হচ্ছে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সময়ে ভারতের সংস্কৃতি এবং কৃতিত্বের গৌরবময় ইতিহাস আমরা উদযাপন করেছি। যেসব মহান দেশপ্রেমিক এতদিন স্বল্প পরিচিত ছিলেন, এই মহোৎসব তাঁদের বীরগাথা সম্পর্কে সব মানুষকে, বিশেষ করে তরুণদের আরও জানার সুযোগ করে দিয়েছে।
আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান স্মরণে সরকার ২০২১ সালে ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করার কথা ঘোষণা করে। এই উপলক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর দিনটিকে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিহাসের সঙ্গে এই নয়া সম্পর্কস্থাপন আমাদের প্রাণিত করে। ভগবান বিরসা মুন্ডার উত্তরাধিকারের স্মৃতিচারণ আদিবাসীদের দীর্ঘ উপেক্ষিত ইতিহাসকে ভারতের ইতিহাসের কেন্দ্রে তুলে এনেছে।
এই ইতিহাসগুলি আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ এগুলিই আধুনিক বিশ্বকে শেখায় প্রকৃতির সঙ্গে সংহতি রেখে জীবনযাপন এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। মনে আছে, সামান্য শুকনো জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য ছোটবেলায় আমার বাবাকে ক্ষমা চাইতে দেখেছি। অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার চেয়ে সমষ্টিগত কল্যাণের জন্য অনেক বেশি কাজ করেই আদিবাসী সমাজগুলি খুশি থাকে।
মানবজাতির উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আদিবাসী সমাজের এই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যটিকে লালন করা দরকার। ভারতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোয় জনজাতিগুলির গুরুত্বকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে গত দশকে সরকার যে বৃহত্তর প্রচেষ্টার সূচনা করেছিল তার পিছনে যথার্থ কারণ ছিল এটাই। স্লোগানের ঊর্ধ্বে, প্রকৃত জনকল্যাণকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার একগুচ্ছ কর্মসূচি ও প্রকল্প ঘোষণা করেছে। আদিবাসী উন্নয়ন এবং কল্যাণে আরও সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গতমাসে চালু হয়েছে ‘ধরতি আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’। এতে প্রায় ৬৩ হাজার আদিবাসী গ্রামের সামাজিক পরিকাঠামোগত ফাঁকফোকরগুলি পূরণ হবে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান (পিএম-জনমন)-এর দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের উপর। এর উদ্দেশ্য, কল্যাণমূলক উদ্যোগগুলিকে আরও অর্থবহ করে তোলা।
আমি বিশ্বাস করি, তফসিলি জনজাতিগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করাটাই ভগবান বিরসা মুন্ডা এবং আদিবাসী এলাকার অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি জাতির তরফে প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আমার জন্য অত্যন্ত তৃপ্তির বিষয় এই যে রাষ্ট্রপতি ভবনও এসটি সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছনোর জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন মিউজিয়ামে ‘জনজাতি দর্পণ’ নামক একটি গ্যালারি উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। দেশ গঠনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অসামান্য অবদানের এক ঝলক খুঁজে পাওয়া যায় এই সমৃদ্ধ শিল্প ও সংস্কৃতির নমুনাগুলির মধ্যে। জনজাতির কল্যাণে উন্নততর সম্পদ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করার সুযোগ আমার হয়েছিল গত আগস্টে অনুষ্ঠিত রাজ্যপালদের সম্মেলনে।
বিশেষভাবে দুর্বল জনজাতি গোষ্ঠীগুলি (পিভিটিজি) থেকে ৭৫ জন প্রতিনিধিকে রাষ্ট্রপতি ভবন পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার যে সুযোগ আমার হয়েছিল সেটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। তাঁদের অনেক সুখ-দুঃখের কথা তাঁরা আমার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। আমার গর্বের একটি কৃতিত্ব যদি থাকে, তা হল—সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আমার অধিষ্ঠান—এই পদে আমার মধ্যে আদিবাসী ভাই ও বোনেরা আমাদের সকলের জন্য একটি অভূতপূর্ব স্বীকৃতি দেখে থাকেন।
ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আনন্দ আমি নিশ্চিত যে আমরা সকলেই ভাগ করে নেব। আমি বিশ্বাস করি, ভগবান বিরসা মুন্ডার আদর্শগুলি শুধুমাত্র আদিবাসীদের নয়, বরং দেশের প্রতিটি অংশের সমস্ত সম্প্রদায়ের যুবদের জন্য গর্বের এবং অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর আকাঙ্ক্ষা ছিল—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদার। এই আকাঙ্ক্ষাগুলি তো প্রতিটি তরুণেরও।
15th  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
একনজরে
শীতকালে শুকিয়ে গিয়েছে নদী। অজয়, দামোদর নদীজুড়ে শুধুই বালির চড়া। সেই বালি লুট করতে নেমে পড়েছে মাফিয়ারা। নদীগর্ভ থেকে কোনওভাবেই মেশিন দিয়ে বালি তোলা যায় ...

হুগলি নদীর পাড়ে অবস্থিত একাধিক ফেরিঘাট আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। এবার দামোদর ও রূপনারায়ণের তীরে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিল ওই দপ্তর। ...

পাটগাছের নির্যাস থেকে পানীয় ও পাটের সুতো থেকে বস্ত্র, ব্যাগ এবং পরিবেশবান্ধব নানা জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হল প্রান্তিক কৃষকদের। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীন সংস্থা এনআইএনএফইটি’র উদ্যোগে গয়েশপুরের নদীয়া কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে বুধবার পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ ও ...

ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের আগে চর্চায় পারথের বাইশ গজ। পিচে ঘাস ও বাউন্স, দুই থাকবে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পিচ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৭৮৩:  মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে ওড়ে
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯০৪:  শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটকের জন্ম
১৯০৮: বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়
১৯২১: বিশিষ্ট বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী ড.হীরালাল চৌধুরীর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা প্রেমনাথের জন্ম
১৯৩৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী রুমা গুহঠাকুরতার জন্ম
১৯৩৮: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হেলেনের জন্ম
১৯৪৭ স্বাধীন ভারতে আজকের দিনে জাতীয় পতাকা সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪: শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৫: সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৭/৪৮, সন্ধ্যা ৫/৪। পুষ্যা নক্ষত্র ২৪/৮ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৪৫। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/০ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১/২ মধ্যে।  
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গণতন্ত্র এবং মানবিকতাই হল প্রধান, গায়ানার সংসদে বিশেষ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:53:00 PM

এ আর রহমানের ডিভোর্স আপাতত হচ্ছে না
আপাতত হচ্ছে না এ আর রহমান-সায়রা বানুর ডিভোর্স। জানালেন তাঁদের ...বিশদ

10:16:00 PM

সকলকে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমাটি দেখার অনুরোধ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার

10:06:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মনুমেন্ট পরিদর্শনে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:57:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:30:00 PM

আগরতলায় হেরিটেজ ফেস্টের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

09:10:00 PM