Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। ভোটের ফলে বোঝা যাবে, সোশ্যাল মিডিয়া নিছকই মনের জ্বালা মেটানোর প্ল্যাটফর্ম, নাকি জনমত তৈরির ক্ষমতাও সে রাখে! তাই বাংলায় ছাব্বিশের মহারণের আগে ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলগুলিরই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার বিপ্লবীদেরও অ্যাসিড টেস্ট। 
লোকসভা ভোটে দেশের শাসক দল সাধারণত কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পায়। চব্বিশের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিরোধীদের কোনও সর্বসম্মত প্রার্থীই ছিল না। তাই হ্যাং পার্লামেন্ট, ফের ভোট প্রভৃতির আশঙ্কায় ফ্লোটিং ভোটারদের একটা বড় অংশ বিজেপির দিকে গিয়েছিল। আবার বিধানসভা উপ নির্বাচনে সাধারণত অ্যাডভান্টেজ পেয়ে থাকে রাজ্যের শাসক দল। তবে উল্টোটাও হয়। তাকে ব্যতিক্রমী বলাই ভালো। প্রার্থী বাছাই ঠিক না হওয়ায় জেতা আসনের উপ নির্বাচনেও হেরেছিল তৃণমূল। উদাহরণ সাগরদিঘি।
এবার যে ছ’টি আসনে উপ নির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে মূল আকর্ষণ মাদারিহাটকে ঘিরে। একুশের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল। লোকসভা ভোটেও এগিয়েছিল। এখন প্রশ্ন, উপ নির্বাচনেও বিজেপি কি সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখতে পারবে? 
অনেকে মনে করেন, মনোজ টিগ্গার জন্য মাদারিহাটে বিজেপির মাটি কিছুটা হলেও শক্ত হয়েছে, একই সঙ্গে বেড়েছে দ্বন্দ্বও। আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনটি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী জন বার্লাকে ছেঁটে টিগ্গাকেই টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। মনোজ জিতেছেন ঠিকই। কিন্তু বিজেপির অন্দরের ফাটল চওড়া হয়েছে। জন বার্লা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। ফলে চা বাগানে বিজেপির ভোট ভাগাভাগি নিশ্চিত।
একুশের নির্বাচনে মাদারিহাটে বিজেপি জিতেছিল প্রায় ২৯ হাজার ভোটে। লোকসভা নির্বাচনে তা নেমে এসেছে ১১ হাজারে। এবার আরও ধস নামার আশঙ্কা। তা সত্ত্বেও রাহুলকে প্রার্থী করেছেন মনোজ। রাহুল জিতলে দলে টিগ্গাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কেউ থাকবে না। এমনকী, তাঁর কপালে জুটতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বও। আর রাহুল হারলে? চাপে পড়বেন মনোজ। তাই মাদারিহাটের লড়াই যতটা বিজেপি-তৃণমূলের, ঠিক ততটাই মনোজ টিগ্গা-জন বার্লার।
মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। বাম আমলের দাপুটে সিটু নেতা তারকেশ্বর লোহারের ছেলে রাহুলকে বিজেপি প্রার্থী করায় অনেকেই চা-বাগানে ‘লাল সন্ত্রাসে’র দিনগুলো ফিরে আসার ভয় পাচ্ছেন। চা-বাগানে মিটিং, মিছিল, প্রচার জোরকদমে চলছে। তবে, এই আসনের ললাট লিখন হবে ১২ নভেম্বর রাতে। লোকে বলে, চা-বাগানে ভোটের আগের রাতটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘অতিথি আপ্যায়নে’র উপরেই ঠিক হয় বাগানের ভোটের অভিমুখ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ অধিকারীকে হারিয়ে ছিলেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বাসনিয়া। তারপর থেকেই কোচবিহারে বিজেপির ছন্নছাড়া অবস্থা। সিতাইয়ে বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে। লড়াইয়ে ফিরতে মরিয়া বিজেপি নেমেছে ব্যক্তি আক্রমণে। তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় বাসনিয়ার সঙ্গে জগদীশবাবুর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বৈধ না অবৈধ, এই প্রশ্ন তুলে বাজার গরম করছে। তাতে ভোটে প্রভাব পড়বে কি না বলা কঠিন। কিন্তু এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা দলীয় প্রার্থীকে রেকর্ড ভোটে জেতানোর শপথ নিয়েছেন। সেটা বিজেপির জন্য একটু বেশিই চাপের হতে পারে।
বাঁকুড়ার তালডাংরা আসনে উপ নির্বাচন হচ্ছে। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএমের বাসুদেব আচারিয়াকে হারিয়ে ‘জায়ান্ট কিলার’ হয়েছিলেন মুনমুন সেন। তাতে তৃণমূল এককালীন লাভ ঘরে তুলেছিল। কিন্তু ক্ষতি হয়েছিল দীর্ঘমেয়াদি। বীরভূমের শতাব্দী রায়ের মতো মুনমুন সেন ‘জনপ্রতিনিধি’ হতে পারেননি, ‘সেলিব্রিটি’ ইমেজেই আটকে ছিলেন। তারপর থেকে ‘সেলিব্রিটি’ ও কলকাতার প্রার্থীদের উপর বাঁকুড়ার ভোটারদের ভীষণ অনীহা। এই কারণেই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো ‘কাজের মানুষ’ও বাঁকুড়ায় হেরেছিলেন। একুশের ভোটে হেরেছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকাও। এবার ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবি মানতেই কিস্তিমাত। জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। তাতেই সুভাষ সরকারের মতো হেভিওয়েট নেতাকেও অরূপবাবু হারিয়ে দিলেন। পৌঁনে দু’লক্ষ ভোটের ব্যবধান মুছে দিলেন অনায়াসে। অরূপ চক্রবর্তী জিতলেন প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে।
এবার উপ নির্বাচনেও তালডাংরার প্রার্থী হওয়ার জন্য কলকাতার এক তৃণমূল নেতা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু লোকসভার কথা মাথায় রেখে তৃণমূল ভরসা রেখেছে সেই ভূমিপুত্রেই। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী বাঁকুড়া পুরসভার কাউন্সিলার। তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল তোলার কিছু নেই। কিন্তু গায়ে লেগে রয়েছে তৃণমূলের গন্ধ। প্রার্থী হওয়ার কয়েক দিন আগেই সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপি হয়েছেন তিনি। তাই বিজেপিতে জমেছে ক্ষোভ। কেউ ক্ষোভে বসে গিয়েছেন, কেউ আবার ‘দলবদলু’দের টিকিট দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যোগদান প্রক্রিয়া অব্যাহত। তাতে বিজেপির জন্য লড়াইটা একটু বেশিই কঠিন হয়ে গেল।
প্রার্থী নির্বাচন সঠিক হলে কঠিন লড়াইও সহজ হয়। আর ভুল হলেই ‘সাগরদিঘি’। জেতা আসনও হাতছাড়া হয়। তাই উপ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল। মেদিনীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ভূমিপুত্র সুজয় হাজরা। জেলা সভাপতি। সাংগঠনিক মানুষ। এটা তৃণমূলের বাড়তি অ্যাডভান্টেজ। তবে, এখানে দিলীপ ঘোষকে বিজেপি প্রার্থী করলে ‘খেলা’টা জমে যেত। তৃণমূল লড়াইটা এত হালকা চালে নেওয়ার সাহস পেত না। 
নৈহাটি কেন্দ্রেও অর্জুন সিংকে প্রার্থী করার পক্ষে ছিল বিজেপির একাংশ। তাতেও লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতো, এমনটা বলা যায় না। কারণ লোকসভা ভোটে নৈহাটিতে তৃণমূলের পার্থ ভৌমিকের চেয়ে অর্জুনবাবু প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার ভোট কম পেয়েছেন। অর্জুনকে প্রার্থী না করলেও নৈহাটি কেন্দ্র নজর কেড়েছে। সৌজন্যে সিপিএম। ডুবন্ত সিপিএম বাঁচার জন্য যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই আঁকড়ে ধরছে। এবার সঙ্গী নকশাল। তবে, এই ‘আচমকা জোট’ সিপিএমেরই অনেকে মানতে পারছেন না। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভোট পেলে বুঝতে হবে, সেলিম সাহেবদের বৃহত্তর বামঐক্য গড়ার ইচ্ছায় সায় নেই দলের নিচুতলার।
উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া কেন্দ্রের জয়-পরাজয় নিয়ে চর্চা অর্থহীন। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ‘দেবী দুর্গা’র প্রতীক রেখা পাত্র হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ২৩৫টি ভোট। তৃণমূলের নুরুল ইসলাম পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৫৬টি ভোট। ব্যবধান প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার। আর সিপিএমের নিরাপদ সর্দ্দার? সিপিএমের দাবি মোতাবেক, যিনি না থাকলে ‘সন্দেশখালি কাণ্ড’ মানুষ নাকি জানতেই পারত না, সেই নিরাপদবাবু পেয়েছেন ৭৪৭০ ভোট। সিপিএম বুঝেছে, আর জি কর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোলানো মিথ্যের ফানুসে আলপিন ফোটানোর জন্য হাড়োয়া একাই যথেষ্ট। সেইজন্যই কি সিপিএম দলীয় প্রার্থী না দিয়ে আইএসএফকে ‘হাড়িকাঠে’ চড়িয়ে দিল?
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদকে ‘গণআন্দোলনে’র পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। ব্যক্তিগত লালসার পরিণতিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ‘প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাসে’র মোড়কে মোড়ার মরিয়া চেষ্টা হয়েছিল। নানা বিকৃত ও ভুয়ো তথ্যে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফেসবুক পেজ। পরিকল্পিতভাবে ‘সূত্রের খবরে’র মোড়কে ছড়ানো হয়েছিল বিদ্বেষের বিষ। সেই বিষের ছোবলে ক্ষিপ্ত মানুষ শামিল হয়েছিল রাতদখল, ভোরদখল কর্মসূচিতে। একথা ঠিক, এমন আন্দোলন আগে দেখেনি বাংলা। তবে এমন পরিকল্পিত মিথ্যাচারও বাংলায় এই প্রথম। অনেকে মনে করেন, একমাত্র ১৪ আগস্টই হয়েছিল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। পরে বাম ও অতিবামেদের সৌজন্যে তা শাসক বিরোধী শহুরে মধ্যবিত্তের আন্দোলনে পরিণত হয়। কর্পোরেটের উস্কানিতে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করার সেই চক্রান্ত জারি আছে এখনও। সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তমাখা গ্লাভস ও অপারেশনের জংধরা ভাঙা কাঁচি সরকারি হাসপাতালের বলে চালানোর চেষ্টা, সেই প্রয়াসেরই অঙ্গ।
তাই এই উপ নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলকে শুধু বিরোধীদের সঙ্গে নয়, লড়তে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার নেট নাগরিকদের বিরুদ্ধেও। এবারের লড়াইটা আক্ষরিক অর্থেই নেট নাগরিকের ভেকধারীদের মিথ্যে প্রচার ও আস্ফালনের সঙ্গে মানুষের বাস্তব উপলব্ধির। সোশ্যাল মিডিয়ার বিপ্লবীরা বাংলায় তিল তিল করে গড়ে তোলা মানুষের বিশ্বাসের প্রাসাদে আদৌ আঁচড় কাটতে পারল কি না, এবারের ভোটে হবে তারই অগ্নিপরীক্ষা।
09th  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
একনজরে
রাজ্য স্কুল জিমন্যাস্টিকের অনূর্ধ্ব ১৪ বালিকা বিভাগে পাঁচটি পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাকদহের দিয়া হালদার। সল্টলেক সাঁইয়ের মাঠে গত রবিবার শেষ হয়েছে ৬৮তম রাজ্য স্কুল জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতা। সেখানেই দুটি সোনা, দুটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জের পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দিয়া ...

পাটগাছের নির্যাস থেকে পানীয় ও পাটের সুতো থেকে বস্ত্র, ব্যাগ এবং পরিবেশবান্ধব নানা জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হল প্রান্তিক কৃষকদের। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীন সংস্থা এনআইএনএফইটি’র উদ্যোগে গয়েশপুরের নদীয়া কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে বুধবার পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ ও ...

ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের আগে চর্চায় পারথের বাইশ গজ। পিচে ঘাস ও বাউন্স, দুই থাকবে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পিচ ...

২০১১ সালে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ভারতে। ২০২১ সালে জনগণনার কথা থাকলেও তাতে জল ঢেলে দেয় করোনা পরিস্থিতি। তার পরে আরও বছর তিনেক পেরিয়ে গেলেও জনগণনা শুরু করতে কার্যত ব্যর্থ মোদী সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৭৮৩:  মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে ওড়ে
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯০৪:  শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটকের জন্ম
১৯০৮: বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়
১৯২১: বিশিষ্ট বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী ড.হীরালাল চৌধুরীর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা প্রেমনাথের জন্ম
১৯৩৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী রুমা গুহঠাকুরতার জন্ম
১৯৩৮: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হেলেনের জন্ম
১৯৪৭ স্বাধীন ভারতে আজকের দিনে জাতীয় পতাকা সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪: শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৫: সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৭/৪৮, সন্ধ্যা ৫/৪। পুষ্যা নক্ষত্র ২৪/৮ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৪৫। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/০ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১/২ মধ্যে।  
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ২ হাজার করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো

08:50:45 PM

গণতন্ত্র এবং মানবিকতাই হল প্রধান, গায়ানার সংসদে বিশেষ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:53:00 PM

এ আর রহমানের ডিভোর্স আপাতত হচ্ছে না
আপাতত হচ্ছে না এ আর রহমান-সায়রা বানুর ডিভোর্স। জানালেন তাঁদের ...বিশদ

10:16:00 PM

সকলকে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমাটি দেখার অনুরোধ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার

10:06:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মনুমেন্ট পরিদর্শনে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:57:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:30:00 PM