Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। অন্য কোনও গান থাকলে শোনান।’ তখন সলিলের কাছে নতুন কোনও গান নেই। তাই বললেন, ‘এখন নতুন কোনও গান নেই। পরে তাহলে আপনাকে কয়েকটা গান শুনিয়ে যাব।’ একথা বলে সলিল বেরিয়ে এলেন। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে তাঁর মাথায় একটা বুদ্ধি এল। পকেটে লেখা নতুন কবিতার অর্ধেক লেখা ছিল। ফিরে গিয়ে হেমন্তকে বললেন সেই কথা। হেমন্ত বললেন, ‘শোনান’। সেই অর্ধেক কবিতা শুনে হেমন্ত বললেন, ‘হ্যাঁ এটা চলতে পারে। গানটা সম্পূর্ণ করে নিয়ে আসুন।’ সেই গান সম্পূর্ণ হল। হেমন্ত রেকর্ড করলেন আর সেই গান নিমেষে জনপ্রিয় হয়ে উঠল। আজও বাঙালি সেই গান তন্ময় হয়ে শোনে। ‘কোনও এক গাঁয়ের বধূর কথা তোমায় শোনাই শোনো...’।  আজও কোথাও বেজে উঠলে পথ চলতি মানুষ থমকে দাঁড়িয়ে কান পেতে শোনেন সেই মরমী, অবিস্মরণীয় গান। 
সলিল চৌধুরী মানে বাংলা গানের এক আইকন। যিনি রবীন্দ্র-নজরুল-দ্বিজেন্দ্রলাল-রজনীকান্ত-অতুলপ্রসাদের পরবর্তী সময়ে বাংলা আধুনিক গানে এক নতুন জগৎ তৈরি করলেন। বলা হয় যেখানে শেষ করেছিলেন পঞ্চকবি, সেখান থেকেই যেন নতুন আলোকবর্তিকা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন গানের ‘রানার’ সলিল চৌধুরী। শচীন দেব বর্মন কিংবা পঙ্কজ মল্লিকের সঙ্গীত বৃত্তের বাইরে গিয়ে তিনি তৈরি করলেন নতুন গানের সরণি। গানের কথায় এবং সুরে তিনি নবযুগ ও জীবনের তৃষ্ণাকে নিবারিত করেছিলেন। রাজনৈতিক গান থেকে শুরু করে রোমান্সের সবুজ তৃণভূমি পেরিয়ে প্রেমের গানের এক মায়াজগৎ সৃষ্টি করেছিলেন। প্রতিটি গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে এক নিরুচ্চার দায়বদ্ধতা। বাংলা গানের সঙ্গে সঙ্গে মাতিয়ে দিলেন হিন্দি গানের শ্রোতাদেরও। আসমুদ্রহিমাচল দুলে উঠল তাঁর গানের মেলোডিতে। অথচ তাঁর প্রথম বোম্বাই যাত্রা ছিল একজন গল্পকার হিসাবে। 
সলিল চৌধুরীর গানের যে অভীযাত্রা, তার মূলে ছিল এক গভীর তাগিদ। সেই তাগিদ ছিল সমাজের প্রতি এবং একইসঙ্গে মানুষের প্রতি। এই দায়বদ্ধতা তাঁর ভিতরে সুপ্ত আকারে ছিল। সেটা প্রকাশ পেল গণনাট্য সঙ্ঘের সংস্পর্শে এসে।  ১৯৪৩ সালের ২৫ মে তৎকালীন বোম্বাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় গণনাট্য সঙ্ঘ। আসলে বিশ্বজুড়ে তখন হিটলার, মুসোলিনির ফ্যাসিস্ত আস্ফালন, সেই আন্দোলনের সঙ্গে  মিশে গেল স্বদেশ ভাবনা। পাশাপাশি বাংলায় দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা মিলে সে এক মহাসঙ্কটকাল। শিল্পী-সাহিত্যিকরা এই প্রেক্ষাপটে নতুন ধারার সৃষ্টিতে মেতে উঠলেন। সেই গান আর সংস্কৃতি চর্চায় মিশেছিল নতুন সমাজের শপথ। সেই আন্দোলনে জড়িয়ে গিয়েছিলেন বিজন ভট্টাচার্য, পৃথ্বীরাজ কাপুর, ঋত্বিক ঘটক, শম্ভু মিত্র, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, খাজা আহমেদ আব্বাস, সলিল চৌধুরী সহ আরও অনেকে। সলিল চৌধুরীকে চিনতে গেলে সময়ের এই পরতটুকুকে জানা দরকার। তা নাহলে ‘পথে এবার নামো সাথী’, ‘ও আলোর পথযাত্রী’, ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা’ গানগুলির আত্মাকে শ্রোতারা যথার্থভাবে স্পর্শ করতে পারবেন না। গত শতাব্দীর চারের দশকে তাঁর লেখা গানগুলিতে ছিল সমাজমনস্কতার অঙ্গীকার। কিন্তু একটু একটু করে মন ভাঙছিল, বুঝতে পারছিলেন, কমিউনিজমের ভিতরে একটা অহঙ্কারের বাষ্প জমে তা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। তাঁর কয়েকটি গান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল পার্টি। পার্টির ভিতরে ঢুকে পড়া বেনোজল দেখে আহত হলেন সলিল। মন তাঁর চাইছিল না আদর্শহীনতার সঙ্গে আপস করতে। ভিতরে ভিতরে মন বলছিল, ‘মানব না এ বন্ধনে’। ইচ্ছে করছিল বোম্বাই পাড়ি দেওয়ার। পরিচালক বিমল রায়ের ফোন পাওয়ার পর আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি। বিমল রায়কে গিয়ে তাঁর লেখা গল্প ‘রিক্সাওয়ালা’ শোনালেন। বিমল রায় ঠিক করলেন, এই গল্প অবলম্বনে ছবি বানাবেন। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় লিখে ফেললেন চিত্রনাট্য। তাঁকে সাহায্য করলেন সলিল। বিমল রায় ছবির নাম দিলেন ‘দো বিঘা জমিন’। সুরকার হিসাবে ভাবলেন অনিল বিশ্বাসের কথা। সেকথা শুনেই হৃষিকেশ বললেন, ‘এক কাজ করুন বিমলদা। গল্পটা তো সলিলের, ওকেই সুরের দায়িত্বটা দিন না। থিমটা ওর কাছে পরিষ্কার, তাই ওর সুর বাঁধতে সুবিধা হবে।’ 
কথাটা মনে ধরল বিমল রায়ের। ছবি রিলিজ করার পর মানুষের মুখে মুখে ফিরতে লাগল সেই গান। মান্না দের কণ্ঠে ‘ধরতি কহে পুকারকে’। লতা মঙ্গেশকর গাইলেন ‘আজা রে আ নিন্দিয়া’। গানগুলি সুপারহিট হল। মজার কথা হল, এই গানে তিনি নিজের পছন্দের অর্কেস্ট্রাইজেশন করতে পারলেন না। কিন্তু মন বলছিল অর্কেস্ট্রাইজেশন প্রথা ভেঙে নতুন করে বাঁধতে না পারলে কালজয়ী কিছু বোধহয় সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। এবার স্টেপ আউট করে ওভার বাউন্ডারি মারলেন। বিমল রায়ের ‘মধুমতী’র গানে সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন করে ফেললেন তামাম দেশবাসীকে। ‘সুহানা সফর’, ‘দিল তড়প তড়প কে’, ‘ঘড়ি ঘড়ি মেরা দিল ধড়কে’, ‘আজা রে পরদেশি’ গানগুলি আসমুদ্রহিমাচল আচ্ছন্ন করে ফেলল। একদিন মুম্বইয়ে কোনও এক স্টেশনের বাইরে শুনলেন এক ভিক্ষুকের কণ্ঠে ‘আজা রে পরদেশি’ গানটি। বুঝলেন, এটাই তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার। 
সলিল চৌধুরী আগামী ১৯ নভেম্বর শতবর্ষে পদার্পণ করবেন। বাবা জ্ঞানেন্দ্রময় চৌধুরী ছিলেন অসমের চা বাগানের ডাক্তার। তাঁর সংগ্রহে ছিল অনেক পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সংগ্রহ। ছেলেবেলায় সেই গান শুনে কান তৈরি হয়ে গিয়েছিল সলিলের। সেই সঙ্গে দেশের লোকসঙ্গীত এবং হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের নিবিড় মিলন ঘটল তাঁর মধ্যে। ধীরে ধীরে খুঁজে পেলেন আত্ম-উন্মোচনের পথ। সেই সময় তিনি যুগের প্রয়োজনে লিখতে শুরু করেন একের পর এক গণসঙ্গীত। সেই গানের মধ্য দিয়ে যেন জেগে উঠেছিলেন এক প্রতিবাদী নাগরিক কবিয়াল।  ‘ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে’, হেই সামালো ধান হো, কাস্তেটা দাও শান হো’ ইত্যাদি গানে ছিল বিশ্বায়নের স্বপ্ন। 
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে এসে সলিল যেন নতুন পরশপাথরের সন্ধান পেলেন। একের পর এক অবিস্মরণীয় গান সৃষ্টি হল তাঁদের যুগলবন্দিতে। ‘রানার’, ‘পাল্কির গান’। এমনি কয়েকটা সুপারহিট গানের পর দু’জনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হল। স্বার্থান্বেষীরা মিথ্যা কথা ছড়িয়ে সেই দূরত্ব সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা সার্থক হয়নি। তাই আবার দুই প্রতিভা কাছাকাছি আসে। নতুন করে সৃষ্টি হয় কয়েকটি অমর গানের। ‘পথে এবার নামো সাথী’, ‘ধিতং ধিতাং বোলে’, ‘আমায় প্রশ্ন করে’, ‘দুরন্ত ঘূর্ণি’ সহ অজস্র গান আজও মানুষ তন্ময় হয়ে শোনেন। 
জীবনের লড়াইয়ের প্রথম পর্বে তাঁর পাশে ছিলেন জ্যোতি চৌধুরী। বাড়ির অমতেই জ্যোতি বিয়ে করেছিলেন গৃহশিক্ষক সলিলকে। বম্বেতেও সে ছিল এক কষ্টের জীবন, তবু কত আনন্দের! তখন বাড়িতে বিমল রায় আসছেন, আসছেন নবেন্দু ঘোষ, হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, গীতিকার শৈলেন্দ্র। গান লেখা হচ্ছে, সুর হচ্ছে, ছবি নিয়ে চলছে আলোচনা। আর সেই আড্ডায় চা এবং আমতেল দিয়ে মাখা মুড়ির জোগান দিয়ে চলেছেন জ্যোতি। বম্বেতে পরপর হিট হল ছবি। ‘বিরাজ বৌ’, ‘পরখ’, ‘ছায়া’, ‘কাবুলিওয়ালা’। সৃষ্টিসুখের সেই উল্লাসের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে এল অর্থ, খ্যাতি। আর সলিল তখন জ্যোতির পাশ থেকে চলে গেলেন সবিতা চৌধুরীর কাছে। জীবনের এই ভারসাম্যের রক্ষার মধ্যেও একইভাবে সৃষ্টিশীল থেকেছেন সলিল। সবিতা চৌধুরীর কণ্ঠে দিয়েছেন অজস্র হিট গান।  প্রত্যেক সঙ্গীত শিল্পী চাইতেন সলিলের গান গাইতে। কেননা সলিলের গান মানেই সুপারহিট।  
এমনই আব্দার করেছিলেন রাজেশ খান্নাও। ‘আনন্দ’ ছবিতে ‘জিন্দেগি, ক্যায়সি হ্যায় পহেলি’ গানটি ছিল ব্যাকগ্রাউন্ডে। সেটা জানতে পেরেই রাজেশ খান্না বললেন, ‘এ গানে আমি লিপ দেবই। এ গান কখনও ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকতে পারে না।’ এভাবেই সলিলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অজস্র ইতিহাস। কিছু তার লেখা আছে, কিছু এখনও লেখা হয়নি।
একবার শচীন দেববর্মন আক্ষেপ করে সলিলকে বলেছিলেন, ‘আমার পোলাডা কী যে সুর করে বুঝি না! আমার থিক্যা ও তোমারেই বেশি পছন্দ করে। তোমার চ্যালা হইসে। তোমার মতো হইতে চায়। তুমি ওরে একটু কও।’ সেকথা শুনে সলিল বলেছিলেন, ‘শচীনদা, পঞ্চমকে আটকাবেন না। ওকে ওর মতো হতে দিন। ওর গান একটা নতুন পথ খুঁজছে। ঠিক পেয়ে যাবে।’  রাহুল দেববর্মনকে ঠিক চিনতে পেরেছিলেন সলিল। 
বাংলা ও হিন্দি গানের সম্পদ বাড়িয়েছেন সলিল। নতুন প্রজন্ম ইউটিউবে সার্চ করে তাঁর গান শোনে। তাঁর সঙ্গীত যেন চিরকালীন। আজকের জগঝম্প মিউজিকের যুগে যখন হারিয়ে যাচ্ছে মেলোডি, গানের বাণীর মর্যাদা, তখন বারবার মানুষ সলিল চৌধুরীর গানে সঙ্গীতের লাবণ্যকে আকুলভাবে পেতে চাইবেন। সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের এই আকাঙ্ক্ষাটুকুই যেন শতবর্ষের মুহূর্তে তাঁর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।
13th  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
একনজরে
ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের আগে চর্চায় পারথের বাইশ গজ। পিচে ঘাস ও বাউন্স, দুই থাকবে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পিচ ...

রাজধানীতে শিশুকে অপহরণ। কিন্তু পরে শিশুটি ভিনধর্মের বুঝতে পেরে তাকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে গেলেন এক মহিলা। ঘটনার তদন্তে নেমে পূর্ব দিল্লির কৃষ্ণনগর থেকে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ...

শীতকালে শুকিয়ে গিয়েছে নদী। অজয়, দামোদর নদীজুড়ে শুধুই বালির চড়া। সেই বালি লুট করতে নেমে পড়েছে মাফিয়ারা। নদীগর্ভ থেকে কোনওভাবেই মেশিন দিয়ে বালি তোলা যায় ...

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বুনোর আক্রমণে মৃত্যু হল দু’জনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বুধবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বাইসনের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৭৮৩:  মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে ওড়ে
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯০৪:  শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটকের জন্ম
১৯০৮: বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়
১৯২১: বিশিষ্ট বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী ড.হীরালাল চৌধুরীর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা প্রেমনাথের জন্ম
১৯৩৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী রুমা গুহঠাকুরতার জন্ম
১৯৩৮: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হেলেনের জন্ম
১৯৪৭ স্বাধীন ভারতে আজকের দিনে জাতীয় পতাকা সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪: শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৫: সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৭/৪৮, সন্ধ্যা ৫/৪। পুষ্যা নক্ষত্র ২৪/৮ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৪৫। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/০ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১/২ মধ্যে।  
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গণতন্ত্র এবং মানবিকতাই হল প্রধান, গায়ানার সংসদে বিশেষ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:53:00 PM

এ আর রহমানের ডিভোর্স আপাতত হচ্ছে না
আপাতত হচ্ছে না এ আর রহমান-সায়রা বানুর ডিভোর্স। জানালেন তাঁদের ...বিশদ

10:16:00 PM

সকলকে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমাটি দেখার অনুরোধ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার

10:06:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মনুমেন্ট পরিদর্শনে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:57:00 PM

গায়ানার জর্জটাউনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

09:30:00 PM

আগরতলায় হেরিটেজ ফেস্টের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

09:10:00 PM