Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। ভোট মিটতেই রামলালা ভিজছেন অযোধ্যায়, ভেঙে পড়ছে বিপুল ব্যয়ে তৈরি দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, অথচ মোদিজির এখন আর হুঁশ নেই। অসম সাহসী অন্যজন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুক চিতিয়ে ঘোষণা করছেন, আইনের শাসন রক্ষায় তিনি দল, রং কিছুই দেখবেন না। হকারদের তিনি বন্ধু, তাঁদের রুটিরুজিতে হাত দেবেন না, কিন্তু নিয়ম মেনে চলতে হবে সবাইকে। সময় একমাস। গত সোম ও বৃহস্পতিবার, মমতার ঘণ্টাখানেকের দু’টি সাংবাদিক সম্মেলন রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। শাসক তৃণমূলের ভিতরে বাইরে, পুলিস-প্রশাসন এবং অবশ্যই এরাজ্যের বিরোধী শক্তি মুখ্যমন্ত্রীর এই রুদ্র অথচ স্নেহমাখা বরাভয় মূর্তি দেখে দিশাহারা। মমতার সাংবাদিক সম্মেলনের ধ্রুবপদ একটাই, দল, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। এটাই তাঁর পবিত্র রাজধর্ম। সব শাসক তা পালন করলে দেশে দাঙ্গা হতে পারে না। বিলকিসের ধর্ষকদেরও গারদের বন্দিজীবন থেকে বাইরের আলো দেখার স্পর্ধাকে মনে ঠাঁই দিতে পাঁচশোবার ভাবতে হয়। এইখানেই মমতার নৈতিক জয়। 
কোনও রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমো এভাবে নিজের দলেরই নেতা-কর্মীদের অনৈতিক কাজকর্মের হাঁড়ি প্রকাশ্য হাটে ভেঙে দিয়েছেন, এমন নজির ভূভারতে ক’টা আছে? মমতা সেই বিরল ব্যক্তিত্ব যিনি লোকসভা নির্বাচনে ২৯টি আসন জয়ের অভাবনীয় সাফল্য সত্ত্বেও আত্মতুষ্টিতে না ভুগে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নিয়েছেন। এই মুহূর্তে সেটাই বাংলার রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। একটার পর একটা কাগজ তুলে ধরে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধি কে কোথায়, কী করছেন, তার খুঁটিনাটি সব তাঁর নখদর্পণে। দলনেত্রী যে-কথা বলেছেন, তা নরেন্দ্র মোদিও অনেক চেষ্টা করেও বলতে পারবেন না। যদি পারতেন তাহলে বিলকিস বানোর ধর্ষকরা ছাড়া পেয়ে জেলের বাইরে বীরের সংবর্ধনা পেতেন না। হাতরাসের নির্যাতিতার পরিবারকে সুবিচারের জন্য মাথা কুটে মরতে হতো না। বিজেপি এমপি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেও দেশের প্রথম সারির কুস্তিগীরদের শূন্যহাতে ফিরতে হতো না। গত দশবছরে এই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে, মোদিজির মন গলেনি। 
তৃণমূলের স্বার্থান্বেষী মহল বেশ বুঝতে পারছে, সর্বোচ্চ নেত্রীর নজর যখন পড়েছে তখন তাঁদের বেআইনিভাবে করে খাওয়ার দিন শেষ। ‘তৃণমূল করি’ বলে যা খুশি করা আর চলবে না। অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি পেতেই হবে। আবার পরাজয়ের ভারে নুইয়ে পড়া বিরোধীরা ভাবছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই যদি শাসক দল ও সরকারের জঞ্জাল সাফ করতে নামেন, অবাধ্য নেতাদের ধরিয়ে দেন, তাহলে তাঁদেরই বা কী করার থাকবে। নেতিবাচক বিরোধিতার পরিসর শূন্যে গিয়ে থামবে। দলবদলুরা সব বেকার হয়ে যাবে। লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর একমাসও কাটেনি। মোক্ষম ঝাঁকুনি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ষীয়ান নেতা থেকে দলের সাধারণ কর্মী সকলেই একবাক্যে বলছেন, নেত্রী প্রমাণ করে দিলেন, একমাত্র তিনিই পারেন অভিযোগ লুকিয়ে না রেখে ঘটা করে প্রকাশ্যে আনতে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী এক তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানকে মমতা সবুজ পতাকা দেখাতেই শিলিগুড়ির ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডাবগ্রামে দেখেছেন তো আমি জেলা প্রেসিডেন্টকে অ্যারেস্ট করিয়ে দিয়েছি। সরকারি জমি ৩ লক্ষ টাকা করে বিক্রি করে দিচ্ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মলয় (পড়ুন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক) আমাকে বলেছে, কোনও একটা পলিটিক্যাল পার্টি পুকুর ভরাট করে বাড়ি করে নিয়েছে। আসানসোলে এমনটা হয়েছে। পুকুর বুজিয়ে এটা করেছে আরএসএস। ল্যান্ড রেকর্ডে যদি পুকুর থাকে তাহলে সেই পুকুর ভরাট করা হল কীভাবে? তৃণমূলের পার্টি অফিস যদি ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ওই পার্টি অফিসও ভেঙে দেওয়া হবে না কেন?’
এটাকে শুধু মমতার ভোকাল টনিক বললে গোটা বিষয়টিকে লঘু করে দেখানো হবে। মানতেই হবে, সরকার ও দলকে তিনি একসঙ্গে কাঁপিয়ে দিয়েছেন। পুলিসকেও সতর্ক করেছেন। তৎপরতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তোলাবাজির আগে নেতারা দু’বার ভাববেন। হাত বাড়িয়ে পয়সা নিলে কাঠগড়ায় উঠতে হবে পুলিসকেও। শুধু দলীয় পদ, সরকারি দায়িত্বই যাবে না, জেলবাসও অবধারিত। নেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানুষের স্বার্থ আগে। সাধারণের আশীর্বাদই তাঁর শক্তি। কেউ যদি নিজের স্বার্থ দেখতে যান, তাহলে দল তাঁকে ছেঁটে ফেলতে দু’বার ভাববে না। ব্যক্তির থেকে দল বড়, দলের থেকে মানুষ। নেতা-কর্মীদের এমন কোনও আচরণ হওয়া উচিত নয়, যাতে দল অস্বস্তিতে পড়ে। কেননা তার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে ভোট বাক্সে। মোদিজি যখন শরিকদের ম্যানেজ করতে ব্যস্ত, জোট সরকারের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার চূড়ান্ত করতে তৎপর,  মমতা তখন মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে মরিয়া। এর চেয়ে বড় বিজয় উৎসব আর কী হতে পারে ভারতীয় গণতন্ত্রে?
মমতাকে গত চার দশক ধরে দেখছি। সাফল্যে যেমন তাঁর মাথা ঘুরে যাইনি, প্রতিবন্ধকতা তাঁকে আরও জেদি করেছে। লক্ষ্যপূরণ হলেই আরও বড় লড়াইয়ের সংকল্পে পরের মুহূর্ত থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করে গিয়েছেন অক্লান্ত নিষ্ঠায়। বিরোধী নেত্রী থেকে রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রধান, এই দীর্ঘ যাত্রাপথ কোনওদিনই গোলাপ ফুল ছড়ানো ছিল না। সংগ্রাম, নির্যাতন, অপমান, কটাক্ষ, কালীঘাটের দোচালাকে নিশানা করে তথাকথিত প্রতিষ্ঠিতদের বিষ চাউনি ছিল তাঁর চলার পথের নিত্যসঙ্গী। জ্যোতি বসু সহ সিপিএমের তাবড় নেতানেত্রীদের হুঙ্কার, লাল পার্টির হার্মাদপুষ্ট নিশ্ছিদ্র জেলা সংগঠন, স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় থেকে শুরু করে অধুনা মোদি-অমিত শাহ ও আরএসএসের বারংবার বাংলা দখলের ষড়যন্ত্র বানচাল করে তিনি আজও অপ্রতিরোধ্য। কোনও কিছুই মানুষের থেকে তাঁকে দূরে ঠেলতে পারেনি। প্রতিপক্ষ যতই ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করেছে, এবার মমতা ম্যাজিক শেষ বলে নিদান হেঁকেছে, তিনি ততই একটার পর একটা হার্ডল পেরিয়ে ‘ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে’ জয়তিলক কপালে সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটিতে সমুজ্জ্বল। প্রধানমন্ত্রীর ডেলি প্যাসেঞ্জারি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিত্য আসা-যাওয়া ও দলবদলুদের শূন্যগর্ভ আস্ফালনকে হারিয়ে এবারের লোকসভা ভোটেও রাজ্যের সিংহভাগ আসনে জয়ী। এবং গোটা পূর্বভারতের মধ্যে একমাত্র বাংলায় গেরুয়া পতাকাকে রুখে দিতে সফল বেনজির এক স্ট্রিট ফাইটার। এই ট্র্যাক রেকর্ডই বলে দিচ্ছে বাংলায় আগামী ছাব্বিশ সালের বিধানসভা ভোটেও এই পরিণামের বিশেষ হেরফের হবে না। টানা ১৩ বছর একান্তভাবেই রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার পরও যা ঈর্ষণীয়। তাঁর এই সাফল্যের কারণ একটাই, মাটির সঙ্গে যোগ কখনও ছিন্ন হয়নি এতটুকু। অ্যান্টি ইনকামবেন্সি কিংবা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার আঁচ তাই মমতার গ্রহণযোগ্যতাকে পেড়ে ফেলতে ব্যর্থ। রাজ্যের মানুষের সঙ্গে, প্রতিটি জেলার আলাদা আলাদা সমস্যা ও সমীকরণের সঙ্গে এখনও তাঁর নাড়ির যোগ। জেলা সফরেও প্রত্যেক নেতাকে তিনি নাম ধরে ডেকে ধমক দিতে পারেন। সম্প্রতি ভোট প্রচারে বেরিয়ে দেখেছেন, পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ আছে। দলীয় নেতা, জনপ্রতিনিধিদের কাজকর্ম অনেকক্ষেত্রেই সাধারণের না-পসন্দ। বেআইনিভাবে জমি দখল থেকে বিভিন্ন স্তরে টাকা খাওয়ার অভিযোগও পৌঁছেছে সুপ্রিমোর কানে। বহু কেন্দ্রে তার ফলে জয়ের ব্যবধান কমেছে। রাজ্যের অনেক পুরসভায় পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল। সেই খামতি দূর করতেই মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে ভীমরবে নেমেছেন তিনি। 
আসলে দূরবিনে দেখা বিরোধীদের সঙ্গে নয়, জননেত্রী মমতার লড়াই এই বঙ্গে আজ একান্তভাবে তাঁর নিজের সঙ্গে। স্বাধীনতা উত্তর সময়ে তিনি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় জননেত্রী। একদিকে ফল বেরনোর পর ঝগড়া ও দ্বন্দ্বে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি এবং অন্যদিকে ক্রমাগত রক্তক্ষয়ে কাহিল হীনবল সিপিএম। মধ্যিখানে কংগ্রেস। তাই মুখ্যমন্ত্রী থেকেও ক্রমেই শূন্য হয়ে যাওয়া বিরোধী পরিসর দখল করতে তিনি আঙুল তুলছেন নিজেরই দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কোনওরকম রাখঢাক গুড়গুড় না করেই। একাজ মুখে বলা যত সহজ করে দেখানো ততটাই কঠিন। সবাই পারে না। করতে গেলে সাহস লাগে, বুকভর্তি দম লাগে আর লাগে দল ও সরকারের উপর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা উন্নততর বামফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়ে নিজেরাই হারিয়ে গিয়েছেন অসীম শূন্যে। অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার নামক রসালো আমটি গাছ থেকে পেড়ে আনতে পারেনি কেউ। গাছেই তা শুকিয়ে গিয়েছে কখন। আজ থেকে তিন দশক আগে কলকাতা শহরে হকার উচ্ছেদের নামে ‘অপারেশন সানশাইন’ শুরু হয়েছিল। তাও চূড়ান্ত ফ্লপ হয়। কলকাতা জেলা কমিটির অধীন হকার সংগঠন আলিমুদ্দিনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। আর আজ এই বঙ্গে সর্বহারার দল কার্যত বিপ্লবকে বন্দি করেছে ফেসবুকে। নেতৃত্ব আহ্লাদিত হলেও ভোটযন্ত্রে তার যে কোনও প্রভাব নেই, তা প্রমাণিত। 
অধিকাংশ আসনেই জামানত জব্দ হচ্ছে। নামতে নামতে বামেরা আজ রাজ্যের চতুর্থ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত। আত্মবিশ্লেষণে সেই চেনা বুলি, ‘মানুষকে বোঝানো যায়নি’। বলি, বোঝাবেন কী করে? আপনারা তো লড়াইটা কার সঙ্গে তাই ঠিক করতে পারেননি। উল্টে বিজেপির বুলি আওড়াতেই ব্যস্ত থেকেছেন। ২০১৬ সালের পর থেকে যেই কংগ্রেসের হাত ধরেছেন সেই মুহূর্ত থেকেই সংখ্যালঘু ভোট পাকাপাকিভাবে আপনাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। আবার জোট করলেও কংগ্রেসের ভোট লাল দলের পক্ষে আসেনি। তাই এরাজ্যে সিপিএম আজ না ঘরকা না ঘাটকা! রাম বাম এক হয়েও কিছুই করতে পারেনি। ভোটের আগে দেড় ডজন সভা করেও বাংলায় মমতার কাছে হারতে হয়েছে মোদিজিকে। সে তো গেল ভোট পাটিগণিতের হিসেব। শুধু নির্বাচন নয়, দল মত রাজনীতি সবকিছু ঝেড়ে ফেলে মানুষের দুয়ারে পৌঁছনোর তৎপরতাতেও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। মোদিজির একচোখো হিন্দুত্ব অনুশীলন ও রামমন্দির বিক্রমকে তাই বাংলার নেত্রীর কাছে পদে পদে হার মানতেই হবে। কারণ দল নয়, সঙ্কীর্ণ রাজনীতিও নয়, গরিব মানুষকে নিয়ে চলা এবং নারীর ক্ষমতায়নই মমতার প্রথম ও শেষ অগ্রাধিকার। তাই মন্দির নয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তাঁর প্রচারের অভিমুখ।
30th  June, 2024
গণপিটুনি: আইনটা যদি পাঁচ বছর আগে হতো!
তন্ময় মল্লিক

‘দিনটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর। আমি তখন আঠারো। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে সবে বাড়ি ফিরেছি। সিপিএমের কয়েকজন লোক আমার বাবাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। কারণ আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করত। আমি আর মা তখন বাবার পিছন পিছন ছুটলাম। বিশদ

মধ্যবিত্তের বিশ্বজয়
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতের এই টি টুয়েন্টির বিশ্বজয়ীরা কমবেশি সকলেই এসেছেন সাধারণ পরিবার থেকে। অনেকদিন পর এমন একটি ম্যাচ দেখা গিয়েছে, যেখানে সকলে মিলে কিছু না কিছু করেছেন। কালেকটিভ চ্যাম্পিয়ন। এটাই হল আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত চিরকাল রূপকথা তৈরি করেছে।
বিশদ

05th  July, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

04th  July, 2024
মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
একনজরে
আবাস যোজনা প্রকল্পে রাজ্য সরকার বাড়ি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ...

অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোলে নায়ক হয়ে ওঠেন তুরস্কের ফুটবলার ডেমিরাল। লক্ষ্যভেদের পর উলফ সেলিব্রেশন করে বিপদে পড়েন তিনি। ...

বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আবাসনে মায়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন মোড়। খুনের পর থেকে পলাতক ছিল পুলিস ছেলে। ...

বাজারে এল নতুন সিলিং ফ্যান ‘তারা’। উৎপাদক সংস্থা সুজাতা ইলেকট্রিক প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শারদ ঘাই দাবি করেছেন, তাঁরা যে দামে এবং যে গুণমানের পাখা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৯০ টাকা ১০৮.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৮১ টাকা ৯১.৯৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪।  প্রতিপদ ৫৮/৩৫ রাত্রি ৪/২৭। পুনর্বসু নক্ষত্র ৫৯/২৮ শেষরাত্রি ৪/৪৮। সূর্যোদয় ৫/১/১২, সূর্যাস্ত ৬/২১/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৮ গতে ১২/৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। 
২১ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪।  প্রতিপদ শেষরাত্রি ৪/৪। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ১/৩০ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৫/১ ম঩ধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে ও ৩/৪১ গতে ৫/১ মধ্যে। 
২৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: অতিরিক্ত সময়ে গড়াল ম্যাচ, ইংল্যান্ড ১-সুইৎজারল্যান্ড ১

11:29:52 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ১-সুইৎজারল্যান্ড ১ (৮১ মিনিট)

11:15:59 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ১ (৭৬ মিনিট)

11:15:03 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ০ (হাফটাইম)

10:25:59 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ০ (১৮ মিনিট)

09:54:46 PM

সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ভারতকে ১৩ রানে হারাল জিম্বাবোয়ে

08:06:05 PM