Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। সেই জন্য দলের এমপি সংখ্যা ২২ থেকে বেড়ে ২৯ হওয়া সত্ত্বেও উল্লসিত না হয়ে মুখোমুখি হয়েছেন বাস্তবের। তিনি ত্রুটি ঢাকার চেষ্টা না করে দলীয় নেতাদের আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। নজিরবিহীন। শুধু বাংলায় নয়, দেশেও। এসব দেখে অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তাঁর দলের ও প্রশাসনের ফাঁকফোকর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তাতে ‘রাজা, তোর কাপড় কোথায়’ বলার জন্য সেই শিশুটির দরকার হবে না।
উনিশের তুলনায় চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা এরাজ্যে তৃণমূলকে কোনও নম্বরই দিতে চাননি। অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম, এমনকী ‘দিদিকে বলো’র স্রষ্টা প্রশান্ত কিশোর পর্যন্ত আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূলের চেয়েও বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সবকিছুকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে মমতা তাঁর দলের আসন গতবারের চেয়ে অনেকটাই বড়িয়ে নিয়েছেন। 
নরেন্দ্র মোদি চারশো আসন পার করার হুঙ্কার ছেড়ে আটকে গিয়েছেন তিনশোর আগেই। ‘শরিকী ক্র্যাচে’ ভর দিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। তাতেও হম্বিতম্বি কমেনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই তাঁর দলের এই জয়কে অনেক বড় করে মেলে ধরতে পারতেন। তিনি বলতেই পারতেন, টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকার পরেও ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কাজ করেনি। উল্টে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দৃঢ় করতে তৃণমূলের হাত আরও শক্ত করেছে বাংলা। কিন্তু তা তিনি করেননি। তিনি আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাননি। উল্টে হেঁটেছেন আত্মসমালোচনার পথে। তাতে ঘর ছোট হলেও ভিতটা হবে মজবুত।
নির্বাচনী ফল বিশ্লেষণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখেছেন, দেশের সরকার গড়ার ভোটেও বাংলা যেভাবে সমর্থন জুগিয়েছে তাতে ছাব্বিশে ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে তাঁর অন্তত কোনও সংশয় নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করলেও শহরে তা হয়নি। রাজ্যের ১২১টি পুরসভার অর্ধেকেরও কিছু বেশি এলাকায় তৃণমূল পিছিয়ে। একমাত্র ‘কৃষকবন্ধু’ ছাড়া রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পই গ্রামের ও শহরের মানুষ পেয়ে থাকে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার শহুরে মানুষ উপকৃত হবে, এমন কিছু করেনি। তাহলে কীসের জন্য গ্রাম ও শহরের এই ফারাক?
পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্ত কারণ তুলে ধরেছেন। সেদিন যে তিনি তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েই বসেছিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর সাফ কথা, রাজ্য সরকার নাগরিকদের যে পরিষেবা দিতে চাইছে, তা মানুষ পাচ্ছে না। 
উল্টে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দলের বহু নেতা ও কিছু সরকারি অফিসার ফুলেফেঁপে উঠেছেন। কার কোথায় ত্রুটি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। যাকে বলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন।
অনেকে বলছেন, সেদিনের সভায় অগ্নিকন্যা অগ্নিবর্ষণ করেছেন। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জনসেবার নাম করে যারা আখের গোছাচ্ছে, তারাই মুখ্যমন্ত্রীর টার্গেট। মোদ্দা কথায়, যারা দু’হাতে টাকা লুটছে। সেইজন্যই তিনি বলেছেন, ‘টাকা তোলার মাস্টার চাই না। জনসেবক চাই। কাজ না করলে ছুড়ে ফেলে দেব।’ তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে থেকেও অনেকে বিজেপিকে টাকা দিচ্ছে।’
কেন তিনি একথা বললেন? নির্বাচন এলেই ‘হাওয়া মোরগ’রা দল বদল করে। আর কিছু ‘মোরগ’ আরও চালাক। তারা ঝুঁকি না নিয়ে পাঁচিলে উঠে বসে থাকে। তলায় তলায় বিরোধী শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় এজেন্সির হুজ্জুতি এড়াতে যথাস্থানে ‘প্রণামী’ও দেয়। সেই তালিকায় আছে তাঁরই দলের কিছু নেতা। অফিসাররা প্রণামী দেন না, তাঁরা দেখান আনুগত্য। তাঁরা বোঝাতে চান, আমি তোমাদেরই লোক। কিন্তু ঠেকায় পড়ে সব মুখ বুজে সহ্য করছি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে সেই খবর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি এই সমস্ত কথা গোপনে না বলে প্রকাশ্যে আনলেন কেন?
ইতিহাস বলছে, তৃণমূলে থেকে করেকম্মে খাওয়া লোকজন বিজেপিতে গেলেও তার কৃতকর্মের বোঝা বইতে হয় পুরনো দলকেই। মানুষের ক্ষোভ সেই ব্যক্তির বদলে গিয়ে পড়ে দলের উপরেই। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন, দুর্নীতির দায় একান্তই ব্যক্তিগতভাবে সেই নেতার। তারসঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দুর্নীতি ইস্যুতে ডোজটা এবার একটু বেশি হলেও করেকম্মে খাওয়া নেতাদের আক্রমণ এই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের এই বলে সতর্ক করেছেন, ‘একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকা লাগে? সোনাদানা, টাকা পয়সা কি চিবিয়ে খাবি?’ তারপরেও তাদের সম্বিত ফেরেনি। কারণ টাকার নেশা হেরোইনের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এই নেশায় আক্রান্ত হলে মানুষ হয়ে যায় দু’কান কাটা। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা মিটিংয়ে বলা কথায় সব বদলে যাবে, এমনটা ভাবার মতো মূর্খ পাওয়া কঠিন। কারণ এরপরেও পুকুর বুজিয়ে বহুতল উঠবে। বহুতলের প্ল্যান পাশ করাতে গেলে যথাস্থানে ‘প্রণামী’ দিতে হবে। রাস্তা তৈরির কাজ নির্বিঘ্নে করতে গেলে শাসক দলের মাতব্বরদের খুশি করতে হবে। এমনকী, ফুটপাতে কিংবা সরকারি জায়গায় ব্যবসা করতে গেলে ইউনিয়নের নেতাকে চাঁদা দিতে হবে। তবে, আপাতত কিছুদিন হলেও তাতে কিছুটা লাগাম পড়বে। নেতারা কিছুটা হলেও ভয় পাবেন। ঘাড়ধাক্কা খাওয়ার ভয়। আর তা যে অমূলক নয়, সেটা তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের সভাপতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। বেআইনি জমি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাহলে কি কাক মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া শুরু করে দিলেন?
তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষ্টের 
দমন, শিষ্টের পালন নীতি নিতে চাইছেন। আর বিরোধীদের চোখে এটা নিছকই ‘আইওয়াশ’। কিন্তু এসব বলে কি একজন দলনেত্রী ও প্রশাসনিক প্রধানের শুদ্ধিকরণের চেষ্টাকে খাটো করা যাবে? 
এর আগে দেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রী এভাবে নিজের দলের বা সরকারি অফিসারদের খোলাখুলি সমালোচনা করার সাহস দেখাননি। উল্টে সব সময় আড়াল করে গিয়েছেন।
তবে, এব্যাপারে সকলের উপর রয়েছে বিজেপি। তারা কোনও অভিযোগকেই আমল দেয় না। তাই সংশোধনের প্রশ্নই ওঠে না। উল্টে প্রতিবাদের সুর চড়লে নেতৃত্ব এমন আচরণ করে যাতে মনে হয়, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করাটাই অপরাধ। এই যেমন নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে দেশজুড়ে হইচই হচ্ছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী স্পিকটি নট! উল্টে বিরোধীরা যাতে এই ইস্যুতে বেশি হইচই না করে তারজন্য তাঁর সতর্কবার্তা, ‘সংসদ নাটক করার জায়গা নয়।’ একথা বলে তিনি কী বোঝাতে চাইলেন? নাটক করার অধিকার তাঁর একার!
আসলে বিরোধীদের পাত্তা না দেওয়াটাই বিজেপির ট্র্যাডিশন। মহিলা কুস্তিগীরদের প্রবল চাপের মুখেও যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে বিজেপি ব্যবস্থা নেয়নি। একই স্ট্যান্ড নিয়েছিল অজয় মিশ্রের ক্ষেত্রেও। আন্দোলনকারী চাষিদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন অমিত শাহের ডেপুটি অজয় মিশ্রের ছেলে। অজয় মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল গোটা দেশ। কিন্তু কান দেয়নি বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরেও অজয় মিশ্রকে এবার টিকিট দিয়েছিল। কিন্তু বিজেপির আশায় পড়েছে চোনা। খেরি লোকসভা আসনে সমাজবাদী প্রার্থীর কাছে হেরেছেন অজয় মিশ্র। লখিমপুরের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, দল আড়াল করলে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব নেয় জনতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অগ্নিবর্ষণ যে শহরে পিছিয়ে থাকার কারণেই, তাতে সন্দেহ নেই। তবে তিনি সিপিএমের স্টাইলে ‘মানুষ ভুল করেছে’ এমন মন্তব্য করেননি। উল্টে নিজের দলের ও সরকারের ত্রুটি চিহ্নিত করে তা এনেছেন প্রকাশ্যে। অনেকের কাছে তা ‘বেফাঁস’ মনে হতেই পারে। কিন্তু সরকার তো জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। তাই জবাবদিহির দায় একমাত্র জনতার কাছে। আর সেটা তিনি বারবার করে এসেছেন। তাই তিনি ‘দলনেত্রী’ থেকে হয়ে উঠেছেন ‘জননেত্রী’।
29th  June, 2024
গণপিটুনি: আইনটা যদি পাঁচ বছর আগে হতো!
তন্ময় মল্লিক

‘দিনটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর। আমি তখন আঠারো। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে সবে বাড়ি ফিরেছি। সিপিএমের কয়েকজন লোক আমার বাবাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। কারণ আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করত। আমি আর মা তখন বাবার পিছন পিছন ছুটলাম। বিশদ

মধ্যবিত্তের বিশ্বজয়
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতের এই টি টুয়েন্টির বিশ্বজয়ীরা কমবেশি সকলেই এসেছেন সাধারণ পরিবার থেকে। অনেকদিন পর এমন একটি ম্যাচ দেখা গিয়েছে, যেখানে সকলে মিলে কিছু না কিছু করেছেন। কালেকটিভ চ্যাম্পিয়ন। এটাই হল আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত চিরকাল রূপকথা তৈরি করেছে।
বিশদ

05th  July, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

04th  July, 2024
মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
একনজরে
বাজারে এল নতুন সিলিং ফ্যান ‘তারা’। উৎপাদক সংস্থা সুজাতা ইলেকট্রিক প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শারদ ঘাই দাবি করেছেন, তাঁরা যে দামে এবং যে গুণমানের পাখা ...

অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোলে নায়ক হয়ে ওঠেন তুরস্কের ফুটবলার ডেমিরাল। লক্ষ্যভেদের পর উলফ সেলিব্রেশন করে বিপদে পড়েন তিনি। ...

বড়সড় সাফল্য পেল মধ্যপ্রদেশের জঙ্গিদমন শাখা (এটিএস)। তারা ফাইজন শেখ (৩৪) নামে এক সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার খান্ডওয়ার সালুজা কলোনির কানহার মহল্লার ...

সমীক্ষার অঙ্কই অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। বড়সড় পালাবদল ঘটিয়ে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হল লেবার পার্টি। ৬৫০-র মধ্যে চারশোর বেশি আসনে জয়ী হয়েছে বর্তমান বিরোধী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৯০ টাকা ১০৮.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৮১ টাকা ৯১.৯৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪।  প্রতিপদ ৫৮/৩৫ রাত্রি ৪/২৭। পুনর্বসু নক্ষত্র ৫৯/২৮ শেষরাত্রি ৪/৪৮। সূর্যোদয় ৫/১/১২, সূর্যাস্ত ৬/২১/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৮ গতে ১২/৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। 
২১ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪।  প্রতিপদ শেষরাত্রি ৪/৪। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ১/৩০ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৫/১ ম঩ধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে ও ৩/৪১ গতে ৫/১ মধ্যে। 
২৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: অতিরিক্ত সময়ে গড়াল ম্যাচ, ইংল্যান্ড ১-সুইৎজারল্যান্ড ১

11:29:52 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ১-সুইৎজারল্যান্ড ১ (৮১ মিনিট)

11:15:59 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ১ (৭৬ মিনিট)

11:15:03 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ০ (হাফটাইম)

10:25:59 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ০ (১৮ মিনিট)

09:54:46 PM

সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ভারতকে ১৩ রানে হারাল জিম্বাবোয়ে

08:06:05 PM