Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কাশ্মীরে শ্মশানের শান্তি
মৃণালকান্তি দাস

পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফরাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় রয়েছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের অন্যতম শারদাপীঠ এবং শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। এক সময়ে সেই শারদাপীঠের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা শুরু হতো কাশ্মীরের তিতওয়াল গ্রাম থেকে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার ঠিক পরেই পাক হানাদারদের আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় সেই শারদা মন্দির এবং গুরুদ্বার। কিন্তু নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি কাশ্মীরের মানুষের ভাষা। কাশ্মীরি লিপি। যে লিপির ঐতিহাসিক নাম শারদা লিপি। যার উৎপত্তি ব্রাহ্মী লিপি থেকে। 
দীর্ঘদিন ধরে তিতওয়াল এলাকায় ওই মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল উপত্যকার পণ্ডিত সমাজ। অবশেষে সেই দাবি পূরণ করেছে মোদি সরকার। নালন্দা-তক্ষশীলার থেকেও প্রাচীন ওই মন্দির-বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিতে কাশ্মীরে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন মন্দির। তবে বিশ্ববিদ্যালয় নয়। গত মার্চে কুপওয়াড়া জেলার তিতওয়াল গ্রামে দেবী শারদার মন্দির ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) গা-ঘেঁষে কোনও মন্দিরের উদ্বোধন। সাফল্যের সুর তুলে শাহ বলেছিলেন, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে শান্ত হয়েছে, তা সীমান্ত এলাকায় ওই মন্দির নির্মাণ থেকেই স্পষ্ট। শুধু হিন্দু মন্দিরই নয়, জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে যে সুফি তীর্থস্থানগুলি ভেঙে দিয়েছে, সেগুলিও পুনরুদ্ধার করবে মোদি সরকার।’ কিন্তু শুধু মন্দির-সুফি তীর্থস্থান নির্মাণ করলেই কি কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসবে? নাকি জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকের আগে কাশ্মীরের শান্তি, সুস্থিতি এবং সৌন্দর্যকে বিদেশি অতিথিদের সামনে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা?
কাশ্মীরে জি–২০ সম্মেলন সফল করতে মোদি সরকার চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি। ২২ থেকে ২৪ মে তিন দিনের এই সম্মেলন সার্থক করতে কেন্দ্রীয় সরকার ‘বদলে যাওয়া’ কাশ্মীরকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে চেয়েছে। ব্যাপক প্রচারে তুলে ধরা হয়েছে, এই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করার পর থেকে কাশ্মীরের হালহকিকত কীভাবে কতটা বদলে গিয়েছে। দেশের সব বড় বড় সংবাদপত্রে তার পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন। প্রচারে নির্যাস: জম্মু–কাশ্মীর উৎফুল্ল ও উল্লসিত। কাশ্মীরবাসীর ‘উৎফুল্ল ও উল্লসিত’ হওয়ার একটি কারণ যদি হয় উন্নয়ন, অন্য কারণ জি-২০ সম্মেলন। কেমন সেই উন্নয়ন, বিজ্ঞাপনে বিস্তারিতভাবে সেই ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কাশ্মীরে উন্নত মানের সড়ক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সরকার খরচ করেছে এক লাখ কোটি টাকা। চারটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির জন্য লগ্নি করেছে ২৫ হাজার কোটি। এই চার প্রকল্প থেকে উৎপাদিত হবে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি করা হয়েছে ৬ হাজার ৯১২ কিলোমিটার রাস্তা। রেল যোগাযোগ বাড়াতে চন্দ্রভাগা নদীর উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩৫ মিটার উঁচু এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। জম্মু–কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে ন’টি টানেল। খরচ হয়েছে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি। এককথায় গোটা জম্মু–কাশ্মীরজুড়ে চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। বিজ্ঞাপনে মোদি সরকার বোঝাতে চেয়েছে, জম্মু–কাশ্মীরের মানুষ এখন কত খুশি। আর সেই প্রচারের কেন্দ্রে শুধুই প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবি। যাঁর প্রতিটি পদক্ষেপেই ক্ষমতা-দর্পণের প্রত্যক্ষ ছায়া।
যিনি দাবি করেন, ষাট বছরে দেশ রসাতলে গিয়েছে, যা কিছু উন্নয়ন গত আট বছরে এবং তিনিই তার রূপকার। সেই প্রধানমন্ত্রী মোদির এখন একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ও লোকসভা সীমানা পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে ভোট করিয়ে মুসলিম-প্রধান কাশ্মীরে প্রথম কোনও এক হিন্দুকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসানো। সরকারের নির্দেশ মেনে লক্ষ্যে পৌঁছতে পরোক্ষে সেই কাজ করেছে ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’। কারও কোনও আপত্তি ধোপে টেকেনি। ভূস্বর্গকে ‘আবদুল্লা-মুফতি-গান্ধীমুক্ত’ করাই গেরুয়া শিবিরের একমাত্র এজেন্ডা। তার আগাম রিহার্সাল ছিল শ্রীনগরে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক সফল করা। কিন্তু এভাবে কি কাশ্মীরিদের দেশের মূল স্রোতে ফেরানো যায়?
কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ তো মোদি-শাহরা লিখেই ফেলেছেন! ২০১৯-এর ৫ আগস্টে কাশ্মীর যেদিন হারায় পৃথক রাজ্যের গরিমা, সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার অধিকার, দেশজুড়ে হিন্দুত্ববাদীদের প্রবল হর্ষধ্বনিতে ঢেকে গিয়েছিল ঝিলমের স্রোতের আওয়াজ! কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভেঙে পৃথক দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ঘোষণা করা হয়েছিল। মনে করুন সেই সময়ে কথা। ৫ আগস্টের এক পক্ষকাল আগে থেকেই কাশ্মীর ডুবে যেতে থাকে গভীর এক ফাঁদে। যে ফাঁদ অনিশ্চয়তা আর বিশৃঙ্খলায় ভরা। ওইটুকু সময়ের মধ্যেই উপত্যকায় ৩৮ হাজার অতিরিক্ত সেনা ও আধাসেনা পাঠানো হয়। এর আগে মে মাসে অমরনাথ যাত্রার শুরুতে তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ৪০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়। পরে সেই যাত্রা স্থগিত হয়ে যায় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে। সমাজমাধ্যমে ফাঁস-হওয়া সরকারি সার্কুলার, অত্যাবশ্যক পণ্য মজুতের জন্য অস্বাভাবিক তৎপরতা, বিভিন্ন মসজিদের তালিকা, সেগুলির পরিচালন বোর্ডের সবিস্তার তথ্য চাওয়া— নানা ঘটনাক্রম উপত্যকার ভূমিপুত্রদের কপালের ভাঁজ আরও গভীর হচ্ছিল। তারপরের ঘটনা তো সকলেরই জানা! জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা, লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত 
অঞ্চল বানিয়ে ফেলা, চোখের পলকে ঘটে গিয়েছে সব কিছু...।
মনে পড়ে, যখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল শ্রীনগরের বিরিয়ানি খেতে খেতে সব কিছু স্বাভাবিক বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন, সেই সময়ে কাশ্মীরের অন্দরে কী ঘটে চলেছে? একের পর এক নেতাকে জেলে পোরা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রীদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। পাঁচতারা হোটেলও তখন জেলখানা। বিভিন্ন গেস্ট হাউস বদলে গিয়েছে বন্দিশালায়। বিচ্ছিন্ন মোবাইল পরিষেবা, বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট। ল্যান্ডলাইনও বিচ্ছিন্ন! রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড, কাঁটাতার, মেশিনগান আর রাইফেল, জলপাইরঙা উর্দি আর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের আস্ফালন! প্রধানমন্ত্রী কি ভাবছেন, সেখানকার মানুষের মনে এ সবের কোনও প্রতিক্রিয়া হয় না? কিংবা এতই সামান্য প্রতিক্রিয়া, যার নিরাময় কিছু মধুর বাক্যের দুরধিগম্য প্রতিশ্রুতি দিয়েই সম্ভব?
আপনি বলবেন, উপত্যকা কতটা শান্ত, দিঘির জলের মতো স্থির, তার প্রমাণ পর্যটকের প্লাবন। দশ বছরের পরিসংখ্যান ভেঙে পর্যটনে কাশ্মীর এবার রেকর্ড করেছে। পহেলগাঁও, গুলমার্গ, সোনমার্গের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলির কাছাকাছি হোটেল এবং অতিথিনিবাসগুলি প্রায় ষোলোআনা পূর্ণ। দু’বছরের কঠিন সময় পেরিয়ে, গত বছর জম্মু এবং কাশ্মীরে প্রায় এক কোটি ৬২ লক্ষ পর্যটকের পা পড়েছিল। যা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সর্বাধিক। কিন্তু পর্যটকদের ঢল যে স্বাভাবিকতার নমুনা নয়, কবুল না করলেও মোদি সরকার তা বোঝে। নিরাপত্তায় ছিটেফোঁটা ঢিলেমিতে তাই তারা রাজি নয়। ‘স্বাভাবিক’ কাশ্মীর আজও তাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই বন্দি। উপনিবেশ-শক্তির দেখাদেখি ঔপনিবেশিক সমাজ কীভাবে হিংসাকে নতুন করে ধারণ করে, তার বাহক হয়ে উঠে নিজের ক্ষমতার পুনঃপ্রতিষ্ঠা চায়— কাশ্মীর তার উদাহরণ! উপত্যকা আজও আঙুল তুলে দেখায়, ভারতের মতো দেশে গণতন্ত্রের সঙ্গে এই হিংসা-কাঠামোর সংযোগ গভীর। একই ‘স্পেস’ তারা একসঙ্গে অধিকার করে থাকে...।
১৯৯০-এর দশকে যখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে তাড়ানো হচ্ছিল, সেই সময় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে কাশ্মীর গ্রুপের প্রধান ছিলেন অমরজিৎ সিং দুলাত। পরে বাজপেয়ি জমানায় তিনি গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর প্রধান হয়েছিলেন। এহেন দুলাতের কথায়, মোদি সরকারের বাহুবলী নীতি ও সেনা মোতায়েনের ফলে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি কাশ্মীর তার ‘ভারত-বোধ’ হারিয়ে ফেলেছে। নিজের বই ‘আ লাইফ ইন দ্য শ্যাডোস’-এর প্রচারে এসে প্রাক্তন ‘র’ কর্তা জোর গলায় বলেছিলেন, ‘আমি নরেন্দ্র মোদিকে আশ্বাস দিতে পারি, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হলে তিনি শ্রীনগরে এসে কোনও নিরাপত্তা ছাড়াই খোলা জিপে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।’ দীর্ঘদিন কাশ্মীরকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে দুলাতের আশঙ্কা, আগামী দিনে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ আরও মাথাচাড়া দিতে পারে। কারণ, কাশ্মীরিরা চাপের মুখে মাথা নামিয়ে নেয়। কিন্তু পরে আবার মাথা তোলে। হাল ছাড়ে না। এটাই তাঁদের ইতিহাস।
আচ্ছে দিন-এর প্রবক্তা ভালোই জানেন আশাভঙ্গের সম্ভাবনা। যুবসমাজকে চাকরি ও জীবিকা নির্বাহের নতুন স্রোতে ভাসিয়ে দেওয়া যেতে পারে তখনই, যখন মোটের উপর একটি শান্তি ও স্থিতির আবহ তৈরি থাকে। অনুকূল পরিবেশ ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নতির পরিবেশ তৈরি করা অসম্ভব। কে করবেন লগ্নি, কিংবা ব্যবসা, কিংবা চাকরি, যদি এক দিকে সেনাবাহিনীর চাপ ও অন্য দিকে উগ্রপন্থী হামলা অব্যাহত থাকে? কোনও অঞ্চলের যুবশক্তি আস্থা হারিয়ে ফেললে তাকে আর উন্নয়ন-কাজে ফিরিয়ে আনা সহজ নয়— কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রূপায়ণ কোনও মতেই সহজ হবে না।
এ সবই মোদি জানেন। তবু তাঁকে রাজনীতির প্রয়োজনেই শূন্যগর্ভ ঘোষণা চালিয়ে যেতে হয়!
25th  May, 2023
সেঙ্গোল যেন কোনও মতেই নত না হয়
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিকৃতিতে ওস্তাদগণ এবং বিজেপির বাজনদারদের দেওয়া সেঙ্গোলের চমকপ্রদ ব্যাখ্যা শুনে 
থাকলে তাঁদের সমাধি থেকেই উঠে আসবেন তিরুবল্লুবর, এলাঙ্গো আদিগল, আভাইয়ার এবং সঙ্গম কবিরা।
বিশদ

মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই
এক নেতার অভিষেক
হিমাংশু সিংহ

‘যিনি মানুষের মনে আশা জাগাতে পারেন তিনিই নেতা।’ কথাটা আমার নয়। বলে গিয়েছেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। সেখানে অবশ্য আদর্শ নেতার বয়সের কোনও উল্লেখ 
তিনি করেননি। কিন্তু বাংলার মানুষের মনে গত ৩৯ দিন ধরে ক্রমাগত সেই আশারই সঞ্চার করে চলেছেন এক তরুণ। ক্রমাগত কেন্দ্রের বঞ্চনা। বিশদ

04th  June, 2023
নবজোয়ারেই তৈরি হচ্ছে নতুন প্রজন্মের ভিত

কেউ বলছেন, সার্কাস হচ্ছে। তাই পড়েছে তাঁবু। কেউ বলছেন, কয়লা, গোরু পাচার ও নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। আবার কারও মতে, এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জননেতা’ বানানোর গেমপ্ল্যান।
বিশদ

03rd  June, 2023
দশ বছরেও ধর্মই তাস!
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এক কথার মানুষ। তিনি তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন হাই ভোল্টেজ হিন্দুত্বকে সামনে রেখে। লালকৃষ্ণ আদবানির রথযাত্রার রোডম্যাপ কী হবে সেই পরিকল্পনা করেছিলেন প্রমোদ মহাজন। কিন্তু সেই প্ল্যান সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গুজরাত বিজেপির এক যুবক নেতাকে। বিশদ

02nd  June, 2023
নির্জলা নিয়তির অপেক্ষা!
মৃণালকান্তি দাস

মাত্র তিন মাসের মধ্যে জলশূন্য হয়ে যাবে গোটা কেপটাউন শহর! বিশেষজ্ঞদের এই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছিল ২০১৮ সালেই। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের প্রায় ৪০ লক্ষ নাগরিক রীতিমতো যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল। জল বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিল গোটা শহর। যুদ্ধে শামিল সাধারণ মানুষ থেকে বড় বড় সংস্থাও।
বিশদ

01st  June, 2023
পুরাণের রাজার প্রত্যাবর্তন
হারাধন চৌধুরী

মহাভারতে যুধিষ্ঠির জানতে চেয়েছিলেন, রাজার উৎপত্তি কীভাবে? উত্তর দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম যা বলেছিলেন, তার সারকথা হল—মানুষের লোভ আর মোহ থেকেই রাজার জন্ম। পৃথিবীর সূচনায় প্রতিটি মানুষ আপন শৃঙ্খলায় সুখে বসবাস করত। কিন্তু একদিন তাদের মনে লোভ বাসা বাঁধল, মানুষ মোহান্ধ হয়ে উঠল, তখনই সমাজে দেখা দিল বিশৃঙ্খলা, সেটা ক্রমে গড়াল মাৎস্যন্যায় পর্যন্ত।
বিশদ

31st  May, 2023
সরকারের পক্ষে জোরদার তালির বন্দোবস্ত হয়েছে
পি চিদম্বরম

আইপিএল ২০২৩-এর সেরা পাঁচ বোলারের মধ্যে চারজন স্পিনার—রশিদ খান, ওয়াই চাহাল, পীযূষ চাওলা এবং বরুণ চক্রবর্তী। একজন সাধারণ মানুষকে ব্যাপারটা অবাকই করেছে, কারণ তিনি জানেন যে, টি-টোয়েন্টি খেলাটি এমন দাপুটে ব্যাটসম্যানদের কথা মাথায় রেখেই সাজানো, যাঁরা স্পিন বোলারদের পিটিয়ে মাঠছাড়া করে দিতে মরিয়া।
বিশদ

29th  May, 2023
গণতন্ত্রই বিপন্ন, ইট-কাঠ-পাথরের সংসদে লাভ কী?
হিমাংশু সিংহ

আচ্ছে দিন মরীচিকা হয়ে থাকলেও আচ্ছে সংসদ ঘোর বাস্তব হয়েই ধরা দিচ্ছে। কীর্তি, সাফল্য তাঁর পিছু ছাড়ে না। ভক্তকুল নানা অবতারে তাঁর গরিমাকে তুলে ধরে। তবু সাধারণ মানুষের সমস্যা কমে না। বিতর্ক তাড়া করে প্রতি মুহূর্তে। সংবিধান ও গণতন্ত্রের সূতিকাগৃহ হল সংসদ। বিশদ

28th  May, 2023
সংগঠন নেই বঙ্গে, ধামাকাই
কি বিজেপির ভরসা?
তন্ময় মল্লিক

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পরপর তিনটি রাজ্যে হেরেছিল বিজেপি। আর তাতেই নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। ঠিক সেই সময়ে ঘটেছিল পুলওয়ামায় সেনা জওয়ানদের গাড়িতে জঙ্গি হামলা। তারপরই পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক। বিশদ

27th  May, 2023
রাষ্ট্র দেশবাসীকে অনিশ্চয়তাই দিয়ে চলেছে
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ নয়। আসলে একটা ভয়ের জন্ম হয়। যখন আমরা জানতে পারি রাষ্ট্র তার দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করছে। আবার রাষ্ট্রকে দেশবাসী বিশ্বাসও করছে না। রাষ্ট্র তার দেশবাসীকে মানুষ হিসেবে নয়, পুতুল হিসেবে দেখছে। রাষ্ট্র ভাবছে, আমি যখন যা করব, সেটা দেশবাসীর মেনে নেওয়াই ভবিতব্য। বিশদ

26th  May, 2023
ব্যুমেরাং হচ্ছে মোদিজির সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদি সরকারের কফিনে প্রথম পেরেকটি মেরে দিল কর্ণাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যটি চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল মোদি ম্যাজিকের শূন্যগর্ভ অহঙ্কার।
বিশদ

24th  May, 2023
রাজনীতি যখন মার্কেটিং
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাবানের বিজ্ঞাপন। আটের দশকের শেষে দূরদর্শনে খেলা বা সিনেমা দেখার ফাঁকে উদয় হতো তার। সেই সময়ের নামজাদা কোনও নায়িকা, তিনি সাবান মাখছেন, আর সুন্দর হয়ে উঠছেন।
বিশদ

23rd  May, 2023
একনজরে
মৃত মহিলার যৌন নিগ্রহ ধর্ষণ নয়। এমনই রায় দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। ২০১৫ সালে টুমকুর জেলার ২১ বছরের এক তরুণীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে। ...

খিদিরপুর সুইমিং ক্লাবের শতবর্ষ উদাযাপনে বিশেষ উদ্যোগ। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রাণা’র সঙ্গে যৌথভাবে এক মহৎ কর্মযজ্ঞে ...

দীর্ঘদিন থেকে এলাকার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে থাকায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। ...

ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় গ্রামের তিন যুবককে হারিয়ে শোকস্তব্ধ কাটোয়ার কড়ুই। রবিবার সন্ধ্যায় তিনজনের দেহ গ্রামে আসতেই কান্নায় রোল ওঠে। গোটা গ্রামজুড়ে শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৬ টাকা ৮৩.৩০ টাকা
পাউন্ড ১০০.৯৩ টাকা ১০৪.৪০ টাকা
ইউরো ৮৬.৭০ টাকা ৮৯.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
04th  June, 2023
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬০,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
04th  June, 2023

দিন পঞ্জিকা

২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩। প্রতিপদ ৪/২১ দিবা ৬/৪০ পরে দ্বিতীয়া ৫৭/১৬ রাত্রি ৩/৫০। মূলা নক্ষত্র ৫১/১০ রাত্রি ১/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১৫, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/২৯ গতে ৪/১২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৫ গতে ৮/১৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ২/৫৫ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। 
২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩। প্রতিপদ দিবা ৭/৩১। মূলা নক্ষত্র রাত্রি ৩/২১। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/১৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১১ গতে ১২/০ মধ্যে ও ১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩২ গতে ৪/১৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫৬ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬ গতে ১১/৩৬ মধ্যে।
১৫ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ফুরফুরা শরিফে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

05:25:00 PM

৭ ঘণ্টার মুক্তি মণীশ সিশোদিয়ার
অসুস্থ স্ত্রীকে দেখে আসার জন্য ৭ ঘণ্টা ছাড়া হল দিল্লির ...বিশদ

04:19:16 PM

মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে: মুখ্যমন্ত্রী

04:05:10 PM

যাঁরা ট্রমায় আছেন তাঁদের চারমাস ২ হাজার টাকা দেওয়া হবে: মুখ্যমন্ত্রী

04:03:00 PM

জখমদের দেখতে কাল কটক ও ভূবনেশ্বরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

04:02:25 PM

মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার সাহায্য করা হবে: মুখ্যমন্ত্রী

04:01:47 PM