Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই
বদলে দিল দিল্লির এই ভোট-সংস্কৃতি
হারাধন চৌধুরী

প্রতিমা গড়ে পুজো করা আর ভগবানকে লাভ করা এক নয়। প্রতিমা সাজিয়ে পুজো যে-কেউ করতে পারে। কিন্তু, ভগবান লাভ? মানুষ চিরদিন মনে করে এসেছে, সে শুধু সাচ্চা সাধকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসে একেবারে অন্যকথা বললেন। আর এইকথাটি তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেকবারই বলেছেন। ১৮৮৩ সালে ১৫ জুনের কিছু কথা শোনা যাক। দশহরাতে দক্ষিণেশ্বরে ভক্তরা ঠাকুরকে দেখতে এসেছেন। ঠাকুরের কাছে এক ভক্তের প্রশ্ন ছিল—‘‘গৃহস্থাশ্রমে কি ভগবান লাভ হয়?’’ জবাব দিতে গিয়ে ঠাকুর তাঁর এক অসুখের চিকিৎসা প্রসঙ্গ তুললেন। কবিরাজ তাঁকে ‘জল’ খেতে বারণ করেছিলেন! ঠাকুর বললেন—‘‘সকলে মনে করলে, জল না খেয়ে কেমন করে আমি থাকব। আমি রোখ কল্লুম আর জল খাব না। ‘পরমহংস’! আমি তো পাতিহাঁস নই—রাজহাঁস! দুধ খাব।’’ সহজ কথা এই যে, ঠাকুর গৃহীদেরও আশ্বস্ত করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সংসারের মধ্যে থেকেও আমরা ভগবানকে পেতে পারি। অর্থাৎ সংসারের ভিতরে অসার বস্তুগুলিকে আলাদা করার টেকনিক শিখে নিতে পারলেই ভগবান নামক সার বস্তুকে লাভের আনন্দ আমরা পেতেই পারি।
শতাধিক বছর আগের কথাটি মনে পড়ে যাচ্ছে দিল্লি রাজ্য বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গে। ঠাকুরের কথাটিকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন আম আদমি পার্টির (আপ) মুখ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিশ্চিত করলেন। কেজরিওয়াল শুধু সরকার গড়ার ছাত্রপত্র জোগাড় করলেন না—ভারতকে এক অভিনব রাজনীতি উপহার দেওয়ার কৃতিত্ব দাবি করার উচ্চতায় নিয়ে গেলেন নিজেকে। দিল্লির সঙ্গে অন্য রাজ্যগুলির মূলগত তফাত হল—এখানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর বলে কিছু নেই। সেটি কেন্দ্রের কুক্ষিগত। অর্থাৎ নিজস্ব পুলিসকে ব্যবহার করার কোনও সুবিধা কেজরিওয়াল পান না। রাজ্য বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠানের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব ক্ষমতা অধিকার সরকারিভাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। তবু, রাজ্যের সাধারণ প্রশাসন ও পুলিসের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করার বিকল্প কমিশনের সামনে নেই। ভোটের সময় অল্প কিছুদিনের জন্য রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিস কমিশনের অধীন হয়ে যায় বটে, কিন্তু ভোট মিটতেই তাদের পুরনো মালিকের অধীন হতেই হয়। তাই বেশিরভাগ সময়ই রাজ্য প্রশাসন ও পুলিসের নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। ভারতের মাটিতে এই ট্রাডিশন ভাঙতে আগ্রহী রাজনৈতিক দলের দেখা এখনও অবধি মেলেনি।
অন্যদিকে, ইভিএমে গৃহীত দিল্লির এই ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে কারও মনে বিন্দুমাত্র সংশয় সন্দেহ নেই। আমরা দেখলাম, মোট আসনের ৯০ শতাংশই দখল করেছে দিল্লি রাজ্যের শাসক দল আপ। কিন্তু, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি দিল্লি রাজ্যের ক্ষমতা দখলের জন্য এবার মরিয়া ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ তাদের জাতীয় স্তরের সমস্ত হেভিওয়েট নেতাকে নামিয়েছিল। তার পরেও বিজেপি ‘পুওর সেকেন্ড’! ৭০-এর মধ্যে মাত্র ৮! তাদের একমাত্র সান্ত্বনা—ভোটের হার এবং আসন সংখ্যা ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু, তাদের এবারের লড়াইটা মোটেই দু’নম্বর হওয়ার লক্ষ্যে ছিল না। বরং, জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবেনি মোদি-শাহদের দল। পরাজয়ের স্রোতে বাঁধ দেওয়ার জন্য এটা ভীষণ জরুরি ছিল। গত দু’বছরে ১১টি রাজ্যে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে হরিয়ানা ও অরুণাচলের মতো দুটি ছোট রাজ্য মুখরক্ষা করলেও, বাদবাকি ৯টিতে সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছে ‘মোদি ম্যাজিক’! দিল্লিটা হাতে পেলে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের ক্ষতে সামান্য প্রলেপ দিতে পারতেন মোদিজিরা। কিন্তু, সেই সুযোগ কেড়ে নিলেন কেজরিওয়াল।
বিজেপিকে আশার আলো দেখিয়েছিল ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের রেজাল্ট—দিল্লিতে সাতে সাত! ওই রেজাল্টের অন্তরে আরও লেখা ছিল—৭০টি বিধানসভার মধ্যে ৬৫টিতে এগিয়ে! অতএব, পায় কে? কেজরিওয়ালকে রামধাক্কা দেওয়াটা কেবল সময়ের অপেক্ষা।
কিন্তু, মানুষ ভাবে এক আর হয় আর-এক। কারণ, ভাবনার ভিতরেও যে ভাবনা থাকে—লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের সময় একই ভোটার যে বিপরীত আচরণ করে থাকেন! গত দুটি লোকসভা এবং দুটি বিধানসভার ভোটের রেজাল্ট অন্তত তাই বলছে। যে-মানুষ লোকসভায় আন্তরিকভাবে মোদিকে চেয়েছেন, সেই মানুষটাই বিধানসভায় চেয়েছেন কেজরিওয়ালকে! বিজেপি নেতৃত্ব মানুষের এই চাহিদা বুঝতে এবং তাদেরকে প্রভাবিত করতে যার পর নাই ব্যর্থ হয়েছে।
বিজেপি জয়ের জন্য হাতিয়ার করেছিল তাদের পুরনো অস্ত্রগুলিই—পাকিস্তান জুজু, দেশপ্রেম, রামমন্দির, ধর্মীয় বিভাজন এবং বাহুপ্রদর্শন ও বিরোধীদের নামে কুৎসা। ব্যক্তি কেজরিওয়ালকে নিয়েও আলতু-ফালতু অভিযোগ করেছিল বিজেপি। অন্যদিকে, কেজরিওয়াল এবার হেঁটেছেন একেবারে নতুন এক পথে। তিনি নিখাদ এক উন্নয়নের তরি ভাসিয়েছিলেন। যে-উন্নয়নের মূল কথা হল কোয়ালিটি লাইফ। সুস্থ-সবল-সুন্দর ভাবে বাঁচা। যে-বেঁচে থাকার মধ্যে শুধু আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায়—দিনগত পাপক্ষয়ের চেনা যন্ত্রণার ধারণা থেকে সরে আসা। তাই তাঁর ‘২৮ পয়েন্ট গ্যারান্টি কার্ড’-এর ১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিল দিল্লির ভয়াবহ দূষণ থেকে মানুষকে ধীরে ধীরে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাস। ‘দূষণ’ নামক সত্যটা যে-দেশে শুধুমাত্র পরিবেশকর্মী নামক কিছু মানুষের (যাঁরা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে আনন্দ পান বলে ভাবা হয়) সাবজেক্ট হয়ে রয়েছে, সেই দেশে কেজরিওয়াল দূষণকে ভোট কেনার মুদ্রা করে তুলেছেন! নিঃসন্দেহে এ এক অমিত সাহসী পদক্ষেপ। পরিস্রুত পানীয় জল, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, রেশন, পরিবহণ, কর্মরত অবস্থায় মৃত সাফাইকর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, প্রবীণ নাগরিকদের তীর্থযাত্রা এবং শিক্ষার প্রসার বিষয়ে কেজরিওয়ালের ভাবনাগুলি অভূতপূর্ব! বিশেষ করে স্কুলশিক্ষার উন্নতির বিষয়ে তাঁর সরকারের পদক্ষেপ অনেক নামী বেসরকারি স্কুলের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। যে-কাজগুলি কয়েক দশক আগে বামেদের করে দেখানোর কথা ছিল, সেটাই করে চলেছেন আপ কাণ্ডারী। বামেদের যা চিন্তাতেও আসেনি—সেসবও তিনি ভাবছেন করছেন।
পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, সস্তা রাজনীতির সমস্ত চেনা পথ কেজরিওয়াল সযত্নে পরিহার করেছেন। নরেন্দ্র মোদির তীব্র বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও ইমরান খানের বাজে কথার জবাব দিতে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করতে কুণ্ঠিত হননি কেজরিওয়াল। ৩৭০ ধারা বাতিলে সম্মতি জানিয়েও নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতা করেছেন বলিষ্ঠভাবে। এই রাজনীতিক আবার জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া এবং শাহিনবাগ আন্দোলনের গড্ডলিকাতেও ভাসেননি। কুৎসা করা দূরে থাক, ভোটের প্রচারে একবারও বিজেপি নেতাদের নামে গরমাগরম কিছু বলেননি। বরং দেশপ্রেমে আস্থা রেখে একইসঙ্গে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বলে চলেছেন দরাজ গলায়। মোদ্দা কথা, উন্নয়নের ইস্যু চাপা পড়ে যায় এমন একটাও লুজ বল তিনি খেলেননি। বাজে না বকে এবং ‘ভোট করানো’র অসৎ পথ পরিহার করেও যে বিপুল জয় হাসিল করা সম্ভব—ভারতের মাটিতে কেজরিওয়ালের আগে হাতেকলমে কেউ দেখাতে পেরেছেন বলে শুনিনি। এমনকী বিপুল জয়েও মাথা ঘুরে যায়নি তাঁর। জয় যেন তাঁকে আরও সংযত করেছে। জয়ের প্রকাশেও দলীয় কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিরক্ষার কথা। তাঁর নির্দেশ—বিজয় উৎসবে একটিও বাজি ফাটবে না!
ভারতের রাজনীতির পরতে পরতে মিথ্যাচার আর দুর্নীতি। এসব ঢাকতে রাজনীতির ভাষা আত্মস্থ করে নিয়েছে কুবাক্যসমূহ—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কথিত দুধের মধ্যে মিশে থাকা জলের মতোই। এবারের ভোটে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেখিয়ে দিয়েছেন—জলটুকু সরিয়ে খাঁটি দুধটুকুই গ্রহণের সহজ কৌশলটি। তাঁকে ঠাকুরের দেখানো পথের পথিক ভাবতে একটুও কষ্ট হচ্ছে না। এই পন্থায় ক্ষমতার কুর্সিকে কোনোভাবে মলিন বলে মনে হচ্ছে না—মনে হচ্ছে শিবজ্ঞানে জীবসেবার একটি শ্রেষ্ঠ উপায়। দিল্লিতে সদ্য প্রতিষ্ঠিত অভিনব ভোট-সংস্কৃতি বিহার, বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা ভোটের আগে শুধু বিজেপিকেই চাপে ফেলল না—চাপে পড়ে গেল সারা দেশের রাজনীতি। ভারতীয় রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই বদলে যেতে পারে এবার।
13th  February, 2020
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল
হিমাংশু সিংহ

মাত্র এক বছর পরেই বিধানসভার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পরপর তিনবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এই অবস্থায় শাসক তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের উচিত সংযত থাকা। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল, রক্তপাত এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করা। তাহলেই এরাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দ্বিধায় আরও একবার দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।
বিশদ

প্রার্থী নির্বাচনে সাহসী হলে পুরভোটে লাভ পাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন মানেই পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের হলে বিষয়বস্তু হয় উন্নয়ন, পরিষেবা ও সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের পরীক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মুখ। আর এবার পুরভোটে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নির্বাচনই অগ্নিপরীক্ষা। তার জন্য তৃণমূল সহ রাজ্যবাসী তাকিয়ে আছে টিম পিকের দিকে।  
বিশদ

22nd  February, 2020
বিশ্বাসের অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 বিগত তিন বছর ধরে ভারতের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ নিজেদের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে নয়। দেশের আটটি সরকারি এবং আটটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যার ফলশ্রুতি হল সরকারি ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা রয়েছে তার সিংহভাগই আগে থেকে জমা হয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট।
বিশদ

21st  February, 2020
মুখ চাই মুখ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মুখ হয়তো অনেক আছে। কিন্তু, ঠিক সেই মুখটির দেখা এখনও মেলেনি। কোন মুখটি? যে মুখটি সৌজন্যে পরাক্রমে রাজনৈতিক কূটকৌশলে এবং অবশ্যই জনপ্রীতিতে পাল্লা দিতে পারে বাংলার একচ্ছত্র নেত্রীকে, ২০২১ বিধানসভার রণাঙ্গনে ছুঁড়ে দিতে পারে চ্যালেঞ্জ, জাগাতে পারে আর এক মহাবিজয়ের সম্ভাবনা। সেই মুখ কোথায় পদ্মশিবিরে? 
বিশদ

20th  February, 2020
বিপুল অভ্যর্থনা পেয়ে বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ
কলকাতায় বলেন, এ ঠাকুরেরই ‌জয়জয়কার
হারাধন চৌধুরী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘নরেন শিক্ষে দেবে।’’ ঠাকুরের কথা ফলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মানসপুত্রটি বেছে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের মাটি। কারণ, যে-কোনও জিনিস পাশ্চাত্যের মানুষ গ্রহণ করার পরেই যে ভারতের মানুষ তা গ্রহণে অভ্যস্ত! স্বামী বিবেকানন্দের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভা।
বিশদ

19th  February, 2020
ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)।  বিশদ

18th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

17th  February, 2020
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

17th  February, 2020
এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

 ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিশদ

15th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
সেনাবাহিনীও যখন রাজনীতির অস্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লঞ্চপ্যাড মাত্র ৫০ মিটার দূরে... অন্ধকারের মধ্যেই তাঁর চোখ দু’টো খুঁজে চলেছে... নজরে এসেও গেল দুই জঙ্গি... ছায়ার মতো সেঁটে আছে লঞ্চপ্যাডের অন্ধকারে। নাইট ভিশন গ্লাস চোখে লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন মেজর মাইক ট্যাঙ্গো। আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার কারণ আরও ছিল তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2020
একনজরে
বিএনএ, রায়গঞ্জ: শনিবার থেকে রায়গঞ্জের আব্দুলঘাটা ফরেস্টে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শিশুদের নিয়ে দু’দিনের প্রকৃতি পাঠ শিবির শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জ, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চার থেকে ১৪ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই শিবির শুরু হয়েছে। ...

 ওয়াশিংটন, ২২ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): নিজের ভূখণ্ডে থাকা জঙ্গি ও চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলেই একমাত্র ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবে পাকিস্তান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের আগে সন্ত্রাস ইস্যুতে এভাবেই ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়াল আমেরিকা। ...

ওয়েলিংটন, ২২ ফেব্রুয়ারি: অন্তিম সেশনে ইশান্ত-সামি-অশ্বিনরা যেভাবে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন, তা ভারতের পক্ষে খুবই ইতিবাচক। বাইশ গজে দারুণ জমে যাওয়া কেন উইলিয়ামসন ও রস ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: শনিবার নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্রী স্মৃতি নন্দী। ব্লাইন্ড স্কুলের হোস্টেল সুপার সুরেন্দ্রকুমার চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাতে স্মৃতি অসুস্থ হয়ে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস
১৮৪৮: কার্ল মার্ক্স প্রকাশ করেন কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো
১৮৭৮ - মিরা আলফাসা ভারতের পণ্ডিচেরি অরবিন্দ আশ্রমের শ্রীমার জন্ম
১৮৯৪: ডাঃ শান্তিস্বরূপ ভাটনগরের জন্ম
১৯৩৭: অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫২: পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দিলেন চারজন
১৯৬১: নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭০ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার মাইকেল স্লেটারের জন্ম
১৯৯১: অভিনেত্রী নূতনের মৃত্যু
১৯৯৩ - বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও কবি অখিল নিয়োগীর (যিনি স্বপনবুড়ো ছদ্মনামে পরিচিত) মৃত্যু
২০১৩: হায়দরাবাদে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে ১৭জনের মৃত্যু

১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম
১৯০৬: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের জন্ম
১৯৪৪: মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু
২০১৫: বাংলাদেশে নৌকাডুবি, মৃত ৭০

21st  February, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৮ টাকা ৯৪.৩০ টাকা
ইউরো ৭৬.০৫ টাকা ৭৯.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ কৃষ্ণপক্ষ) অমাবস্যা ৩৭/১৭ রাত্রি ৯/২। ধনিষ্ঠা ১৮/৫৮ দিবা ১/৪৩। সূ উ ৬/৭/২৩, অ ৫/৩৩/৫, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ গতে ৯/৫৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৫ গতে ১/১৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৫ গতে ২/৫৮ মধ্যে। 
১০ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, অমাবস্যা ৩৪/৪২/৪০ রাত্রি ৮/৩/৩৭। ধনিষ্ঠা ১৭/৩৭/৪৩ দিবা ১/১৩/৩৮। সূ উ ৬/১০/৩৩, অ ৫/৩১/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ গতে ৯/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ১১/৫১/১৬ গতে ১/১৬/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬/৫ গতে ৩/০/৫৪ মধ্যে। 
২৮ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: নতুন বন্ধু লাভ হবে। বৃষ: বিবাহ যোগ আছে। মিথুন: শিক্ষাকর্ম বিষয়ে চিন্তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯১৩ জাদুকর সিনিয়ার পিসি সরকারের জন্মদিন১৮৪১ সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন সিংহর জন্মদিন১৯৬৯ ...বিশদ

07:03:20 PM

হলদিয়ায় ২ মহিলার আধপোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা
হলদিয়ায় নদীর চরে আধপোড়া দুই মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে ...বিশদ

08:38:14 PM

হলদিয়ায় দুই মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত ২ 
হলদিয়ায় নদীর চরে আধপোড়া দুই মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার ...বিশদ

04:13:53 PM

দঃ দিনাজপুরে বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলে নাম লেখাল ৫০০০ নেতা-কর্মী 
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপিতে বড়সড় ধস। বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের জেলা ...বিশদ

03:59:00 PM

পুরসভা ভোট নিয়ে দিনহাটায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী 

03:48:00 PM