Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

বছরের পর বছর ধরে একই নিয়ম, একই রীতি, একই সংস্কৃতি, একই প্রশাসনিক এবং শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে থাকবে এটা ঠিক নয়। পরিবর্তন না হলে বোঝা যাবে কীভাবে যে ভারত অগ্রসর হচ্ছে উন্নত, আধুনিক এবং গতিশীল এক নতুন দুনিয়ার দিকে? সেই কারণেই, ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতের নতুনীকরণ হয়ে চলেছে নানা সেক্টরে। জওহরলাল নেহরুর স্থাপন করা যোজনা কমিশন নামক এক প্রাচীন প্রশাসনিক ব্যবস্থা বন্ধ
করে নতুন কাঠামোয় আত্মপ্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। বিল্ডিংটা অবশ্য ভেঙে ফেলা হয়নি। সামনের নেমপ্লেটে বড় করে লেখা হয়েছে নীতি আয়োগ। এরপর পুরনোকে সরিয়ে ফেলে ২০১৬ সালে
ভারতে নতুন মুদ্রা ব্যবস্থা চালু হল। মনে করা হয়েছিল, শুধুই বোধহয় ৫০০ ও ১০০০ টাকার দুটি নোটই বাতিল করা হচ্ছে। বাকি সব নোট পুরনো আকারেই থাকবে। কিন্তু ধীরে ধীরে পুরনো ডিজাইনের ১০০ টাকা, ৫০ টাকার নোটও পাল্টে নতুন ঝকঝকে অন্য ডিজাইনের নোট এসেছে। আর তার সঙ্গেই এই সরকারের স্বভাবসিদ্ধ চমকও এল। ২০০ টাকার নোট। এবার পাল্টে যাচ্ছে পার্লামেন্ট ভবনও। নতুন লোকসভা হল তৈরি হবে ২০২৪ সালের আগেই।
সাম্প্রতিক কিছু কিছু কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করার প্রকল্পও বেশ গতিশীল। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি কলেজ, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই দলে দলে রিসার্চ স্কলার উত্তীর্ণ হবেন এবং দেশবিদেশে ছড়িয়ে পড়বেন সেই একই অর্থনীতি, পদার্থবিজ্ঞান, অঙ্ক নামক প্রাচীনতম বিষয়বস্ত নিয়ে, এটা যেন একটা একঘেয়ে প্রবণতা। তাই নতুন কিছু করতে হবে। তাছাড়া ওরকম চরম কঠিন কঠিন অ্যাডমিশন টেস্ট কিংবা শুধুই মেধার মাধ্যমে এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে, এই পুরনো পন্থাও অনেকে মানতে নারাজ। এই যথেচ্ছাচারের সমাজের নতুন দাবি, গণতান্ত্রিক ভারতে সব প্রতিষ্ঠানে সবাই ঢুকতে পারে। রেজাল্ট ফেজাল্ট মাপকাঠি হতে পারে না। সুতরাং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ঢুকতে গেলে একান্তই যদি প্রশাসনিক বাধা থাকে, তা হলে রাতে মুখ ঢেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার নিয়ম করতে হবে। যেহেতু রেজিস্টারে ছাত্র হিসাবে নাম থাকবে না, তাই অ্যাটেন্ডেন্স হিসাবে একটা দুটো মার্কামারা স্লোগান রাখা যেতে পারে। হাতে পেন খাতা ব্যাগের বদলে ইঁট, পাথর, আয়রন রড থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়।
এদিকে আবার প্রাচীন একঘেয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি নতুন নতুন কিছু অত্যাধুনিক এবং উন্নত কোর্সও চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেমন, অযোধ্যার রামমনোহর লোহিয়া অবধ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। কোর্সের নাম ‘গর্ভ বিজ্ঞান সংস্কার’। গর্ভের সন্তানকে কীভাবে জন্মগ্রহণের আগেই মানসিক ভাবে শক্ত করে তোলা সম্ভব, এটাই এই কোর্সের উপজীব্য। যোগা থেরাপি বিভাগ আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রাচীন ঐতিহ্যের শিক্ষাকে মিশ্রিত করে এই কোর্স করাবে বলে স্থির করেছে। জন্মগ্রহণের আগেই কীভাবে, কী কী পদ্ধতি পালন করা হলে অনাগত সন্তান মানসিকভাবে স্ট্রং হয়ে যায় সেটাই পড়ানো হবে। সন্তানবতী মা, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
ঠিক এরকমভাবেই বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে ‘ভূত বিদ্যা‘ সিলেবাস। সাইকোমেটিক ডিসঅর্ডার সাবজেক্টের আওতায় রাখা হচ্ছে ভূত বিদ্যাকে। আয়ুর্বেদ বিভাগের আওতায় এই কোর্স পড়ানো হবে। সাইকিয়াট্রির সঙ্গে ভূত প্রেতের সম্পর্ক কী? এই প্রশ্ন তুলে দাবি উঠেছে অবিলম্বে কোর্সের নামবদল করা হোক। আয়ুর্বেদিক সাইকিয়াট্রি নামকরণের দাবিও উঠেছে। কিন্তু এই সিলেবাসে কী পড়ানো হবে? এখনও সেটা জানা যায়নি।
ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস আয়োজিত হল পাঁচদিন ধরে। ১০৭ বছরের পুরনো এই বিজ্ঞান কংগ্রেসের নিয়ম হল নানাবিধ গবেষণা, বিজ্ঞানের পেপার, নতুন আবিষ্কার, উদ্ভাবনের আলোর সন্ধান, বিজ্ঞানীদের পারস্পরিক আলোচনা, সেমিনার, মনোজ্ঞ বক্তৃতা ইত্যাদির মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া আরও বিজ্ঞানমনস্ক এক উন্নত সভ্যতার দিকে। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে সমাপ্ত হয়েছে এই বিজ্ঞান কংগ্রেস। সেখানে দুটি ইন্টারেস্টিং প্রোগ্রাম ছিল। সমাপ্তি অনুষ্ঠানের বিষয় ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিমা স্কিম আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে আলোচনা। এক প্রাক্তন ইসরোর বিজ্ঞানী ও দুজন ডাক্তার ভারতের বিজ্ঞান কংগ্রেসে সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ভারত সরকারের স্বাস্থ্য বিমার উপকারিতা নিয়ে। তবে এবার ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে আর একটি অনুষ্ঠান আরও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। বিজ্ঞান সংক্রান্ত অধিবেশনে ছিল একটি বিশেষ প্রেজেন্টেশন। কেন্দ্রীয় সরকারের উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্প। গরিবদের রান্নার গ্যাস দেওয়ার প্রকল্প
নিয়ে ভাষণ দেওয়া এবং কতজন সেইসব সুবিধা পেলেন দেশজুড়ে, তার বিবরণ। তবে ভাষণ দিতে
যাঁর আসার কথা ছিল, সেই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কর্তা আসতে পারেননি।
সুতরাং নতুন ভারত শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করছে। সেটা অত্যন্ত কাম্য। পরীক্ষা নিরীক্ষা হোক। পরিবর্তন হোক। কিন্তু সবটাই হোক দেশের স্বার্থে। শুধুই দল অথবা সরকারের অ্যা঩জেণ্ডা কিংবা নীতি আদর্শ চরিতার্থ করার জন্যই যেন না হয়। সেটা হলে শিক্ষার ক্ষতি যেমন হচ্ছে, তেমনই আমরা জানতে পারছি না যে, ভারতকে নিয়ে প্রবল হাসাহাসিও হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ভারতের ঐতিহ্যশালী আধুনিক চিন্তাধারার শিক্ষাব্যবস্থা রক্ষা করা দরকার। কারণ আজ ভারতকে গোটা বিশ্বের দরবারে সবথেকে বেশি যে সেক্টরটি সম্মান এনে দিয়েছে, সেটি হল শিক্ষা। অসংখ্য স্কলার বিশ্বে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁরা এই চলমান শিক্ষাব্যবস্থারই মাধ্যমেই কিন্তু ওই উচ্চাসনে বসেছেন। আজ থেকে নয়, ভারতের উন্নত শিক্ষা, সেটা দর্শন হোক অথবা বিজ্ঞান, বিশ্ববাসীকে সমৃদ্ধ করেছে প্রথম সহস্রাব্দ থেকে। অধ্যাপক অমর্ত্য সেন দেখিয়েছেন, কীভাবে কালিদাস, শুদ্রকের সময় থেকে ভারতের গণিতবিদ্যার বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। বস্তুত ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করা আর্যভট্টের হাত ধরে এক উন্নতির শিখরে ভারত বসেছিল বিশ্বের শিক্ষাচর্চায়। পাশাপাশি বরাহমিহির, ভাস্কর, ব্রহ্মগুপ্তের মাধ্যমে ভারতের গণিতবিদ্যা বিশ্বের বহু সভ্যতাকে আলো দিয়েছে। গ্রীস, রোম, ভারত পারস্পরিক জ্ঞানের আদানপ্রদানে শিক্ষার তুঙ্গে উঠেছিল। সেই ঐতিহ্য আজও বহমান। আর সেই বহমানতা বজায় রাখতে হলে শিক্ষার উন্নত কেন্দ্রগুলিকে যত্ন করে লালন করা দরকার। যে দলেরই হোক না কেন, শিক্ষাকে রাজনীতিমুক্ত করার জন্য না ঝাঁপালে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্ষতি।
বিশ্বের কর্পোরেট বাজারে লক্ষ্য করা যাবে, ভারতের কোনও বিখ্যাত ব্র্যাণ্ড নেই। অর্থাৎ মোবাইল
অথবা টিভি কিংবা গাড়ি অথবা ক্যামেরা এসব
কোনও ইন্ডিয়ান ব্র্যাণ্ড বিশ্বের প্রথম সারিতে নেই। ভারতের একমাত্র সম্মানীয় ব্র্যাণ্ড হল এডুকেশন ও মেধা। সেই ব্র্যাণ্ডটারই লোকসান হয়ে যাবে এভাবে উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেছে বেছে মধ্যমেধায় পরিণত করা হলে।
ছাত্রসমাজ ভবিষ্যৎ দেশনির্মাতা। তাঁদের মেরুদণ্ড যদি দুর্বল করা যায়, তাঁদের চিন্তনের চালিকাশক্তি যদি নিম্নমেধাসম্পন্ন করে দেওয়া যায়, তা হলে কার লাভ? রাজনীতি ও রাষ্ট্রশক্তির। কার ক্ষতি? দেশের।
10th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন?
বিশদ

09th  January, 2020
একনজরে
 আমেদাবাদ, ১৭ জানুয়ারি (পিটিআই): সমস্ত বিদেশি কোম্পানিকে আইন মেনে ভারতে বিনিয়োগ করতে হবে। আমাজনের লগ্নি নিয়ে মন্তব্যের পর শুক্রবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এখন সরগরম গোটা রাজ্য। ডান-বাম উভয়েই আন্দোলনে শামিল হয়েছে। আর এই আবহে কলেজে কলেজে ছাত্রভোটের সম্ভাবনা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যেও এই ভোট না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ...

ডার্বির ইতিহাসে প্রথম পাঁচ গোলদাতার মধ্যে একমাত্র বাঙালি তিনি। আট ও নয়ের দশকে তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হত সমর্থকদের স্বপ্ন। দুই প্রান্ত থেকে ভেসে আসা বল ...

বিএনএ, আরামবাগ: পথ দুর্ঘটনায় আরামবাগে মৃত দুঃস্থ যুবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে আর্থিক সাহায্যের জন্য পথে নামলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের স্থানীয় যুবকরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে শহরে সম্প্রীতির এমন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু
১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম
১৯৯৬: রাজনীতিক ও অভিনেতা এন টি রামারাওয়ের মৃত্যু
২০০৩: কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যু
২০১৮ – বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট চন্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৭ টাকা ৭১.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৯১.২২ টাকা ৯৪.৫১ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৫৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৪৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৩৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৮,৯৪৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, নবমী ৫৪/৫ দিবা ৪/১। স্বাতী ৪৪/৪১ রাত্রি ১২/১৬। সূ উ ৬/২৩/৪, অ ৫/১০/৩৪, অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/১২ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
৩ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, অষ্টমী ৬/৩২/৩৮ দিবা ৯/২/৫৩। স্বাতী ৫২/৪১/৩১ রাত্রি ৩/৩০/২৬। সূ উ ৬/২৫/৫০, অ ৫/৯/৩২, অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৭ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১৬ গতে ২/০ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬/১৯ মধ্যে ও ৩/৪৯/৪ গতে ৫/৯/৩২ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৯/৪ মধ্যে ও ৪/৪৬/১৮ গতে ৬/২৫/৫৫ মধ্যে। 
২২ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। বৃষ: বুঝেশুনে পদক্ষেপ করলে ভালো হবে। মিথুন: উপার্জন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম১৯৯৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ট্যাংরায় গাড়ি পার্কিং এলাকায় ভেঙে পড়ল গেট, কিশোরীর মৃত্যু
ট্যাংরার ডি সি দে রোডের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় গেট ...বিশদ

06:16:44 PM

মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনা, গুরুতর জখম অভিনেত্রী শাবানা আজমি
মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। ...বিশদ

05:25:00 PM

  কৃষি দপ্তরের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পঞ্চায়েত সহ সভাপতির বিরুদ্ধে
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কৃষি দপ্তরে কর্তব্যরত এক কর্মীকে মারধর করার ...বিশদ

03:39:00 PM

আলিপুরদুয়ারে গুপ্তধনের সন্ধান
গুপ্তধনের সন্ধান মিলল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার আলিনগরে। আজ শনিবার ১০০ দিনের ...বিশদ

03:28:46 PM