বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
তাঁকে চর্ম্মচক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন তবে দেখা যায়। অর্জ্জুনকে বিশ্বরূপ দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্য চক্ষু দিয়েছিলেন। সাধনা করতে করতে একটী প্রেমের শরীর হয়, তার প্রেমের চক্ষু, প্রেমের কর্ণ, সেই চক্ষে তাঁকে দেখে। সেই কর্ণে তাঁর বাণী শোনা যায়।
ভক্ত তিন শ্রেণীর — উত্তম, মধ্যম, অধম। উত্তম ভক্ত বলে, “যা কিছু দেখছি, সবই তাঁর এক একটী রূপ। তিনিই এই সব হয়েছেন।” মধ্যম ভক্ত বলে, “তিনি হৃদয় মধ্যে অন্তর্য্যামীরূপে আছেন।” অধম ভক্ত বলে, ‘ঐ ঈশ্বর’ অর্থাৎ আকাশের দিকে সে দেখিয়ে দেয়। তাঁকে কিন্তু দর্শন করলে সব সংশয় চলে যায়। আর এক রকম ভক্ত আছে। কপট ভক্ত।
ঠিক ভক্তের লক্ষণ আছে। গুরু উপদেশ শুনে স্থির হয়ে থাকে। জাত সাপ যখন বেহুলার গান হয় তখন স্থির হয়ে শুনে; কিন্তু কেউটে নয়।
ভগবানের পাদপদ্মে ভক্তি হলেই বিষয় কর্ম্ম আপনা আপনি ত্যাগ হয়ে যায়। তার আর বিষয় কর্ম্ম ভাল লাগে না। যেমন ওলা মিছরির পানা খেলে চিটেগুড়ের পানা আর কেউ খেতে চায় না। যার ভগবানে ভক্তিলাভ হয়েছে, তার কিরূপ ভাব হয় জান? আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী, আমি ঘর, তুমি ঘরণী; আমি রথ, তুমি রথী; যেমন বলাও তেমনি বলি, যেমন করাও তেমনি করি, যেমন চালাও তেমনি চলি। ঈশ্বরে ষোল আনা মন গেলে, ‘অমুক দিন সংক্রান্তি, ভাল করে হরিনাম করবো’ এ সব আর ঠিক থাকে না। রাম হনুমানকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সীতাকে কিরূপ দেখে এলে বল।’ হনুমান বল্লে, ‘রাম! সীতার শুধু শরীর পড়ে আছে দেখলাম। তার ভিতর মন প্রাণ নেই। সীতার মন প্রাণ যে তোমার পাদপদ্মে সমর্পণ করেছেন। তাই শুধু শরীর পড়ে আছে। আর কাল (যম) আনাগোনা করছে।