পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
পরোপকার, দান, সর্ব্বদা হাস্যযুক্ত কথোপকথন, বিনয়, ন্যূনতাভাব স্বীকার এবং সমবুদ্ধি, অনসূয়া, অল্পেতে সন্তুষ্ট হওয়া, ইন্দ্রিয়সমূহের সংযম, আসক্তিরাহিত্য, মৌনাবলম্বন, দেবপূজাতে বুদ্ধি, কোথা হইতে ভয় না থাকা, গাম্ভীর্য্য পালন, চিত্তের স্থিরতা, সর্ব্বত্র রুক্ষভাব বর্জ্জিত হওয়া, স্পৃহাশূন্য হওয়া, দৃঢ়বুদ্ধি, অকার্য্যসমূহের ত্যাগ, পূজা এবং অপমানে তুল্যভাব, পরগুণের প্রশংসা, চৌর্য্য না করা, ব্রহ্মচর্য্য, ধৈর্য্য, ক্ষমা, আতিথ্য, জপ, হোম, তীর্থসেবা, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণের সেবা, মাৎসর্য্যহীন, বন্ধন এবং মুক্তির জ্ঞান, সন্ন্যাস-ভাবনা, অত্যন্ত দুঃখেতে সহিষ্ণুতা, কার্পণ্যরাহিত্য, মূর্খ না হওয়া, হে ব্রাহ্মণ! এই সমস্ত গুণ শান্তিস্বরূপ বলিয়া কথিত হইয়া থাকে। অহিংসা, আসন জয়, পরকে কষ্ট দেওয়া হইতে নিবৃত্ত হওয়া, শাস্ত্র-গুরুবাক্যে শ্রদ্ধা, অতিথিসেবা, শান্তভাব দেখান, সর্ব্বত্র আত্মীয়তা, পরের প্রতি আত্মবুদ্ধি স্থাপন; হে মহামুনে! এই প্রকার নানাবিধ অহিংসার কথা শাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে।
বাহিরের সমস্ত কাজের জন্য যে প্রচেষ্টা মানব করিয়া থাকে, প্রজা বৃদ্ধির জন্য প্রথমত: সেই চেষ্টাই করা কর্ত্তব্য।
আত্মতত্ত্ব-বিষয়ে একান্ত অভিজ্ঞ এই আত্মা অত্যন্ত সুলভ এবং অতি সহজেই সকলেরই শরীরের পদ্মরূপ কুহরে ষট্পদস্বরূপে অবস্থিত ইঁহাকে জানা যায়। একাগ্র মনে যে আমাকে সর্ব্বদা স্মরণ করে, সেই নিত্যযুক্ত যোগীর নিকটে আমি সুলভ হইয়া থাকি। নিত্য অভ্যাসপরায়ণ সাধকের সেই সূক্ষ্ম বলিয়া নির্দ্দেশ করিবার অযোগ্য সেই সনাতন পরব্রহ্ম আপনা হইতেই জ্ঞাত হইয়া থাকেন। ভজনকারীগণের অন্তরে অবস্থিত সেই অনন্যদ্রষ্টা পরমপুরুষ নিজেই ভজনকারীগণের পরম স্বর্গতি বিধান করিয়া থাকেন। যেখানে যেখানে মন যায়, সেখানে সেখানেই সর্ব্বত্র অবস্থিত পরব্রহ্ম অবস্থান করিয়া থাকেন। যেমন ঘৃত গোসমূহের শরীরে থাকিয়াও তাহাদের বল বৃদ্ধি করে না, কিন্তু শরীর হইতে কর্ম্মপ্রচেষ্টার দ্বারা নির্গত সেই ঘৃত তাহাদের প্রদত্ত হইলে মহাবল হইয়া থাকে, আর যেমন সর্ব্বগত বিষ্ণু শরীরের মধ্যে থাকিয়াও মনুষ্যগণের আরাধনা ব্যতিরেকে কোন হিত করেন না, সেইরকম অভ্যাস বা প্রচেষ্টার দ্বারাই জ্ঞান লাভ হইয়া থাকে।
যোগেতে আরোহণ করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণের জন্য কর্ম্ম ও জ্ঞান উক্ত হইয়াছে এবং যোগারূঢ় ব্যক্তিগণের পক্ষে জ্ঞান ও ত্যাগই শ্রেষ্ঠ বলিয়া কথিত হইয়াছে। পণ্ডিতগণ কাম, ক্রোধ, লোভ, ভয়, স্বপ্ন—এই যে পাঁচটি যোগের দোষের কথা বলিয়াছেন, ইহাদের উচ্ছেদ করিয়া যোগে প্রবর্ত্তিত হইতে হয়। শম গুণের দ্বারা ক্রোধকে, সঙ্কল্পত্যাগের দ্বারা কামকে, সত্ত্বগুণ সেবনের দ্বারা নিদ্রার উচ্ছেদ, ধৈর্য্য গুণের দ্বারা শিশ্ন এবং উদরকে, চক্ষুর দ্বারা হস্ত এবং পদকে, মনের দ্বারা চক্ষু এবং কর্ণকে, কর্ম্মের দ্বারা মন এবং বাক্যকে, অপ্রমাদের দ্বারা ভয়কে এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তির সেবার দ্বারা দম্ভকে জয় করিবে। পূর্ব্বোক্তপ্রকারে যোগী নিত্যই আলস্যহীন হইয়া যগের দোষসমূহকে জয় করিবেন।
অগ্নি, দেবতা এবং ব্রাহ্মণগণকে সর্ব্বদা প্রণাম করিবে, রুক্ষ বাক্য, হিংসাযুক্ত বাক্য এবং কাহারও মনরক্ষা করা কথা পরিত্যাগ করিবে।