বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
জীবন দুঃখে দুঃখী পিতা দয়াময় শিবম সর্বকর্ম ত্যাজি প্রথমেই ভগবান যমের নিকট করিলেন গমন। কহিলেন, “দাও দাও ধর্মরাজ। জীব ক্ষেত্র কর্ষণের লাগি তোমার বাহন মহিষেরে।” ইহা শুনি ভগবান যম উৎফুল্ল চিত্তে শিব হস্তে মহিষেরে করিলেন অর্পণ। মহিষ নিয়ে মহেশ চললেন সংকর্ষণ বাসুদেবের কাছে। তাঁরে দেখি সংকর্ষণ বাসুদেব শুধালেন মধুর বচনে, ‘কোন্ দ্রব্য দিব প্রভু বলো গো তোমারে! শুনেছি সকল বারতা তোমারই শক্তির কাছে। ওহে আত্মার আত্মা, তুমি তো হও সর্ব মঙ্গলময়। অমঙ্গলের বারতা শুনি, আজি দেব হয়েছ চঞ্চল।’ কহেন মহেশ, “দাও দেব ত্বরা করি তোমার ঐ কর্ষণ শক্তি (হল)।” সঙ্কর্ষণ বাসুদেব বলরাম অর্পণ করলেন ‘হল’ মহেশের হস্তে। মহিষ ও হল নিয়ে মহেশ্বর চললেন বিবেক আত্মা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট। বিবেক আত্মা মহেশ্বরে দেখে হলেন চঞ্চল। কহেন, “ওগো দেব, একি তব বেশ? সর্বকর্ম ত্যাজি জীব দ্বারে দ্বারে ভ্রমণ করছো ঈশ। ধন্য তুমি, ধন্য তোমার নিষ্কাম কর্ম। ধন্য হে রাজন, তব দীন ভিখারী বেশ। হে দেবাদিদেব, তোমার কর্ম দেখি বিস্মৃত, মুহ্যমান আমি। কহ কহ দেব, কি দিলে হবে জীব মুক্ত, তাই দিব গো তোমারে।” ইহা শুনি পরমাত্মা কহেন পরব্রহ্ম শ্রীকৃষ্ণে—“ধন্য তুমি বিবেকাত্মা সর্বজীবের চৈতন্যস্বরূপ, ধন্য তোমার লীলা। তোমারই সাধনে হয়েছি আমি সর্বত্যাগী ত্যাগীশ্বর। তোমারই ধ্যানে মগ্ন থেকে পঞ্চমুখে গাহি অহর্নিশি রামনাম গান। হে চতুর চূড়ামণি কি দিবে আমারে, ইহাও কহিতে হবে তোমার সকাশে? দাও দেব, দাও তোমার বিবেক মুরলী। উহা দিয়ে আনিব জীবের চেতন। পরম করুণাময় কারুণিক তুমি। তোমার করুণায় জীবের মোহ হবে নাশ, জীব হবে মুক্ত।” এরপর স্মরণে এলো সর্বসিদ্ধিদাতা শ্রীগণেশেরে। মহেশ্বর হাজির হলেন গণেশ সমীপে। মহেশেরে দেখি কহেন সিদ্ধিদাতা—“কহ কহ দেব, কি হেতু আগমন তব এ দীন সকাশে!