সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
‘প্রত্যায়ান্তি গতাঃ পুনর্ন দিবসাঃ…’
যে দিন চলে যায় সেই দিন আর ফিরে আসে না। আমাদের সামনে যে দিনগুলি রয়েছে, একটি আদর্শ সামনে রেখে, আজ থেকে শুরু করে সেই দিনগুলি আমরা এখনও কাজে লাগাতে পারি। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন—‘আমি ছাঁচ তৈরি করে গেলুম, তোমরা সেই ছাঁচে নিজেদের ঢেলে নাও।’ সকলের পক্ষে উপযোগী বহু বিচিত্র এই ছাঁচ। গৃহস্থ হোক, সন্ন্যাসী হোক, যুবা হোক, বৃদ্ধ হোক, যে কোন ধর্মাবলম্বী হোক না কেন, প্রত্যেকের পক্ষেই এই ছাঁচ উপযোগী। আমাদের জন্য নয়, ভাবতে হবে শুধু আমার জন্যই তিনি ছাঁচ তৈরি করে গেছেন, সেই ছাঁচে নিজেকে ঢালতে হবে। শ্রীরামকৃষ্ণ শুধু কতকগুলি কথা মুখস্থ করতে আমাদের বলেননি। তাঁর উপদেশ থেকে কতটুকু আমরা গ্রহণ করতে পারি, তা খুঁজে বের করে জীবনে তা প্রয়োগ করার মধ্যেওই রয়েছে যথার্থ সার্থকতা। তাঁর উপদেশ থেকে সবটুকু নেবার ক্ষমতা আমাদের নেই। শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনাদর্শ থেকে যতটুকু আমরা নিতে পারি তাতেই আমাদের আধারকে আমরা ইচ্ছেমত ভরে নিতে পারব। শ্রীরামকৃষ্ণ হলেন একটি অক্ষয় ভাণ্ডার। আমাদের জীবনে তা কতটুকু প্রয়োগ করতে পারি তা বিশেষভাবে দেখতে হবে। একজায়গায় স্বামীজী তাঁর গুরুভাইদের বলছেন, ‘তোরা কি ভেবেছিস প্রত্যেকে এক একজন রামকৃষ্ণ হবি? সাত মণ তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না।’ স্বামীজী তাঁর গুরুভাইদের তাঁদের নিজেদের মতো করে শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শ গ্রহণ করে জীবনে তা প্রয়োগ করতে বলেছেন। ঠাকুর বলেছেন, ‘অপরকে মারবার জন্য ঢাল-তলোয়ার লাগে, কিন্তু নিজের জন্য একটি নরুনই যথেষ্ট।’ আবার বলছেন, ‘যে সত্যবাদী সে ভগবানের গায়ে ঠেস দিয়ে বসে।’ এমন কত কথা ঠাকুরের। এই সবগুলি কথার মধ্য থেকে যে কোন একটিকে আদর্শরূপে মেনে চললেই যথেষ্ট। স্থূলদেহে থাকার সময়ই অনেকে শ্রীরামকৃষ্ণকে অবতার বলেছেন।