কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এ সব যা শুনছিস, এগুলো realise (উপলব্ধি) কর। যার যেটা নিজের ভাব তাই নিয়ে প্রথমে আরম্ভ করতে হয়, পরে ভাব পাকা হয়ে গেলে সব ভাবে তাঁকে নিয়ে আনন্দ করা চলে। Emotional (ভাবপ্রবণ) হতে নেই, feeling (ভাব) চেপে রাখতে হয়। জপের সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি চিন্তা করতে হয়, নইলে জপ ভাল হয় না। পূর্ণ মূর্তির ধ্যান না হলেও যেটুকু সামনে আসে তাই নিয়ে ধ্যান আরম্ভ করবি। প্রথমে পাদপদ্ম থেকে আরম্ভ করবি। না পারলেও struggle (বারবার চেষ্টা) করবি। না এলে ছাড়বি কেন? করতেই হবে। ধ্যান কি সহজে হয়? করতে করতেই হবে। ধ্যানের next stepই (পরের অবস্থা) সমাধি। নির্ভর প্রভৃতি যা কিছু সবই সাধনের দ্বারা ভিতর থেকে বেরুবে। তাঁকে সব ছেড়ে দে, সম্পূর্ণ শরণাগত হ।
প্রশ্ন—মহারাজ, কেউ হৃদয়ে, কেউ মস্তকে ধ্যান করবার চেষ্টা করে। আমি কিন্তু বাইরে যেরূপ দেখি, এই যেমন আপনাকে দেখছি, সেই ভাবে ধ্যান করবার চেষ্টা করি। কোন্ ভাবে ধ্যান করা উচিত?
মহারাজ—দেখ, ও সব উপাসক-ভেদে ভিন্ন ভিন্ন রকমের আছে। সাধারণতঃ হৃদয়ে ধ্যান করাই ভাল। দেহটা যেন মন্দির, ঠাকুর তাতে প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। ধ্যান করতে করতে মন যখন স্থির হবে তখন
যেখানে ইচ্ছা ইষ্টদর্শন হবে। পার্শ্বে, হৃদয়ে, পশ্চাতে, বাহিরে সবখানেই ধ্যান করা যায়। ধ্যান করতে করতে প্রথমে জ্যোতির্দশন হয়, কিন্তু ঐরুপ জ্যোতিদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে বা একটু পরেই একটা আনন্দ আসে, তা ছেড়ে মন এগুতে চায় না। তারপর জ্যোতির্ঘন-দর্শন, তখন মন তাতে তন্ময় হয়ে যায়। কখনো কখনো বা দীর্ঘ প্রণবধ্বনি শুনতে শুনতেও মন তন্ময় হয়। দর্শন অনুভূতির রাজ্যে কি ইতি আছে? যত এগোও অনন্ত! অনন্ত! অনেকে একটু জ্যোতিঃ-টোতি দেখে মনে ভাবে এই শেষ—তা নয়। যেখানে গিয়ে মনের বিকল্প শেষ হয়, কেউ কেউ বলেন ঐখানেই শেষ, আবার কেউ কেউ বলেন ঐখানেই আরম্ভ।