ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
রাঢ়দেশে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ বাস করতো। ব্রাহ্মণ দস্যুবৃত্তি করে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করে। বনের ভিতর দিয়ে চলাচলের রাস্তা। ব্রাহ্মণ বনে লুকিয়ে বসে থাকে, সুযোগ মত পথিক পেলেই ছলে বলে কৌশলে তাদের ধন হরণ করে, টাকা পয়সা সোনা দানা এমনকি চাল ডাল যা পায় লুঠ করে নিয়ে আসে। দেশের লোক বনের পথে চলাচল করতেই ভয় পেতে লাগলো। রাজা শুনলেন দস্যু ব্রাহ্মণের কথা। শুনে ক্রোধে পেয়াদা দিয়ে ব্রাহ্মণের ডাকাতি করা ধন সব কেড়ে নিয়ে এলেন। আরো তিনি গ্রামে চারজন সেপাই নিযুক্ত করে দিলেন, তারা সর্বদা ব্রাহ্মণের গতিবিধির প্রতি নজর রাখতে লাগলো। ডাকাতি করতে বনে না যেতে পেরে ব্রাহ্মণ ভিক্ষার জন্য গৃহস্থের দ্বারে যায়, কিন্তু দস্যু বলে কেউ তাকে ভিক্ষা দেয় না, দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। ব্রাহ্মণের ঘরে অন্ন নেই, শেষে এমন অবস্থা হল যে, অন্ন বিনা ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী উভয়েই জীর্ণ শীর্ণ দুর্বল হয়ে পড়লো। অন্ন কষ্টে ব্রাহ্মণী একদিন কেঁদে ব্রাহ্মণকে বলেন, ক্ষিদের জ্বালায় মনে হয় গলায় ফাঁসি নিয়ে মরি। ব্রাহ্মণ একথা শুনে বলে, তুমি একটু অপেক্ষা কর, আজ আমি ভিক্ষায় যাই, যদি ভিক্ষা না পাই তবে আমি আগে প্রাণ ত্যাগ করবো, আমার মৃত্যু সংবাদ শুনে তুমি প্রাণ ত্যাগ করো। এই কথা বলে দস্যু ব্রাহ্মণ বনে গিয়ে ফাঁসি নিয়ে ঝুলতে লাগলো। রাজার সেপাই দেখতে পেয়ে ব্রাহ্মণকে ফিরিয়ে এনে ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী দু’জনকেই রাজদরবারে হাজির করলো।