Bartaman Patrika
সম্পাদকীয়
 

ইতিহাস সাক্ষী

‘জীবনে যারে তুমি দাওনি মালা, মরণে কেন তারে দিতে এলে ফুল।’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আবেগমথিত শোকজ্ঞাপন দেখে যদি এই জনপ্রিয় বাংলা গানটির প্রথম দু’কলি মনে পড়ে যায় তা কি খুব দোষের হবে? যে কোনও মৃত্যুতেই শোকপ্রকাশ এক চিরায়ত শিষ্টাচার। মৃত্যু শত্রুতার দেওয়াল ভাঙে, এ কথাও অজানা নয়। সেই হিসেবে নরেন্দ্র মোদি যা বলেছেন, তা হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাঁর ব্যক্তিত্ব, কাজকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, কটাক্ষ আর সমালোচনায় অহরহ বিদ্ধ করেছেন, যাঁর সাড়া জাগানো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে বাতিল অথবা সংশোধন করে ইতিহাসের পাতা থেকে ‘মনমোহন-জমানা’ মুছে দিতে সর্বদা সচেষ্ট থেকেছেন সেই উত্তরসূরি মোদির আজকের মূল্যায়নকে ‘মেকি’ মনে হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক? কারণ একজন যোগ্যকে প্রকৃত সম্মান দেখাতে হলে তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি যা করেছেন এবং করে চলেছেন তার বিচার করবে ইতিহাস। প্রয়াত মনমোহন সিং কোনও পেশাদার রাজনীতিবিদ ছিলেন না। কিন্তু অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় পাণ্ডিত্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি যেভাবে প্রথমে অর্থমন্ত্রী, পরে প্রধানমন্ত্রী পদের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়েছেন, তাকে কুর্নিশ করতে ভুলছে না গোটা বিশ্ব। ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতা এসেছে ১৯৪৭ সালে। আর অনেকের মতে, ১৯৯১ সালে মনমোহনের হাত ধরে এসেছে দেশের আর্থিক স্বাধীনতা। নেহরু-ইন্দিরা জমানার কিছু পুরনো ধ্যানধারণা বদলে আর্থিক সংস্কারের যে পথ দেখিয়েছিলেন তিনি, তাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদিও। অথচ এই মৃদুভাষী, সজ্জন, পণ্ডিত ও দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মানুষটিকে শুনতে হয়েছে ‘গান্ধী পরিবারের রাবার স্ট্যাম্প’, ‘মৌনী বাবা’র কটাক্ষ! মোদিবাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ‘নীতিপঙ্গুত্বের’ অভিযোগও তুলেছে বারবার। আর স্বয়ং মোদি! ইউপিএ-২ আমলে দুর্নীতির অভিযোগের কথা বলতে গিয়ে লোকসভায় দাঁড়িয়ে মোদি বলেছিলেন, ‘রেনকোট পরে বাথরুমে কীভাবে স্নান করতে হয়, সেটা ডক্টর সিংয়ের কাছে শেখার’। সেই তিনিই এখন প্রয়াত মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের বিকাশ ও প্রগতিতে তাঁর অবদান চিরকালীন। আম জনতা ও দেশের বিকাশে তাঁর আত্মত্যাগ প্রেরণার যোগ্য।’ এটা বোধোদয় নাকি দ্বিচারিতা! 
প্রাক্তনের মৃত্যু দেশের ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করে তাঁর অবদান অনুকরণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান। অথচ দশ বছরের শাসনকালে তিনি নিজেই মনমোহনের উল্টোপথে হেঁটেছেন! প্রাক্তনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ছিল, ১০০ দিন নিশ্চিত কাজের প্রকল্প (মনরেগা)। বর্তমান সেই প্রকল্পের বাজেট নির্মমভাবে ছাঁটাই করেছেন। এখন আর কেউ গড়ে ৫০ দিনের বেশি কাজ পায় না। কাজ করেও ঠিকমতো মজুরি পায় না। নিজের সরকারের ‘স্বচ্ছতা’র স্বাক্ষর রাখতে তথ্য জানার অধিকার আইন চালু করা মনমোহনের আর এক যুগান্তকারী অবদান। মোদি জমানায় সেই আইন সংশোধন করে শর্ত চাপানো হয়েছে। একইভাবে ইউপিএ আমলে চালু হওয়া জমি অধিগ্রহণ আইন, অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা আইন, শিক্ষার অধিকার আইন, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, মজুরি আইন সংশোধন করে দিয়েছে মোদি সরকার। আর অর্থনীতি? মনমোহনের জমানায় জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬-৭ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। আর এখন মোদি জমানায় তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৫.৪ শতাংশে। এই জমানায় মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অন্যদিকে, আদিবাসীদের অধিকার দিতে মনমোহন সরকার যে বনাঞ্চল আইন তৈরি করেছিল, মোদি জমানায় তা সংশোধন করে শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। আবার কোভিডকালে মানুষের হাতে নগদ টাকার জোগানের বিষয়ে মনমোহনের দেওয়া সদুপদেশও মানেনি মোদি সরকার। যে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় এসেছেন মোদি, তার প্রায় কোনওটাই এখনও প্রমাণিত নয়। দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে প্রাক্তনের দৃঢ় অবস্থান গোটা বিশ্বের সমীহ আদায় করেছিল। আর এখন? ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দবন্ধটি সংবিধান থেকে বাদ দিতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এখন দেশে উগ্র-হিন্দুত্ববাদীদের ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা’ ও সংখ্যালঘু বিদ্বেষের প্রচার দিকে দিকে ধিকৃত হচ্ছে। ‘নির্বিকার’ মোদি অবশ্য গোটা বিশ্বের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এখন প্রাক্তনের জয়গানই করে গেলেন! 
কিন্তু মৃত্যুতেও কি মনমোহনকে যথাযোগ্য সম্মান দিল মোদি সরকার? এদেশের ঐতিহ্য ও চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় রাজঘাটে। সাধারণত সেখানেই গড়ে ওঠে রাষ্ট্রনায়কদের নামে স্মৃতিসৌধ। অথচ সেই ঐতিহ্য ও রীতিকে উপেক্ষা করে খোদ মোদি সরকারের নির্দেশে ও তত্ত্বাবধানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল লালকেল্লার পিছনে নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে। এ নিয়ে মনমোহনের পরিবার ও তাঁর দল আপত্তি তুললেও কর্ণপাত করেনি মোদির সরকার। ক্ষতে প্রলেপ দিতে দিল্লিতেই মনমোহনের নামে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরির সরকারি ঘোষণা হলেও সেটা কবে, কোথায় হবে— তা পরিষ্কার নয়। ফলে বিদায়বেলাতেও সৌজন্যের জায়গা নিল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ইতিমধ্যে ভারতের সুসন্তান মনমোহনকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার দাবি উঠেছে। মোদির সরকার সেটা মানবে কি না, সেটাই দেখার।
29th  December, 2024
‘মৃত্যু’ ব্যবসায়ী

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ‘ভেজাল’ শিরোনামের কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভেজাল, ভেজাল ভেজাল রে ভাই, ভেজাল সারা দেশটায়/ ভেজাল ছাড়া খাঁটি জিনিস মিলবে নাকো চেষ্টায়!’ কবিতাটির শেষদিকে কবি তাঁর এই উপলব্ধির কথাও জানিয়েছেন যে, ‘খাঁটি জিনিস’-এর প্রত্যাশা বৃথাই। বিশদ

এগিয়ে বাংলার মেয়ে

তাঁদের শারীরিক ও মানসিক সীমাবদ্ধতার দোহাই পেড়ে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মেয়েদের কাজ-কর্তব্যের সামনে একটি গণ্ডি এঁকে দেওয়া হয়। তার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে ভারত। অথচ এই ভারতেই দেবী দুর্গাকে দশপ্রহরণধারিণী ও মহিষাসুরমর্দিনী সাজিয়ে আরাধনা করা হয়, বঙ্গদেশের সর্ববৃহৎ উৎসব পালিত হয় তাঁকেই ঘিরে। বিশদ

01st  January, 2025
নিছকই ঢক্কানিনাদ!

ধাপ্পা এক: ‘ক’-বাবুর পরিবারে চারজন লোক। মাসিক আয় এক লক্ষ টাকা। অর্থাৎ মাথাপিছু আয় ২৫ হাজার টাকা। ‘খ’-বাবুর দু’জনের পরিবারের আয় মাসে ৭০ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাথাপিছু আয় ৩৫ হাজার টাকা। মোট টাকার অঙ্কে ‘ক’-বাবুর পরিবারের আয় ‘খ’ বাবুর পরিবারের থেকে বেশি। বিশদ

31st  December, 2024
মমতার বিকল্প শিল্পভাবনা

মানুষ একটা মুখের সঙ্গে দুটো হাতও নিয়ে জন্মায়। হাত দুটো কাজ এবং উপার্জন করার জন্য। হাতে কাজ করলেই নিজের মুখের গ্রাস জোগাড় করতে পারে মানুষ। এরপর উদ্বৃত্ত অর্থ-সম্পদ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে। উদ্বৃত্তের কিছুটা বণ্টনও করে দিতে পারে দুর্বল মানুষের মধ্যে।
বিশদ

30th  December, 2024
যোগসাজশ!

এ যেন টাট্টু ঘোড়া! নির্বাচনী বন্ড হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি, গত ফেব্রুয়ারি মাসে একথা বলেছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরকলা প্রভাকর (অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী)। পর্দা ফাঁসের সময় দেখা যায়, মোট অনুদানের প্রায় অর্ধেক অর্থ একাই পেয়ে বসে আছে নরেন্দ্র মোদির দল। বিশদ

28th  December, 2024
ক্ষুধার্তের সামনে খাদ্য নষ্ট!

শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপুষ্টির হার যেসব দেশে তাদেরই অন্যতম ভারত। অপুষ্টির শিকার সর্বাধিক সংখ্যক শিশু রয়েছে ভারতেই। ৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ১৭ শতাংশের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ৩৬ শতাংশের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয়নি। বিশদ

27th  December, 2024
আতঙ্কের নাম জিএসটি

পেট্রলিয়াম পণ্য, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং বিদ্যুতের উপর জিএসটি চাপানো হয়নি। এই পণ্যগুলিকে জিএসটির আওতাবহির্ভূত রাখা হয়েছে। এগুলির ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায় করা হয় পৃথকভাবে এবং পূর্ববর্তী কর ব্যবস্থা অনুসারে। এই কর সংগ্রহ করে রাজ্য সরকারগুলি।
বিশদ

26th  December, 2024
দুর্বল ফন্দি

ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম নিঃসন্দেহে বেকারত্ব। রাজ্য রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উত্তরণের জন্য এই সমস্যাকেই হাতিয়ার করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। মনমোহন সিংয়ের দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারকে গদিচ্যুত করতে গেরুয়া শিবিরের মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদিকে। বিশদ

25th  December, 2024
আগুনে ঘি

গোপনে নজরদারি চালাতে ১,৪০০ হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে আড়িপাতার জন্য ইজরায়েলের সংস্থা এনএসও-র পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ভারতের ৩০০টি নম্বর রয়েছে। মার্কিন আদালতের এই রায় ঘোষণার পরেই ফের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পুরনো ঘা খুঁচিয়ে তুলেছে বিরোধীরা। বিশদ

24th  December, 2024
গ্রামোন্নয়নে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ

মহাত্মা গান্ধীকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, স্বাধীন ভারত ব্রিটেনের মতো জীবনযাত্রার মান অর্জন করবে বলে কি আপনি বিশ্বাস করেন? গান্ধীজি উত্তর দিয়েছিলেন, এই সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য এই গ্রহের অর্ধেক সম্পদ লেগেছে একা ব্রিটেনের।
বিশদ

23rd  December, 2024
ভারসাম্যের খেলা

এই প্রথম নয়, লোকসভা ভোটে বিজেপি ২৪০ আসনে আটকে যাওয়ার পর প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন তিনি। ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদিকে ‘ভগবান’ হিসেবে তুলে ধরা যে ভালোভাবে নেয়নি সঙ্ঘ পরিবার, সেই বার্তা শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। এর পরেও দেখা গিয়েছে, সঙ্ঘের মুখপত্রে শাসকদল ও সরকারের কৌশল নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলতে।
বিশদ

22nd  December, 2024
অপ্রত্যাশিত

স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সংসদে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, তুমুল হই-হট্টগোল নতুন কিছু নয়। গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে, প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে পড়া, স্লোগান, একে অপরের দিকে তেড়ে যাওয়ার ছবিও হামেশাই দেখা যায়। বিশদ

21st  December, 2024
ভর্ৎসনা ও ক্ষমা প্রার্থনা

তির ছুড়েছিলেন বিরোধীদের দিকে। লক্ষ্যভেদ তো হলই না, উল্টে তাতে বিদ্ধ হলেন ভারতের সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকর! কে এই ব্যর্থ ধনুর্ধর? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ং!
বিশদ

20th  December, 2024
প্রতিশ্রুতি রক্ষার সংস্কৃতি

নিজ গৃহ বা বাড়িকে ভারতের সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তবে প্রত্যেকের একটি বাড়ির অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে অন্যান্য মৌলিক অধিকার এবং নির্দেশমূলক নীতিগুলি রূপায়ণের মাধ্যমে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়েও উপযুক্ত বাসস্থানের অধিকার মেনে নেওয়া হয়েছে। বিশদ

19th  December, 2024
বৈষম্য বৃদ্ধির ব্যবস্থা

পয়লা জুলাই, ২০১৫। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ স্লোগান শুনিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ঘোষিত হয়েছিল ‘পাওয়ার টু এমপাওয়ার’। বলা হয়েছিল, ভারত সরকারের সমস্ত পরিষেবা ইলেকট্রনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজলভ্য হবে। তার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ এবং অনলাইন পরিকাঠামো বিস্তার লাভ করবে দেশজুড়ে।
বিশদ

18th  December, 2024
‘না খাউঙ্গা’র প্রহসন!

গত দশ বছর ধরে মূলত তিনটি ‘অস্ত্রকে’ সম্বল করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেই চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক, বংশানুক্রমিক শাসন। কীভাবে শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলে গান্ধী পরিবার বংশপরম্পরায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে, মোদির প্রতিদিনের সমালোচনা মূলত তা নিয়েই। বিশদ

17th  December, 2024
একনজরে
চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের শেষ তিন মাসে কোন রাজ্য বাজার থেকে কত টাকা ঋণ নিতে পারে, তার রুটিন প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে তারা জানাচ্ছে, আগামী মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। ...

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। গত শুনানিতে শেষ হয় ধৃত সঞ্জয় রায়কে জেরার পর্ব। আজ, বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তায় শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা কোর্টের এজলাসে শুরু হচ্ছে এই মামলার সওয়াল-জবাব। ...

বংশীহারির হরিপুর হাই মাদ্রাসার ৩.২০ শতক জমি অবৈধভাবে হস্তান্তরের অভিযোগ করল কর্তৃপক্ষ। সরকার পোষিত হাই মাদ্রাসার জমি অবৈধভাবে বিক্রি ও রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় হইচই জেলাজুড়ে। ...

জোরকদমে চলছে বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গণ সংস্কার। কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরেই এই স্টেডিয়ামে ফের বড় টুর্নামেন্ট পরিচালনা করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রশাসন। স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য মোট ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭ - ব্রিটিশদের কলকাতা দখল
১৮৩৯ - লুই দাগের প্রথম চাঁদের আলোকচিত্র তোলেন
১৮৫৬ - ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯০ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন সৈয়দ আমির আলী 
১৮৯২ - বিশিষ্ট ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী  নীলরতন ধরের জন্ম
১৮৯৬ - শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্রর জন্ম
১৮৯৮ - ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার তথা  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১২ - কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠিত হয়
১৯২০- কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক অ্যাসিমভের জন্ম
১৯৪৪- অভিনেতা শমিত ভঞ্জের জন্ম
১৯৫০- কলকাতায় চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর উদ্বোধন
১৯৫৪ - ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়
১৯৫৯- ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের জন্ম
১৯৬০- রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০ - ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার রমন লাম্বার জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৭ - চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসাবে শপথ নেন রোনাল্ড রেগান
১৯৭২ - বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগির গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত
১৯৭৬- সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি রোদ্রিগেসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৮০ টাকা ৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৬ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.০০ টাকা ৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৪৭/০, রাত্রি ১/৯। শ্রবণা নক্ষত্র ৪২/৫ রাত্রি ১১/১১। সূর্যোদয় ৬/২১/১১, সূর্যাস্ত ৫/০/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/২০ মধ্যে।
১৭ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ২/১৭। শ্রবণানক্ষত্র রাত্রি ১২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালবেলা ২/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৪২ গতে ১/২২ মধ্যে। 
১ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাটনায় মহিলা চরকা সমিতিতে এলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান

10:08:00 PM

আজমীর শরিফ দরগার জন্য চাদর পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:03:00 PM

মহাকুম্ভ মেলা: সেলফি পয়েন্টে ছবি তোলার জন্য ব্যাপক ভিড়

09:56:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:26:00 PM

সিডনি টেস্টে নেই রোহিত শর্মা !
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে দলে থাকছেন না রোহিত ...বিশদ

09:20:26 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-হায়দরাবাদ ০ (৫২ মিনিট)

08:40:00 PM