প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
বাস্তবে এই দাবি কতটা ঠিক? এই প্রশ্নই আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। রাশিয়া অবশ্য আগেই এ ব্যাপারে আমেরিকাকে খানিকটা খোঁচা দিয়ে রেখেছে। তাতে কূটনৈতিক তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। এবং এই সংক্রান্ত বিষয় যদি আরও পরিধি বিস্তার করে, তার প্রভাব বিশ্বজুড়ে পড়তে বাধ্য। কারণ, আমেরিকা এবং চীন, এই দুই দেশ এই মুহূর্তে বিশ্বের অর্থনীতির সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই করোনা ভাইরাস নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জি জিনপিংয়ের নতুন করে ঠান্ডা লড়াই শুরু হোক, তা কোনও দেশই চাইবে না। সে পথে হাঁটতে চাইবেন না ট্রাম্প নিজেও। কারণ, সামনে তাঁর অগ্নিপরীক্ষা। পুনর্নির্বাচিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ফের ক্ষমতা দখল করবেন কি না, তা নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। এমতাবস্থায় ভুল পদক্ষেপ কিছু তিনি ফেলতে চাইবেন না। আর বাকি রইল চীন। বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এমনিতেই তাদের পণ্য দুনিয়ার সব দেশে ব্রাত্য হয়েছে। তাতে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে চীনের অর্থনীতিতে। রপ্তানি বন্ধ। সস্তায় চীনা পণ্য বিভিন্ন দেশের বাজার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে রেখেছিল। ধাক্কা খেয়েছে তাও। ধসে পড়ছে শেয়ার বাজার।
কেউ কেউ দাবি করছেন, সমস্যার কেন্দ্র থেকে চোখ ঘোরানোর জন্যই চীন আচমকা এই দাবি তুলতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো মাত্র বেজিং প্রশাসন বিদেশ মন্ত্রকের ওই মুখপাত্র, অর্থাৎ ঝাও লিজিয়ানের থেকে দূরত্ব তৈরি করছে। প্রকাশ্যে দাবি করছে, এমন কোনও মন্তব্যে চীনা সরকার সিলমোহর দেয় না। তবে বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, ঝাও আসলে জেনেবুঝেই এই মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্য বা চাপানউতোর নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে আসল সমস্যা দূরে সরে যাবে। চীনও নিজেকে অনেকটাই গুছিয়ে নিতে পারবে। এমনিতেই নিন্দুকে বলছে, করোনা ভাইরাসে চীনে ঠিক কতজন মারা গিয়েছেন, তার সঠিক তথ্য জানা যাচ্ছে না। আমেরিকার সঙ্গে নারদ নারদের পারদ চড়লে এই প্রশ্ন ধীরে ধীরে পিছনের সারিতে চলে যাবে।
আসল তথ্য থেকে যাবে গোপনেই।