বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
কী সেই রিপোর্ট? সোমবার প্রকাশিত একটি সরকারি রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছে গিয়েছে ৭.৩৫ শতাংশে। খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ১৪ শতাংশের বেশি, যা সাম্প্রতিককালের মধ্যে রেকর্ড। এর মধ্যে আবার সব্জির মুদ্রাস্ফীতির হার ৬০ শতাংশেরও বেশি। কোর সেক্টরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.৭ শতাংশ এবং হাউজিং সেক্টরের ক্ষেত্রে ওই হার ৪.৫ শতাংশ। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭.৫ শতাংশ হারের মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল ২০১৪ সালের জুলাইতে। সেটাও ছিল মোদি জমানা। সমালোচনা তখনও কম হয়নি। আর এই সরকারের আমলে মূলবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ব্যর্থতা নিয়ে যিনি সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুদ্রাস্ফীতির বিপজ্জনক প্রবণতার প্রভাব বিভিন্ন রাজ্যের উপর যে পড়ছে তা বলাই বাহুল্য। কিছুটা হলেও আশার কথা যে মুদ্রাস্ফীতির হারে বিজেপি-শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটকের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অনেকাংশেই ভালো। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও বাংলা এগিয়ে।
গত তিনমাস ধরে দ্রব্যমূল্য যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে তাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষে রেপো রেট কমানোর সম্ভাবনাটি ধাক্কা খাবে। যদিও মূল্যবৃদ্ধির কারণেই ডিসেম্বরের রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়। কিন্তু, দেশের এখনকার পরিস্থিতিতে বাজারে টাকা আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, অর্থবর্ষের শেষ চারমাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশের ভিতরে রাখার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু আজকের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যপূরণ হয়তো হবেই না, বরং মুদ্রাস্ফীতির হার ৮ শতাংশ হওয়ার দিকে এগচ্ছে, যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এর মধ্যেই পেট্রপণ্যের দামও প্রায় রোজই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসঙ্কটের মোকাবিলায় কেন্দ্র কী উদ্যোগ নিচ্ছে তা আদৌ স্পষ্ট নয়। তারা আর্থিক মন্দার বিষয়টিও স্বীকার করতে নারাজ, কারণ ব্যর্থতাটাই সামনে এসে পড়বে। তবে সত্যিই কি দেশপ্রেমের জিগির তুলে বা নাগরিকত্ব নিয়ে হইচই ফেলে এই ব্যর্থতা আড়াল করা যাবে? সরকারি রিপোর্টই যে বিপদসঙ্কেত দিচ্ছে তা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিপাকে ফেলতে বাধ্য। আসল সত্য কিন্তু সামনে এসে গিয়েছে। কোনও দমন-পীড়নের নীতি নিয়ে বা কোনও ফ্যাসিস্ত কায়দায় দেশ ও দেশবাসীর আসল সমস্যাগুলিকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। তাই সঙ্কট মোকাবিলায় আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে। যে-কোনও দায়িত্বশীল সরকারের উচিত মূল সমস্যাকে আড়াল করা নয়, তা মোকাবিলার উপায় বের করা।