প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
শীত শেষে প্রতিবারই দর চড়ে যায় মুরগির। গত বছরও ২০০ টাকার আশপাশে ছিল খুচরো বাজারে মুরগির মাংসের দাম। কোথাও কোথাও আরও একটু চড়েছিল দর। কিন্তু হরিণঘাটা মিট সেই সময় দাম রেখেছিল কেজি প্রতি ১৪০ টাকা। খোলা বাজারে মুরগির মাংসের দর যেমনই থাক না কেন, সরকারি চিকেনের দরে কোনও নড়চড় হয়নি। এবার খোলাবাজারের ছবিটা একেবারে আলাদা। করোনা আতঙ্কের গোড়ার দিকে ১৭০ টাকা কেজির মুরগি ধীরে ধীরে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় নেমে এসেছিল। এরপর যত দিন গিয়েছে, হু হু করে নেমেছে দাম। কিন্তু হরিণঘাটা তাদের দর ১৪০ টাকার নীচে নামাতে রাজি হয়নি। কেন তাদের অনড় মনোভাব?
ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, আমরা দামের ব্যাপারে ক্রেতাদের আস্থাভাজন হতে চাই। পাশাপাশি এই বার্তা দিতে চাই, সব দিক থেকেই চিকেন খাওয়া নিরাপদ। বাজারে যখন ২৩০ টাকা দর উঠেছিল মুরগির মাংসের, তখনও আমরা দাম ১৪০ টাকা রেখেছি। এখনও সেই দামই বজায় রাখছি। তাতে খোলা বাজারে যে ছবি ধরা পড়ুক না কেন, আমাদের হরিণঘাটা মিটে তার কোনও প্রভাব নেই। বিক্রির বহর দেখলেই তা স্পষ্ট হবে।
কত টাকার মাংস বিক্রি করেছে হরিণঘাটা মিট? গৌরীশঙ্করবাবু বলেন, গত নভেম্বর মাসে আমরা মোট ৩.৩০ কোটি টাকার মুরগির মাংস বিক্রি করেছিলাম। ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৩.৪১ কোটি টাকা। গত জানুয়ারিতে ৩.০৩ কোটি টাকার মুরগির মাংস বিক্রি হয় হরিণঘাটা মিটে। ফেব্রুয়ারিতে তা ২.৬৮ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। চলতি মাসে ১৪ মার্চ পর্যন্ত মোট ১.৪০ কোটি টাকার মাংস বিক্রি হয়ে হয়েছে বলে দাবি এমডি’র । তিনি বলেন, আমাদের মাংস বিক্রিতে যে আদৌ কোনও প্রভাব পড়েনি, তার প্রমাণ এমাসের বিক্রিবাটা। প্রতি বছরই আমরা দেখি ডিসেম্বর ও জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মার্চ বা এপ্রিলে মুরগির মাংসের বিক্রি কিছুটা কমে। এবার সামান্য যেটুকু কম, তা কিন্তু সেই ট্রেন্ড ধরেই। বরং মার্চের প্রথম দু’সপ্তাহের মধ্যে যেটুকু বিক্রি হয়েছে, তা ফেব্রুয়ারির তুলনায় বেশি। এর থেকেই বোঝা যায় আমাদের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা অটুট আছে।