উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ইজ অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে এবছর বিশ্ব ব্যাঙ্ক যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে ভারতের স্থান ৬৩ নম্বরে। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালে ভারতের স্থান ছিল ১৪২ নম্বরে। মোট ১৯০টি দেশের মধ্যে হয় এই প্রতিযোগিতা। পাঁচ বছরে যেভাবে ভারত এগিয়েছে, তাতে আগামী বছরে তালিকায় প্রথম ৫০ এর মধ্যে আসতে পারে দেশ, এই জল্পনা চলছে। কিন্তু এবার রাজ্যগুলির মধ্যে কে এগিয়ে রইল, তা এখনও জানানো হয়নি। গত বছর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলির প্রতিযোগিতায় দশম স্থানে ছিল।
শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন দেশে কত পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ পৌঁছবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে সেই দেশ সরকারি বা প্রশাসনিক জট কতটা হালকা করেছে, তার উপর। এই বিষয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক নিয়মিত দেশগুলির র্যা ঙ্কিং করে। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর নরেন্দ্র মোদি বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওই সমীক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ভারতকে ওই র্যা ঙ্কিংকে প্রথম সারিতে উঠে আসতেই হবে। যত বেশি সামনের দিকে উঠবে দেশ, তত বেশি বিদেশি লগ্নি আসবে। কিন্তু শিল্পের জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগের বেশিরভাগটাই যেহেতু রাজ্যগুলির উপর বর্তায়, তাই সবক’টি রাজ্যকে ওই বিষয়ে এগিয়ে আসার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। কোন কোন বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তার তালিকা রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। এতে রাজ্যগুলির মধ্যেও প্রতিযোগিতার বাতাবরণ তৈরি হয়। তাতে ফলও ফলে হাতেনাতে। কোন কোন বিষয়ে প্রশাসনিক জট কাটাতে হবে, তার জন্য এবার ১৮৭টি দিক চিহ্নিত করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্য ১৮৭টি সংস্কারের কাজ শেষ করে। কিন্তু সেই কাজগুলি কতটা ফলপ্রসূ হল, তা এখনও জানা যায়নি। এই বিষয়ে রাজ্য শিল্প দপ্তরও কিছু খোলসা করেনি।