হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
দেশের মধ্যে আলু উৎপাদনের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দ্বিতীয়। উত্তরপ্রদেশের পরেই। কিন্তু আলুর সার্টিফায়েড বীজের জন্য ভিন রাজ্য, মূলত পাঞ্জাবের উপর নির্ভরশীল রাজ্যের কৃষকরা। ওই রাজ্যের ব্যবসায়ীরা চড়া দামে সার্টিফায়েড বীজ পাঠান। চাহিদার সময় সার্টিফায়েড বীজের অস্বাভাবিক বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। যেহেতু এরাজ্যে সার্টিফায়েড বীজ উৎপাদন হয় না, তাই কৃষকদের বেশি দামে ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসা বীজ কেনা ছাড়া উপায়ও থাকে। প্রকৃত সার্টিফায়েড বীজ উন্নতমানের। তাতে রোগের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না। তাই অধিকাংশ কৃষক দাম বেশি হলেও ওই বীজ ব্যবহার করতে চান। যদিও কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, ভিন রাজ্য থেকে সার্টিফায়েড আলু বীজের নামে যা পাঠানো হয়, তার গুণমান নিয়ে সংশয় আছে। প্রকৃত সার্টিফায়েড বীজ পাঠানো হয় কি না, সেটা নিশ্চিত নয়। রাজ্যে উৎপাদিত সার্টিফায়েড বীজ নিয়ে এই সংশয় থাকবে না।
তবে একটা সমস্যা আছে। তা হল কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে যে সার্টিফায়েড বীজ উৎপাদিত হবে, তা দিয়ে রাজ্যের সব কৃষকের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না। কৃষি দপ্তর চাইছে, বেসরকারি উদ্যোগীরা এব্যাপারে এগিয়ে আসুক। সার্টিফায়েড বীজের উৎপাদন বাড়লে রাজ্যে আলুর উৎপাদনও বাড়বে। এখনও বহু কৃষক খরচ বাঁচাতে সাধারণ আলু বীজ হিসেবে ব্যবহার করেন। এই বীজ ব্যবহারে উৎপাদন কম হওয়ার পাশাপাশি রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।