হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পুজোর মুখে যেহেতু ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে, তাই তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘উদ্ভাবনী উদ্যোগ উৎকর্ষ উৎসব শারদ সম্মান’। সংক্ষেপে ফোর ইউ শারদ সম্মান। প্রতিষ্ঠানটির কর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘উদ্যোগ আধার মেমোরান্ডাম’-এ যেসব উদ্যোগপতিরা নাম নথিভুক্ত করিয়ে রেখেছেন, একমাত্র তাঁরাই ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। মোট চারটি বিভাগে প্রতিযোগিতা হবে। উপহার সামগ্রী, ডিজাইনার পোশাক, কস্টিউম জুয়েলারি এবং পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ— এই চারটি পণ্য যাঁরা প্রস্তুত করেন, তাঁরা অংশ নিতে পারবেন প্রতিযোগিতায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবশ্য শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন, গিফ্ট আইটেম বা উপহার সামগ্রী এবং কস্টিউম জুয়েলারি তৈরি হতে হবে পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে। উভয় ক্ষেত্রে দাম বা সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য উল্লেখ করতে হবে। ডিজাইনার পোশাকের ক্ষেত্রে খাদি বা হ্যান্ডলুম টেক্সটাইল ব্যবহার করতে হবে। তার দাম দু’হাজার টাকার বেশি হবে না। পরিবেশ বান্ধব ব্যাগগুলি পরিবেশ ও সমাজ রক্ষার বার্তাবহ হবে। দাম হতে হবে যতটা সম্ভব কম। তা কোনওভাবেই ৫০ টাকার বেশি হবে না। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে নাম নথিভুক্ত করা হবে।
এমএসএমই ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রক কলকাতায় প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে এখানকার উদ্যোগপতিদের সাহায্য করার জন্য। সেই কাজে গতি আনতে আমরা পুজোর মুখে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি। তার উদ্দেশ্য পুরস্কারের বাহুল্য নয়। আমরা চারটি ক্ষেত্র থেকে ১০ জন করে মোট ৪০ জন উদ্যোগপতিকে নির্বাচিত করব ওই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। মন্ত্রক একটি ট্রেড ফেয়ারের আয়োজন করবে, যেখানে বিনামূল্যে স্টল দিতে পারবেন ওই ৪০ জন উদ্যোগপতি। আমরা চেষ্টা করব, যাতে বিদেশের বাজার ধরার সুযোগও পান তাঁরা। ট্রেড ফেয়ার থেকে বিদেশি বরাত পাওয়ার সুযোগ রাখা হতে পারে। এর পাশাপাশি ওই ৪০ জন উদ্যোগপতির বিভিন্ন কাজের কথা আমরা প্রচার করব নিজেদের উদ্যোগে। সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি ইনস্টিটিউট এবং মন্ত্রকের তরফে প্রচার সংক্রান্ত যে যে পরিকাঠামো আছে, সেগুলি ব্যবহার করা হবে। মোট কথা, ব্যবসা বাড়ানোর জন্য যে যে সাহায্য দরকার ওই উদ্যোগপতিদের, আমরা সেসবের ব্যবস্থা করব।