উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গত নভেম্বর মাসে সিলিন্ডার পিছু দু’টাকা দাম বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তা বেড়েছিল নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানায়, তারা প্রতি মাসের গোড়ায় রান্নার গ্যাসের দাম ঘোষণা করবে এবং সেই দাম চালু থাকবে সারা মাস। সেই কথা মতো নভেম্বরের শুরুতে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হয় তিন টাকা। কিন্তু তার কিছু দিন পরেই ফের দু’টাকা বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম। কেন্দ্রীয় সরকার সাফাই দেয়, ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর জন্যই ওই সিলিন্ডার পিছু দাম বেড়েছে দু’টাকা। এর সঙ্গে মাসের গোড়ায় দাম বাড়ানোর সম্পর্ক নেই। ডিলাররা সেই সময় জানান, হেঁসেলের রান্নার গ্যাসের জন্য তারা ৪৮.৮৭ টাকা কমিশন পেয়ে আসতেন। সেই কমিশন বেড়ে হয়েছে ৫০.৫৬ টাকা। তার দরুণ সিলিন্ডারের দাম বেড়ে যায় দু’টাকা। সেই সময় অবশ্য বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও কমিশন বাড়ে। ৮৪ টাকা কমিশন বেড়ে ৮৮ টাকা হয় নভেম্বরে। যদিও ওই বর্ধিত টাকাকে কমিশন বৃদ্ধি বলে মানতে নারাজ ডিলাররা। তাঁদের কথায়, আগে বাণিজ্যিক সিলিন্ডার পিছু ৮৮ টাকা কমিশনই মিলত। কিন্তু হিসেবের নানা জটিলতায় ও মারপ্যাঁচে তা কমে কমে ৮৪ টাকায় ঠেকে। ফের তা ৮৮ টাকায় ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্র। গত আর্থিক বছরের গোড়ায়, অর্থাৎ ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধির দাবি পেশ করা হতে থাকে কেন্দ্রের কাছে। অবশেষে তা বাড়ে সামান্য।
ওই কমিশন বৃদ্ধিতে আদৌ সন্তুষ্ট নয় ডিলারদের একাংশ। তাঁরা ফের সেই বিষয়ে দাবি জানান কেন্দ্রীয় সরকারকে। সূত্রের খবর, আইআইএম আমেদাবাদকে এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা করায় কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রক। কমিশন বাস্তবে কতটা বাড়ানো উচিত, তা নিয়েই সমীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে মন্ত্রকে। সেখানে রান্নার গ্যাসে অন্তত ৩০ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে বলে দাবি ডিলারদের একাংশের। তার উপর ভিত্তি করেই তাদের আশা, সরকার অন্তত ২০ টাকা ডিলার কমিশন বাড়াবে সিলিন্ডার পিছু। যেহেতু সেই খরচ বইতে হবে সাধারণ গ্রাহককেই, তাই কবে তা চালু করবে কেন্দ্র, সেটাই বড় প্রশ্ন ডিলার মহলে। তবে নরেন্দ্র মোদি সরকার ফের ক্ষমতায় আসার পর পেট্রলিয়াম মন্ত্রক তাঁদের দাবি মেটাবে ও তাড়াতাড়ি কমিশন বাড়াবে, এমনটাই আশা ডিলারদের।