সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
দু’দিন আগে এই ইডেনেই উঠেছিল মোট ৫২৩ রান। কিন্তু সোমবার দেখা গেল অন্য ছবি। ১৫৩ রান তুলতেই কালঘাম ছুটল দিল্লি ক্যাপিটালসের। একটা সময় মনে হয়েছিল দেড়শোও উঠবে না। শেষ পর্যন্ত কুলদীপ যাদবের ২৬ বলে লড়াকু ৩৫ কিছুটা মুখরক্ষা করে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির (১৫৩-৯)। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন ফিল সল্ট। দ্রুত কমতে থাকে আস্কিং রেট। জীবন ফিরে পেয়ে তিনি আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানটি। তবে নারিন (১৫) বড় রান পাননি। তিনে নেমে ব্যর্থ রিঙ্কুও (১১)। তবে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার (অপরাজিত ৩৩) ও ভেঙ্কটেশ আয়ার (অপরাজিত ২৬) জিতিয়ে ফিরলেন। ২১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছল কেকেআর (১৫৭-৩)।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী সাউ ও জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক শুরুটা ভালোই করেছিলেন। প্রথম ওভারেই স্টার্ক দেন ১৫ রান। কপালে লাল তিলক টেনে সৌরভ গাঙ্গুলিকে বসে থাকতে দেখা গেল ডাগ-আউটে। কিন্তু খেলা যত এগল, বদলাতে থাকল আবহ।
দ্বিতীয় ওভারে বৈভব অরোরার লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হন পৃথ্বী (১৩)। তারপর শুধু আয়ারাম-গয়ারাম। ফ্রেজার ১২ রানে ফিরতেই কেকেআর বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যায়। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাই হোপকে (৬) ফিরিয়ে নাইটদের আসল কাজটি করেন বৈভবই। শিবরাত্রির সলতের মতো ধিক ধিক করে জ্বলতে থাকা অভিষেক পোড়েলও (১৮) শিক্ষার্থীর মতো উইকেট ছুড়ে দেন।
ঋষভকে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে দেখে মনে হচ্ছিল ডাগ-আউটে ফেরার তাড়া রয়েছে। ১৮ রানের মাথায় হর্ষিত রানা তাঁর ক্যাচ ফেলা সত্ত্বেও সুযোগের সদ্ব্যবহারে ব্যর্থ দিল্লি অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত বরুণ চক্রবর্তীর বলে ২৭ রানে মাঠ ছাড়েন পন্থ। মূলত নাইটদের স্পিনের ইন্দ্রজালেই আটকে গেল দিল্লি। একদিক থেকে বরুণ চক্রবর্তী (৪-০-১৬-৩) ও অন্যদিকে সুনীল নারিনের (৪-০-২৪-১) সাঁড়াশি আক্রমণে নাভিঃশ্বাস ওঠে রিকি পন্টিংয়ের দলের। অক্ষর প্যাটেল (১৫), ট্রিস্টান স্টাবসের (৪) অবস্থাই বলে দিচ্ছিল দিল্লির ব্যাটসম্যানদের মাথা যেন এক ক্ষুরে কামানো। তবে এমন দিনেও অস্বস্তি বাড়ালেন মিচেল স্টার্ক। তিন ওভারে দিলেন ৪৩ রান। ২৪.৭৫ কোটির বোলারের ঝুলিতে মাত্র একটা উইকেট।