সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
আস্কিং রেট যখন কমতে কমতে একেবারে নাগালে আসছিল পাঞ্জাবের, তখন চোখমুখ ছলছল করছিল কিং খানের। তিনি স্থম্ভিত, তিনি হতবাক। পাশে বসা ছেলে আব্রামের মাথায় মাঝে মধ্যে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন। বোঝাতে চাইছিলেন, এটাই টি-২০ ক্রিকেট। কখন যে ম্যাচের রং বদলাবে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী করা মুশকিল। দলের এমন পরিণতি কি বসে দেখা যায়? পারেননি শাহরুখও। বার বার বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়ছিলেন। যেন লুকোতে চাইছিলেন নিজেকে। তবে তিনি যে বাজিগর। হারকে তিনি গলা জড়িয়ে নিতে পারেন সহজেই। তবে শুক্রবারের ইডেন ব্যতিক্রমী হয়ে থাকল। জঘন্য বোলিং ডোবাল কেকেআরকে। যা দেখে স্টার্ক নিশ্চয়ই স্বস্তি পেলেন।
ম্যাচ শেষে তখন চলছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। গ্যালারি থেকে দর্শক খালি করতে ব্যস্ত পুলিস। অনেকেই ভেবেছিলেন ভগ্ন হৃদয়ে আরও একবার কিং খানকে দেখেই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু সেই স্বাদ মিটল না। ম্যাচ শেষ হতেই সদলবলে টিম হোটেলে রওনা দেন বাদশা। তিনি সচরাচর এমনটা করেন না। বরং মাঠে গিয়ে কথা বলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। ড্রেসিংরুমে তাঁর ভোকালটনিক নতুন করে প্রাণের সঞ্চার ঘটায় নাইট শিবিরে। কিন্তু ম্যাচ শেষ হতেই কিং খানের মাঠ ছাড়াতেই স্পষ্ট তিনি কতটা বিরক্ত শ্রেয়সদের উপর। তবে শাহরুখ যখন মাঠে ঢুকেছিলেন তখন ছিলেন খোশ মেজাজে। ঘড়িতে তখন আটটা বাজতে বাকি মাত্র এক মিনিট। হঠাৎই এক ঝলক দমকা হাওয়া নিয়ে তাঁর আগমন। বি ব্লকের ভিআইপি বক্সের রেলিংয়ের পাশে এসে দাঁড়াতেই ক্লাব হাউসের আপার ও লোয়ার টিয়ার ঢলে পড়ে ডানদিকে। ক্রিকেট ও বিনোদনের এমন ককটেল উপভোগ করতেই তো মাঠে ছুটে আসা। যদি তিনি একবার তাকান! ওভার শেষ হতেই উঠে দাঁড়ালেন কিং খান। হাতও নাড়লেন। মাঠে জুড়ে তখন নারিন ঝড়, আর গ্যালারিতে কিং খানের জনপ্রিয়তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা স্থায়ী হলনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হল বেগুনি রং। মুখ থুবড়ে পড়ল নাইট ব্রিগেড।