উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে মুম্বইয়ের কাছে হেলায় হেরেছিল শ্রেয়াসরা। কিন্তু রবিবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেয়নি দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, সেটা অন্তত বোঝা গিয়েছে ধাওয়ান-হেটমায়ারদের ব্যাটিং দেখে। দিল্লির লক্ষ্য ছিল, পাওয়ার প্লে’তে দ্রুত গতিতে রান তোলা। কিন্তু শুরুতেই স্টোইনিসের সহজ ক্যাচ ফেলেন হোল্ডার। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাননি অজি ব্যাটসম্যানটি। শিখরের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৮৬ রান তোলেন তিনি। ২৭ বলে ৩৮ রান করে রশিদের বলে আউট হন স্টোইনিস।
এবারের আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে থাকা শিখর পথ দেখিয়েছেন দিল্লিকে। এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ছ’টি চার ও দু’টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ‘গব্বর’। এই মরশুমে পরপর দু’টি ম্যাচে শতরান করার নজির রয়েছে শিখরের। এদিনও সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ৭৮ রানে। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার (২১) অবশ্য প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। শিখরকে যোগ্য সঙ্গত করেন শিমরন হেটমায়ার (২২ বলে ৪২)।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পর পর তিন উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে সানরাইজার্স। দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে (২) ডাগ আউটে ফিরে যেতে হয়। তাঁকে দুরন্ত ইয়র্কার ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কাগিসো রাবাডা। রবিবার ওয়ার্নারের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে নামা প্রিয়ম গর্গ ফিরলেন ১৭ রানে। একই ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মণীশ পাণ্ডেকেও ২১ রানে আউট করেন স্টোইনিস। পাঁচ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়ে হায়দরাবাদ। সেখান থেকে কেন উইলিয়ামসন (৬৭) একা হাতে লড়াই করেন। হোল্ডারও (১১) খুব বেশি সময় ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। তরুণ আব্দুল সামাদ ১৬ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে কিছুটা সঙ্গ দেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে ফের দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান স্টোইনিস। আর ১৯তম ওভারে তিন উইকেট তুলে দিল্লির জয় নিশ্চিত করেন রাবাডা।