উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারতীয় দল। অ্যাডিলেডে দিন-রাতের টেস্ট (ডিসেম্বর ১৭-২১) দিয়ে শুরু হবে কোহলিদের অভিযান। বাকি তিনটি ম্যাচ হবে মেলবোর্ন (২৬-৩০ ডিসেম্বর), সিডনি (৭-১১ জানুয়ারি, ২০২১) ও ব্রিসবেনে (১৫-১৯ জানুয়ারি)। আর এই গুরুত্বপূর্ণ সফরের মাঝপথে কোহলি ফিরে এলে টিম ইন্ডিয়ার কাছে তা বড় ধাক্কা হবে। অন্য কোনও সময় হলে বিরাট অনায়াসেই শেষ তথা ব্রিসবেন টেস্টে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু করোনা বিধির কারণে সেই সুযোগ তিনি পাবেন না। একবার জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে গেলে ফের ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে শেষ দুটি টেস্টে কোহলির বদলে দলে আসতে পারেন লোকেশ রাহুল।
এদিকে, রোহিত শর্মাকে অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঠাতে তৎপর বিসিসিআই। বোর্ড কর্তারা মনে করছেন, টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই রোহিত পুরোপুরি ফিট হয়ে যাবেন। আইপিএলের মাঝপথে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার পর বেশ কয়েক ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে শেষ কয়েকটি ম্যাচে মুম্বই অধিনায়ককে খেলতে দেখে বোর্ড কর্তাদের আশা বেড়েছে। তাই ১১ নভেম্বর চার্টার্ড বিমানে অস্ট্রেলিয়াগামী ভারতীয় দলের সঙ্গে রোহিতকেও পাঠানোর কথা ভাবছেন বোর্ড কর্তারা। এ বিষয়ে তাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে দলের সঙ্গে থাকলেও ফিজিও নীতিন প্যাটেল এবং ট্রেনার নিক ওয়েবের অধীনে বিশেষ স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং ট্রেনিং চলবে রোহিতের। প্রয়োজনে তাঁকে একদিনের সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, যা শুরু হচ্ছে ২৭ নভেম্বর। টি-২০ সিরিজে দলে আসতে পারেন রোহিত। তবে সম্প্রতি ‘হিটম্যান’ স্বয়ং ঘোষণা করেছেন, তিনি এখন পুরোপুরি ফিট।
এদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নেওয়ার পর বিরাট কোহলির লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া সফর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক শুক্রবার রাতেই টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেছেন। দু’দিন পরেই তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রস্তুতি শুরু করবেন। ১০ নভেম্বর আইপিএল শেষ হবে। পরের দিনই অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবে কোহলি বাহিনী। অ্যাডিলেডে দিন-রাতের টেস্ট গোলাপি বলে। ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা ও হনুমা বিহারি।
অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ভারতীয় দলকে। এ ব্যাপারে কোহলি বলেছেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ের একঘেয়ে জীবন মানসিকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে ক্রিকেটারদের উপর। ফলে সফর সংক্ষিপ্ত করা উচিত। এ ব্যাপারে ক্রিকেট প্রশাসনের চিন্তাভাবনা করা দরকার।’ আইপিএলের অধিকাংশ টিমই আগস্টে আমিরশাহীতে পৌঁছে গিয়েছিল প্র্যাকটিস করে টুর্নামেন্ট খেলার লক্ষ্যে। সেখান থেকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া সফরে উড়ে যাবেন কোহলিরা, যা শেষ হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি। ফলে প্রায় চার মাস বাড়ির বাইরে থাকতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। অস্ট্রেলিয়ার সফরের পর দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। সেখানেও জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলতে হবে কোহলি-রোহিতদের।