পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
এদিকে উপযুক্ত কারণ ছাড়া চলন্ত ট্রেনের চেন টেনে দাঁড় করানো আইন বিরুদ্ধ। এক্ষেত্রে রেল সংশ্লিষ্ট যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়। লবণ সত্যাগ্রহ স্টেশন ছাড়ার পর আচমকা ট্রেন থমকে যাওয়ায় গার্ড ওই কামরা চিহ্নিত করে সেখানে ঢুকে পড়েন। স্টেশনের রেলের টিকিট বুকিং এজেন্ট ভরতচন্দ্র দাসও ওই কামরায় ঢুকে চেন টানা যাত্রীকে খোঁজার চেষ্টা করেন। ট্রেনের একেবারে শেষ কামরায় ওই ঘটনা ঘটেছিল। তাই সেই কামরায় ঢুকে অভিযুক্তকে খোঁজার জন্য দু’জন অন্যান্য যাত্রীদের থেকে সহযোগিতা চান। কিন্তু, একজনও মুখ খোলেননি। যদিও গার্ড অভিযুক্ত ট্রেনযাত্রীকে শেষ পর্যন্ত শনাক্ত করে আরপিএফকে খবর দেন।
ওই লোকাল লবণ সত্যাগ্রহ স্টেশন ছেড়ে নন্দকুমার স্টেশনে এসে থামতেই আরপিএফ কর্মীরা শেষ কামরায় উঠে পড়েন। ওই কামরাতেই বসেছিলেন দুই আধাসেনা। বিহারের বাসিন্দা ওই দুই আধাসেনা দীঘা বেড়াতে এসেছিলেন। দীঘা থেকে পাঁশকুড়া ফেরার পথে ওই ঘটনা ঘটে। নন্দকুমার স্টেশনে তাঁরা আরপিএফ কর্মীদের দেখে ট্রেনের উল্টো দিকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। যদিও আরপিএফ কর্মীরা তাঁদের ধরে নন্দকুমার থেকে তমলুক আরপিএফ বারাকে নিয়ে আসেন। তারপর চেন টানার ঘটনায় অভিযুক্ত আধা সেনাকে গ্রেপ্তার করে আরপিএফ। ট্রেনের গার্ড ওই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়।
লবণ সত্যাগ্রহ স্টেশনের রেলের কমিশনড টিকিট বুকিং এজেন্ট ভরতবাবু বলেন, একটা ট্রেনের কামরায় ৩০-৩৫ জন যাত্রীর উপস্থিতিতে একজন চেন টানলেন। তারজন্য স্টেশন ছেড়ে যাওয়া ট্রেন থমকে দাঁড়াল। কে ওই ঘটনা ঘটাল, সেটা জানার জন্য যাত্রীদের বারবার বলার পরও কেউ মুখ খুললেন না। চোখের সামনে ঘটা একটা অপরাধ বেমালুম চেপে গেলেন যাত্রীরা। আরপিএফের তমলুকের ওসি শশী চন্দ্র বলেন, চেন টেনে চলন্ত ট্রেন থামানোর ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিহারের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম একে সিং।