পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত মুখ জুন মালিয়া। রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনি। রাজনীতির বিষয়েও ওয়াকিবহাল। এযাবতকালে তাঁকে নিয়ে কোনও বির্তক তৈরি হয়নি। বরং তাঁর সামাজিক কাজকর্ম চর্চার বিষয় হয়েছে একাধিকবার। জুনদেবীকে রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে মেদিনীপুর বিধানসভার মাটি কামড়ে পরে রয়েছেন জুন। গত তিন বছর ধরে চেষ্টা চালিয়েছেন মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে। সেই সূত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার জুন মালিয়াকে রাজনীতির আরও বড় পরিসরে এবং বৃহত্তর ক্ষেত্রে মানুষের সেবায় কাজ করতে পারবেন বুঝে গুরুদায়িত্ব সঁপেছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন জুন। সোমবার তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনদেবী একটি রিপোর্ট কার্ড সামনে আনতে চলেছেন। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি কীভাবে এলাকার মানুষের পাশে রয়েছে তা সবিস্তারে উল্লেখ থাকবে ওই কার্ডে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জুন মালিয়ার উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে ছ’কোটি টাকা ব্যয়ে ধেড়ুয়া ও লালগড় সংযুক্তকারী রাস্তার উন্নয়ন। এছাড়াও পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে রিপোর্ট কার্ডে। বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য রয়েছে। তাতে ধেড়ুয়া শতবালা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও গোহালডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ক্লাস রুম নির্মাণ, গুড়ঘুড়িপাল ও নেপুরায় আইসিডিএস সেন্টার স্থাপন সহ শিক্ষাক্ষেত্রে আরও একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের উল্লেখ রয়েছে। মহিলাদের স্বনির্ভর করতে শালবনী ব্লকে কাজকর্মের কথা বিধায়ক জানিয়েছেন রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। সেতু নির্মাণ, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের সাংস্কৃতিক প্রচার ও প্রসারের জন্য ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কমিউনিটি হল তৈরি, ফুটবল অ্যাকাডেমি স্থাপন, মিড ডে মিলের রান্নাঘর নির্মাণ, পর্যটন, সৌন্দর্যায়ন, নিকাশি ও শৌচালয় তৈরি সহ উন্নয়নমূলক সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের কথা রয়েছে রিপোর্ট কার্ডে।এই কেন্দ্রে জুনের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। তৃণমূল বলছে, বিজেপি বিধায়কের মিথ্যা কথা আর প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি। সেখানে তৃণমূল বিধায়ক কাজ করে দেখিয়েছেন। তাই রিপোর্ট কার্ডে লেখা, ‘মেদিনীপুরের মেয়ের গর্জন, বাংলা বিরোধী যাবে বিসর্জন।’