ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। কিন্তু বোলপুর পুরসভা এলাকায় পিছিয়ে রয়েছে শাসকদল। এই শহরেই বাড়ি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁর দক্ষ সংগঠনের জেরে বীরভূম জেলায় বরাবরই ভোটে ভালো ফল করে তৃণমূল। বোলপুরের নায়েকপাড়ায় থাকেন বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তৃণমূলের আরও অনেক হেভিওয়েট নেতার বাস বোলপুর শহরেই। কিন্তু তারপরও গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে শহরে বিরোধীদের থেকে পিছিয়ে ছিল শাসকদল।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার ছিল ৫৫,৬৬৩ জন। সেখানে তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ১৯,৮৪৭টি ভোট। প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৩০,৫৩৫টি ভোট। বাকি ৫২৮১টি ভোট সিপিএম, কংগ্রেস সহ অন্য দল। বোলপুরের ১৫টির মধ্যে মাত্র পাঁচটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের লিড ছিল। ওই পাঁচটি ওয়ার্ডেও ব্যবধান অত্যন্ত কম ছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বোলপুর শহরে তৃণমূল ভালো ফল করতে পারেনি। যদিও তৃতীয়বারের মতো রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালে খুব সহজেই ভোটে জিতে বোলপুর পুরসভা নিজেদের দখলে নেয় তৃণমূল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বোলপুরে সেই ফল ধরে রাখাই শাসকদলের মূল লক্ষ্য।
ইতিমধ্যেই বোলপুরের ওয়ার্ড সংখ্যা ২০ থেকে বেড়ে ২২টি হয়েছে। বোলপুর লাগোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একটা বড় অংশ পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নতুন ওয়ার্ড এবং গত লোকসভা ভোটে যে পাঁচটি ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে ছিল, সেখানে শাসকদল বিশেষ নজর দিচ্ছে। বাকি ১৫টি ওয়ার্ডেও তারা ভোট বৃদ্ধি করতে মরিয়া।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে প্রায় প্রতিদিন ছোট ছোট পথসভা করা হচ্ছে। ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বদের নিয়ে সংগঠন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক বৈঠক করা হচ্ছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে নিজের এলাকার দুর্বল স্থান চিহ্নিত করে সেখানে বেশি জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে এসবে লাভ হবে না বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুব্রত চট্টরাজ বলেন, উন্নয়নের নামে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাদের উন্নতি হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। যানজট মেটানোর ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ নেই। মানুষ তাঁদের ক্ষোভ ভোটবাক্সে জানিয়ে দেবেন।
বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, দুই বছর আগে পুরসভার হাল ধরার পর শহরবাসীর জন্য নানা কাজ করা হয়েছে। শহরের সৌন্দর্যায়ন, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ হয়েছে। আগামী দিনে শহরবাসীকে আরও উন্নততর পরিষেবা দেওয়া হবে। আমরা মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।