ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
এদিন দলীয় প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে নিয়ে শহরের আনাচে কানাচে রোড শো করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। দ্বন্দ্ব ভুলে প্রায় সব পক্ষই মাঠে নেমেছিলেন। দলের প্রার্থীকে জেতাতে হবে, একথা মাথায় রেখেই সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কেউ প্রার্থীকে রোদের হাত থেকে বাঁচাতে ডাবের জল খাওয়ালেন। কেউ জলের বোতল এগিয়ে দিলেন আন্তরিকতার সঙ্গে। এদিন শর্মিলা সরকারকে নিয়ে যখন দাঁইহাট শহরের ঐতিহ্যবাহী শবশিবা মাতার মন্দিরে পুজো দিতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন এক কর্মী বলেন, ভোটের সময় আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করছি।
প্রসঙ্গত, দাঁইহাট শহরে ১৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দাঁইহাট শহরে ৯টি ওয়ার্ড থেকে দু’ হাজার ৪৪৭ ভোটে লিড দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিধানসভা নির্বাচনে আবার ওই ন’টি ওয়ার্ডেই পরাজিত হয় তৃণমূল। শহরে ১৫০৮ ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসকদল। দলীয় কোন্দলের জেরেই এমনটা ঘটছে বলে অনেকেই দাবি করেন। তবে পুর নির্বাচনে দাঁইহাট বিরোধী শূন্য হয়ে যায়। গত লোকসভার ফলাফল মাথায় রেখেই দাঁইহাটকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা তৃণমূল। প্রার্থী শর্মিলা সরকার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সুফল প্রতিটি মানুষ পেয়েছেন। তাই আমার আশা, কেউ আমাকে নিরাশ করবেন না। আমি সবার সমর্থন পাব।
এদিন দাঁইহাট শহরের এক তৃণমূলের নেতা বলছিলেন, শহরে লিড থাকবে বলেই আশা করছি। লোকসভা ভোটে সবাই পরিশ্রম করছেন, প্রতিটি মিটিং মিছিলে সবাই যাচ্ছেন, বাড়ি বাড়ি প্রচারও করছেন সবাই। প্রত্যেকেই পুরোদমে ঝাঁপিয়েছেন। অন্যদিকে, এদিন পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পিলা পঞ্চায়েতের পাটুলি শ্রীরামপুর গ্রামে প্রচার সারলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী নিরব খাঁ। তিনিও বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। নিরব খাঁ এদিন বলেন, চাকরি দূর্নীতি নিয়ে বেকার ছেলেমেয়েরা কাঁদছেন। সবাই মুক্তি পেতে চাইছেন এমন পরিস্থিতি থেকে। শিল্প নেই, চাকরি চুরি হয়ে যাচ্ছে। তাই বিকল্প হিসেবে প্রত্যেকেই বাম প্রার্থীকেই বেছে নেবেন আশা করছি।