ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে মৃতদের নাম ভবানী গড়াই (৪৮) ও তাঁর মেয়ে ফুলকুমারী গড়াই (২৬)।ইট্টা গ্রামের গড়াইপাড়ায় বাড়ি তাঁদের। মঙ্গলকোট থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ইট্টা গ্রামে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রী বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। পলাতক অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চলছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ভবানী গড়াইয়ের স্বামী এককড়ি গড়াই সব্জি বিক্রেতা। তাঁদের তিন মেয়ে। বড় মেয়ে ফুলকুমারী। মেজ মেয়ে স্বর্ণলতা কলকাতায় পড়াশোনা করেন। ছোটো মেয়ে কিরনমালার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এককড়ির খুড়তুতো ভাই অভিযুক্ত গৌরচন্দ্র গড়াইয়ের পাশেই বাড়ি। চার বছর আগে গৌরচন্দ্রের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা ধার নেন এককড়ি। ওই টাকায় এককড়ি বাড়ি তৈরি করছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সুদ সহ টাকা চেয়েও পাচ্ছিল না গৌরচন্দ্র। কয়েক মাস আগে সে সিদ্ধান্ত নেয় দাদার ছ’বিঘা জমির মধ্যে দু’বিঘা জমিতে ধান চাষ করবে। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে গোলমালও হয়। অভিযোগ, একপ্রকার জোর করেই গৌরচন্দ্র দাদার জমিতে ধান চাষ করে। এদিন সেই ধান কাটতে যায় গৌরচন্দ্র। অভিযোগ, ধান কাটতে বাধা দিতে গেলে মা ও মেয়ে দু’জনকেই নাকি ভারী কোনওকিছু দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে গৌরচন্দ্র। জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জন লুটিয়ে পড়লে এলাকা ছাড়ে গৌর। স্থানীয় বাসিন্দারা মঙ্গলকোট থানার পুলিসকে খবর দেয়। পুলিস এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে।
দুই মেয়ে আর স্ত্রী মুনমুনকে নিয়েই অভিযুক্ত গৌরচন্দ্রের সংসার। চাষাবাস করেই তাঁদের সংসার চলে। মুনমুন দাবি করেন, এককড়ি কয়েক ধাপে তাঁদের কাছে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ধার নেয়। মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা বার বার আমরা চেয়েও পাইনি। ওরা আমার স্বামীকে প্রায়ই হুমকি দিত। শেষে ওদের জমিতে নিজের খরচে বোরো ধান চাষ করেছিল আমার স্বামী। যাতে করে ওদের সুদের টাকা কিছুটা হলেও শোধ হয়। আমি বাড়িতে ছিলাম না। মর্নিংওয়ার্ক করতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে শুনলাম এমনটা ঘটেছে।
অন্যদিকে, মৃত ভবানী গড়াইয়ের স্বামী এককড়ি গড়াই বলেন, আমি এক লক্ষ টাকার কিছু বেশি ধার নিয়ে ছিলাম। তারজন্য জমি বন্ধক দিইনি৷ ওরা এখন সুদ চাপিয়ে অনেকটা বলছে। আমার জমি ভাগ চাষ করতে দিয়েছিলাম গ্রামের একজনকে। তাঁর কাছ থেকে ওরা আমার জমি কেড়ে নিয়ে জোর করে ধান পুঁতে দিয়েছিল। সেই ধান কাটতে গিয়েছিলে এদিন। আমার স্ত্রী, মেয়ে বাধা দিতে গেলে ওদের খুন করে দেয় ভাই।