পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাতমাস আগেই দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে অলোচনা হয়। সর্বসম্মতভাবে তা অনুমোদনও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি সমস্যার কারণে এতদিন তা বাস্তবায়িত করা যায়নি বলে দাবি। তবে লোকসভা ভোটের পরেই দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করা হবে পুরসভার পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, পুরসভার অধীনে শহরের জেমো এলাকায় একটি বড় আকারে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তাকে কেন্দ্র করে ছাতিনাকান্দি রষোড়া ও গোপীনাথপুর এলাকায় আরও তিনটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও পুরসভার নিজস্ব একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিও রয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সরকারি ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান রয়েছেন। এই ল্যাবরেটরিতে রক্ত, মল মূত্র থেকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে প্রায় ৬৮জন সরকারি কর্মী রয়েছেন। দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু হলে ওই সব স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে আনবেন।
এদিকে বুধবার রাতে শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই পাড়া বৈঠকে পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব বাবু বলেন, ইচ্ছে থাকলেও ভোটের আগে আমরা এই সুবিধা দিতে পারছি না। তবে ভোট মিটলেই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
কান্দির বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, সাতমাস আগেই পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে আমরা এই পরিষেবার বিষয়টি অনুমোদন করিয়েছি। এই প্রকল্পে এলাকার দুঃস্থ পরিবারগুলি উপকৃত হবেন। এমনকি চিকিৎসকরা সুগার ও প্রেসারের রোগীদের যে ওষুধ লিখে দেবেন তা পুরসভা থেকে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর বাড়িতেই ওষুধ পৌঁছে দেবেন।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতা নরোত্তম সিনহা বলেন, ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক কথা বলতে শুরু করেছে। যে পরিষেবা সাতমাস ধরে চালু করা হল না। সেটা ভোট পেরোলেই হবে? মানুষ কী এতই বোকা নাকি?