পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, শিল্প শহর হিসাবে পরিচিত রঘুনাথপুরে পানীয় জলের সঙ্কট দীর্ঘদিনের। পুরসভার আয়তন ও জনসংখ্যা বাড়লেও, বাড়েনি পানীয় জলের সরবরাহ। ফলে যত দিন যাচ্ছে পুরসভায় দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের সঙ্কট। বর্তমানে শহরের প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ জল সঙ্কটের শিকার। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের উন্নয়ন নামে টাকা নয়ছয় করেছে। পরিকল্পনার অভাবে শহরের মানুষকে জলকষ্টে ভুগতে হচ্ছে। জলের জন্য একাধিকবার টাকার অনুমোদন হলেও সঠিকভাবে কাজ করা হয়নি। ফলে জলের সমস্যা সমাধান হয়নি। পুরসভার চেয়ারম্যান তরণী বাউরি বলেন, বর্তমানে পিএইচই দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় জলের অর্ধেক মিলছে। পিএইচই দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জলের পরিমাণ বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি যে সব ওয়ার্ডে জলের সঙ্কট বেশি সেখানে জলের ট্যাঙ্কার পাঠানোর জন্য জানানো হয়েছে। আপাতত পুরসভার তরফ থেকে জলের সমস্যা দূর করতে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি করে সোলার ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ওয়ার্ডগুলিতে যেসব নলকূপগুলি রয়েছে সেগুলিকে সারানো হয়েছে। পুরসভার একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ইন্দো -জার্মান প্রকল্পে নিতুড়িয়ার পুয়াপুর এলাকা থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রঘুনাথপুর শহরে পানীয় জল আসে। রঘুনাথপুর পিএইচই দপ্তর সেই জল শহরে সরবরাহ করে। বর্তমানে রঘুনাথপুরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২.৭৫ মিলিয়ন লিটার জলের প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে পিএইচই দপ্তর থেকে ১.৩৬ মিলিয়ন লিটার জল পাওয়া যাচ্ছে। পরিসংখ্যানে বোঝা যাচ্ছে, পুরসভায় কতটা পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। তবু পুরসভা জলের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে চলেছ। রঘুনাথপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি তারকনাথ পরামানিক বলেন, ২০০৫-এ জোটের মাধ্যমে তৃণমূল রঘুনাথপুর পুরসভায় প্রথম বোর্ড গঠন করে। দীর্ঘ ১৯ বছর তৃণমূল পুরসভার ক্ষমতায় থাকলেও পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। অথচ এই তৃণমূল উন্নয়নের নামে মানুষের কাছে ভোট চায়। বর্তমানে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে কম বেশিপানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলার দীনেশ শুক্লা বলেন, রাজ্য সরকার রঘুনাথপুর পুরসভায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। মানুষ শুধু প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে ২ কোটি টাকায় সোলার ডিপ টিউবওয়েলগুলি করা সম্ভব হতো না। শহরের মানুষ সব দেখছে, বুঝছে। তাই এবারে তৃণমূলকে হটিয়ে বিজেপিকে জেতাবে। তরণী বাবু বলেন, ৮০ কোটি টাকায় আম্রুত ২ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ নির্বাচনের পরেই শুরু হবে।