পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল থেকেই সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ওয়ার্ড কার্যত জলশূন্য হয়ে পড়ে। রোগীদের শৌচালয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে পানীয় জল পর্যন্ত না থাকায় চরম সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি ওটিতেও জল না থাকায় সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। ওয়ার্ড ছাড়াও গোটা হাসপাতাল চত্বরে জল না পেয়ে সমস্যায় পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। এ বিষয়ে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজের এমএসভিপি সুকোমল বিষয়ী বলেন, রবিবার সকাল থেকেই সদর হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড কার্যত জলশূন্য হয়ে রয়েছে। ওটিতে জল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওয়ার্ডগুলিতে জল সরবরাহ বিকাল পর্যন্ত ঠিক করা সম্ভব হয়নি। তবে অন্য একটি জলের রিজার্ভার থেকে ওটিতে জল সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন শৌচালয়গুলিতে জল না থাকায় রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়রা চরম সমস্যায় পড়েছেন। জল না থাকলে সমস্যায় পড়াটাই স্বাভাবিক। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও সমস্যা হচ্ছে। জলের সমস্যার বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নিজে এসে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। জল সরবরাহের পাইপলাইনে ফাটল ধরার ফলে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে চেয়ারম্যান চারটি ট্যাঙ্কারে প্রায় আট হাজার লিটার জল পাঠিয়েছেন। ওই ট্যাঙ্কগুলি থেকে পানীয় জলটুকু অন্তত পাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। এ বিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালী বলেন, যে পাইপ লাইনে মেডিক্যাল কলেজে রিজার্ভারের জন্য জল আসে, সেই পাইপলাইন ফেটে গিয়েছে। ফলে জল সরবরাহ শুরু হওয়ার পরেও রিজার্ভার পর্যন্ত জল পৌঁছয়নি। পুরসভার কর্মীরা তীব্র গরমের মধ্যেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন।