সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৮ মে স্থানীয় বিপ্রশেখর পঞ্চায়েতের ওই গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে খুন হন গ্রামেরই আমির আলি শেখ (৪৯)। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। ওইদিন সন্ধ্যায় মৃত ব্যক্তি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর বোমা নিয়ে হামলা চালায়। এই ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে মৃত ব্যক্তির বাড়ি ছিল প্রায় ৩০০ মিটার দূরে। খুনের ঘটনার পরেই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ওই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কুলি গ্রামে কর্মিসভা করেন। সভায় কর্মীদের হাজিরা নিয়েই গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। পঞ্চায়েতে প্রার্থী কাকে করা হবে, তাই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছিল।
এদিকে খুনের ঘটনার পরবর্তীতে পুলিস কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। যদিও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ইব্রাহিম শেখ ওরফে চাঁদ শেখ প্রথম দিকে পলাতক ছিল। পরে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করলে জেল হেফাজত হয়। এরপর সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে ছাড়া পায় সে। এরপরই এদিন তার বাড়ির পাঁচিলের ধারে পুলিস বোমা উদ্ধার করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে এদিন ভোরে পুলিস সেখানে তল্লাশি চালয়। দেখা যায়, একটি প্লাস্টিকের সাদা বালতিতে সুতলি বাধা বোমাগুলি রাখা হয়েছে। সেটি একটি প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। পাশে কয়েকটি বাঁশ ও কাঠ পড়ে রয়েছে। এরপর সেখানে পুলিস বোমাগুলি ঘিরে রেখে পাহারায় বসে। যদিও ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী রেক্সনা বিবি বলেন, আমি কয়েকদিন বাড়িতেই ছিলাম না। স্বামীও নেই। সোমবার বিকেলে আমি বাপের বাড়ি থেকে ফিরি। তখন কিছু ছিল না। এরপর সকালে পুলিস পাহারা দেখে আশ্চর্য হয়ে যাই। আমার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। যদিও গ্রামের একাংশের দাবি, খুনের ঘটনার পিছনে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। ও জেলে যেতে গ্রাম শান্ত হয়ে গিয়েছিল। এরপর ছাড়া পেতেই ফের গ্রামে বোমা উদ্ধার হল। তাই তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন।