সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকালে। কালীগঞ্জ থানার কুঠুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা অজয় ঘোষের ছেলে অভিলাষ ঘোষের সঙ্গে পাশের বাড়ির বাসিন্দা রক্ষা ঘোষের নাতি রনি ঘোষ খেলা করছিল। বাড়ির সামনের মাঠেই দুই শিশু খেলা করছিল। আচমকা দুই শিশুর মধ্যে চুলোচুলি শুরু হয়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন রক্ষা ঘোষ। তিনি দুই শিশুর মধ্যে চুলোচুলি থামাতে যান। অভিযোগ, বৃদ্ধা রক্ষা ঘোষ আচমকা অভিলাষের পেটে ও বুকে সজোরে লাথি মারেন। তখন যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মাটিতে শুয়ে পড়ে ছোট্ট অভিলাষ। এরপর প্রতিবেশিরাই অভিলাষকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে কালীগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অভিলাষকে নিয়ে যায় তার পরিবার। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই অভিলাষকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শুক্রবার বেলার দিকে ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বর্ধমানে রেফার করা হয়। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার পথেই ছোট্ট অভিলাষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই অভিলাষের বাবা ও মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীদের একাংশ জানান, একজনের অমানবিকভাবে লাথি মারার কারণে ছোট্ট শিশুর মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। মৃত শিশুর কাকা সজল ঘোষ বলেন, আমরা ওই বৃদ্ধার নামে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ছোট ছেলেদের ঝামেলা থামাতে গিয়ে এইভাবে লাথি মেরে অভিলাষকে মেরে ফেলবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। জানা গিয়েছে, অজয় ও রাখি ঘোষের দুই মেয়ের পর অভিলাষ জন্মায়। স্থানীয় গ্রামের স্কুলে সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। প্রতিদিন বিকাল হলেই ছোট্ট অভিলাষ বাড়ির সামনের মাঠে খেলা করত। রাখি ঘোষ একমাত্র পুত্রকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।