সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
খাবার পেতে তাকে যাতে জঙ্গলে অসুবিধায় পড়তে না হয়, তার জন্য বনদপ্তর লাও, কুমড়ো, কলা গাছের ব্যবস্থা করেছে। খাবারের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ওষুধও। আপাতত সে বড়জোড়ার পাবোয়ার জঙ্গলে তিন হাতির সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে। তার গতিবিধির উপর নজর রাখছেন বনদপ্তরের আট কর্মী। রয়েছেন প্রাণী চিকিৎসকরাও।
বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই বলেন, অপারেশনের জেরে নানা ওষুধ হাতির শরীরে ঢুকেছে। জঙ্গলে হাতিটিকে যাতে খাবার খোঁজার জন্য আলাদা করে যাতে পরিশ্রম করতে না হয়, তার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’-একদিন পর সে নিজেই খাবার খুঁজে খাবে। আপাতত তাকে নজরে রেখেছেন বনকর্মীরা।
বছর দেড়েক আগে তিনজনকে পিষে মারার পর আসানসোলে অবশ করা হয় ওই দাঁতালকে। চার পায়ে শিকল বেঁধে লরিতে চাপিয়ে বান্দোয়ানের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে হাতিটিকে দলমায় ফেরত পাঠানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বন দপ্তরের সব আয়োজন সে পণ্ড করে দেয়। তিন পায়ের শিকল খোলার পরই তার হুঁশ ফিরে আসে। তখনই সামনের ডান পায়ের চেন ছিঁড়ে সে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। বনকর্মীরা তারপর আর ওই ‘খুনে’ হাতিটির হদিশ পাননি। কিছুদিন আগে বাঁকুড়ার সোনামুখীর জঙ্গলে তাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পায়ে চেন বাঁধা থাকায় সে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। তারপরই বনাধিকারিকরা চেন খোলার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু, পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে তাঁরা ব্যর্থ হন। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিনভর চেষ্টা করে ঘুম পাড়ানি গুলি করে প্রায় এক ঘণ্টার ধরে অপারেশন করা হয়। ছ’জনের চিকিৎসক দল তাকে শিকল মুক্ত করে। বর্তমানে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বনকর্মীরা।
জঙ্গলের মাঝে জলাশয়ের ধারে তার জন্য খাবার রেখে দেওয়া হচ্ছে। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, মধ্য বয়স্ক পুরুষ এই হাতিটি অপারেশনের পর এখন স্বস্তি বোধ করছে। জঙ্গলে আরও তিনটি হাতির সঙ্গে সে আপাতত মিশে গিয়েছে।
প্রাণী চিকিৎসক সঞ্জয় শিট বলেন, হাতিটির পায়ে বড় অপারেশন করা হয়েছে। ক্ষত স্থানে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শরীর কিছুটা দুর্বল হতে পারে। তাই দুর্বলতা কাটানো ও ঘা যাতে দ্রুত শুকিয়ে যায়, সেই জন্য খাবারের সঙ্গে ওষুধ দিচ্ছেন বনকর্মীরা। আপাতত সে সুস্থই আছে। নিজস্ব চিত্র