সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর বুলেটিনে জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০৮ হয়েছে। তারমধ্যে ৮১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বুধবারও কোভিড হাসপাতাল থেকে দু’জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ২৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন কলকাতায় মারা গিয়েছেন। তিনি সেখানেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অন্যজন জেলাতেই মারা গিয়েছেন। ওই যুবক মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। মুর্শিদাবাদে ৪২ হাজার ৩৩৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাঁরা মুম্বই, গুজরাত, কেরল, দিল্লির মতো রাজ্যগুলি থেকে ফিরেছেন। তাঁদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে ফিরে এক হাজার ৯৩২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ভগবানগোলা, বহরমপুর, নবগ্রাম ব্লকের বেশ কিছু গ্রামে স্থানীয়দের উদ্যোগে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে উঠেছে। বেশ কিছু জায়গায় স্থানীয়রাই বাইরে থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক বা অন্যান্যদের খাবার দিচ্ছেন। তবে বহরমপুর শহরের মতো বেশ কিছু জায়গায় স্কুলগুলিতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি নিয়ে অশান্তিও হয়েছে। স্থানীয়রা কয়েক দিন আগেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বাইরে থেকে ফেরা লোকজনদের জনবহুল এলাকায় স্কুলে থাকতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুধবার নতুন করে আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এলাকার এক যুবকের পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেই সূতির বাজিতপুর গ্রামের রাস্তা স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেন। সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। ওই এলাকার আক্রান্ত যুবকও কয়েক দিন আগে মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। বেলডাঙা-২ এলাকার আক্রান্ত যুবকও মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আর যাঁরা ফিরেছিলেন, তাঁদেরও লালারস পরীক্ষা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।