কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
বৃহস্পতিবার থেকেই পুরুলিয়া শহরের সাহেববাঁধের মাছ ভেসে উঠতে শুরু করেছে। ছোট মাছের পাশাপাশি চার থেকে পাঁচ কেজি ওজনেরও মাছ মরে যাচ্ছে। স্থানীয় বসিন্দা তথা চিকিৎসক দীপক চৌধুরী বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই দেখছি, সাহেব বাঁধের জলে প্রচুর মৃত মাছ ভাসছে। জলে দূষণ থেকেই এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হয়। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।
এদিন ওই মাছগুলি তুলে ফেলার কাজের তদারকি করতে সাহেববাঁধ এলাকায় যান পুরুলিয়া পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান বৈদ্যনাথ মণ্ডল। তিনি বলেন, মৃত মাছ তোলার পাশাপাশি সাহেব বাঁধের জলে চুন দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। মৎস্য দপ্তরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন সামিম দাদ খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। এখনও কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। মাছগুলি তুলে পুরসভার আবর্জনা ফেলার জায়গায় নিয়ে গিয়ে নুন দিয়ে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এবিষয়ে সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।
পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক তথা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, সাহেব বাঁধের উত্তর পূর্ব অংশের প্রায় ২০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে জল দূষিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মাছ চুরির জন্য কোনও রাসায়নিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া ওই এলাকায় প্রচুর বর্জ্য পদার্থও জমে রয়েছে। দ্রুত ওই জল বের করতে না পারলে সাহেববাঁধের বড়সড় ক্ষতি হবে।